• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শুভাগত ঝড় তুললেন, ইতিহাসও গড়লেন

    শুভাগত ঝড় তুললেন, ইতিহাসও গড়লেন    

    স্কোর 

    শাইনপুকুর ২০ ওভারে ১৯২/৪ 

    মোহামেডান ২০ ওভারে ১৭০/৯ 

    ফলঃ শাইনপুকুর ২২ রানে জয়ী


    শাইনপুকুরের হয়ে আগের ম্যাচেই করেছিলেন ১০ বলে ৩২ রান। শুভাগত হোম আজ যা করলেন, সেটার জন্য অবশ্য প্রস্তুত ছিল না আসলে কেউই। শুনশান মিরপুরে যা বইয়ে দিলেন, সেটাকে ঝড় বললেও কম বলা হয়। ১৬ বলে ফিফটি পেয়েছেন, ভেঙে দিয়েছেন স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড। শেষ পর্যন্ত থেমেছেন ১৮ বলে ৫৮ রানে, শাইনপুকুর পেয়েছে ১৯২ রানের সংগ্রহ। সেই রান তাড়া করতে গিয়ে ১৭০ রানে থেমে গেছে মোহামেডান, শাইনপুকুর পেয়েছে ২২ রানের জয়। টানা দুই ম্যাচ জিতে নিজেদের গ্রুপ থেকে সবার আগে উঠে গেছে শেষ চারে, আর বিদায়ঘণ্টা বেজেছে মোহামেডানের।

     

    শুভাগত যইখন ক্রিজে নেমেছিলেন, ১০৯ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে শাইনপুকুর। বল বাকি আর ২৮টি, সেখান থেকে ১৫০ই হতো ভালো স্কোর। অন্য পাশে তৌহিদ হৃদয় অবশ্য ঝড় তুলতে শুরু করে দিয়েছেন, তবে শুভাগত জন্য খানিক পরে তিনিও হয়ে গেলেন দর্শক। মুখোমুখি প্রথম ৫ বলে একটু চুপচাপি ছিলেন শুভাগত, মেরেছিলেন কেবল একটি চার।

    তবে ঝড়টা শুরু করলেন আলাউদ্দিন বাবুর এক ওভারে ছয় ও চার মেরে। কাজী অনীকের পরের ওভারে আরও রুদ্রমূর্তিতে, ওই ওভারেই মারলেন তিন ছয়। আলাউদ্দিন বাবুর পরের ওভারে আবার হৃদয় একাই নিলেন ১৮ রান। তবে অনীকের ওপরেই ঝালটা বেশি ঝেড়েছেন শুভাগত। পর পর দুই চার-ছয়ে পৌঁছে গেছেন ফিফটিতে, মাত্র ১৬ বলে। স্বীকৃত টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম ফিফটির রেকর্ডটাও হয়ে গেছে। আগের রেকর্ডটি ছিল মুমিনুল হকের, ২০১৩ সালে টি-টোয়েন্টি চ্যালেঞ্জ সিরিজে বাংলাদেশ এ দলের হয়ে বাংলাদেশ জাতীয় দলের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন ১৯ বলে। আর বাংলাদেশ জাতীয় দলের হয়ে রেকর্ডটি মোহাম্মদ আশরাফুলের। ২০০৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ফিফটি পেয়েছিলেন ২০ বলে।

    শেষ পর্যন্ত ১৮ বলে ৫৮ রানে শেষ করেছেন শুভাগত। অন্য প্রান্তে থাকা হৃদয় ৪১ বলে ৬৬। আর তাতেই ১৯২ রানে উঠেছে শাইনপুকুর।

    সেই রান তাড়া করতে গিয়ে মোহামেডানের শুরুটা ভালো হয়নি। দুই ওপেনার অভিষেক মিত্র ও আবদুল মজিদ ৪.২ ওভারে তুলে ফেলেছিলেন ৪৬ রান। অভিষেক ১৯ রানে আউট হয়ে যান, মজিদের ২০ বলে ৩৩ রান করে আউটের পর থেকেই পথ হারাতে শুরু করে মোহামেডান। আশরাফুলও পারেননি পরিস্থিতির দাবি মেটাতে, আউট হয়ে গেছেন ২০ বলে ২১ রান করে। কিন্তু এক প্রান্ত থেকে উইকেট হারাতে শুরু করে মোহামেডান। ইরফান শুক্কুর ২৯ বলে ৫২ রান করলেও দিন শেষে সেটা শুধু জয়ের ব্যবধানই কমাতে পেরেছে। শাইনপুকুরের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছেন সোহরাওয়ার্দী সুভ, সুজন হাওলাদার, হামিদুল ইসলাম।