আবাহনীকে জেতালেন অলরাউন্ডার সাব্বির
আবাহনী লিমিটেড ১৫০/৭, ২০ ওভার
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১২৫/৭, ২০ ওভার
আবাহনী ২৫ রানে জয়ী
বিপিএল ছাড়া বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে সাব্বির রহমান ফিরলেন প্রায় বছরখানেক পর, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন টি-টোয়েন্টি লিগে। ফেরাটা স্মরণীয় করেই রাখলেন তিনি, তার ফিফটি ও ২ উইকেটের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে ব্রাদার্সকে ২৫ রানে হারিয়ে জয় দিয়ে টুর্নামেন্ট শুরু করেছে প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন আবাহনী।
মিরপুরে টসে জিতে আবাহনীর শুরুটা বাজে হয়েছিল, ৭ রানেই ফিরেছিলেন দুই ওপেনার মুনিম শাহরিয়ার ও নাজমুল হোসেন শান্ত। এরপর দুইটি জুটিতে আবাহনীকে টেনেছেন সাব্বির রহমান। প্রথমে মোসাদ্দেক হোসেনের সঙ্গে জুটিতে উঠেছে ৩৮ বলে ৫২ রান। মোহাম্মদ শাহজাদার বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে মোসাদ্দেক করেছনে ১৮ বলে ২৩।
জাহিদ জাভেদের সঙ্গে সাব্বিরের জুটি ৪১ বলে ৫৮ রানের। মেহেদি হাসানের বলে ডাবলস নিয়ে ফিফটি পূর্ণ করেছেন ৪০ বলে, শাখাওয়াত হোসেনকে মিডউইকেট দিয়ে ছয়ের পর সেখানেই ধরা পড়েছেন ৪৩ বলে ৫৮ রান করে, ৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ২টি ছয়।
আব্দুল্লাহ আল মামুন ও তাপস ঘোষ এরপর ফিরলেও শেষ বলে গিয়ে আউট হয়েছেন অভিষিক্ত জাভেদ, এর আগে করেছেন ২টি করে চার ও ছয়ে ৩৩ বলে ৪৪ রান। মেহেদি হাসান ও রনি হোসাইন নিয়েছেন ২টি করে উইকেট।
শুরুটা বাজে হয়েছিল ব্রাদার্সেরও। প্রথম ওভার করতে এসেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন, ফজলে রাব্বিকে ফিরিয়েছেন শুন্যতেই। দ্বিতীয় উইকেটে মিজানুর রহমান ও ইয়াসির আলির জুটি তুলেছিল ৬৬ রান, তবে সেটা ছিল ধীরগতির- ৬০ বলের। বিপিএলের ফর্মটা ইয়াসির এখানেও টেনে এনেছেন, ৩১ বলে ৩ চার ও ২ ছয়ে ৪১ রান করে। তাকে ফিরিয়েছেন সাব্বির, মোসাদ্দেকের হাতে ক্যাচ বানিয়ে। এরপর সাব্বির নিয়েছেন হাবিবুর রহমানের উইকেট, ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৬ রান।
ইয়াসিরের উইকেটের পরই নাজমুল ইসলামের বোলিং-তোপে খেই হারিয়েছে ব্রাদার্স, ২৯ রানে তারা হারিয়েছে ৫ উইকেট। নাজমুল ৩ উইকেট নিয়েছেন ২৬ রানে। শেষ পর্যন্ত ২৬ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত ছিলেন ব্রাদার্স অধিনায়ক শরিফুল্লাহ, তবে আবাহনীর জয় আটকাতে পারেননি তিনি।