• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    জিয়া-ঝড়ে শাইনপুকুরের পাহাড় টপকে ফাইনালে শেখ জামাল

    জিয়া-ঝড়ে শাইনপুকুরের পাহাড় টপকে ফাইনালে শেখ জামাল    

    শাইনপুকুর ২০ ওভারে ১৮১/৭ (আফিফ ৬৫, সাব্বির ৪৭; শাকিল ৪/২৮, শহিদুল ২/২৫)

    শেখ জামাল ১৭.৪ ওভারে ১৮২/৫ (জিয়া ৭২*, নুরুল ৪৩*; হুভ ২/৩১)

    ফলঃ শেখ জামাল ৫ উইকেটে জয়ী


    লক্ষ্যটা ছিল ১৮২, মিরপুরে যেটি প্রায় পাহাড়সমান। নবম ওভার শেষে ৬৫ রানে যখন পঞ্চম উইকেট হারাল শেখ জামাল, সেটি হয়ে গেল পর্বতসম। কিন্তু জিয়াউর রহমান ও নুরুল হাসান সোহান এমনই ঝড় শুরু করলেন, ১৪ বল হাতে রেখেই সেই রান টপকে গেল শেখ জামাল! শাইনপুকুরকে ৫ উইকেটে হারিয়ে চলে গেল প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টির ফাইনালে।

    অথচ শেখ জামাল একটা সময় পথ হারিয়েই বসেছিল। শুরুটা একেবারে মন্দ হয়নি তাদের, ফারদীন হাসান অনি ও ইমতিয়াজ হোসেন ২১ বলে তুলে ফেলেছিলেন ২৯ রান। ১১ রান করে ইমতিয়াজের রান আউট হয়ে গেলেন। এক ওভার পর ১৭ বলে ২২ রান করে ফারদীনও স্টাম্পড সোহরাওয়ার্দী শুভর বলে। নাসির হোসেন আশা দেখাচ্ছিলেন, প্রথম বলে চার মেরে শুরুও করেছিলেন ভালো। একটি ছয়ও মেরেছিলেন, কিন্তু আরেকটি মারতে গিয়েই কাল হলো। শুভ বলে ক্যাচ দিলেন লং অফে, আউট হলেন ৯ বলে ১৬ রান করে। এরপর তানভীর হায়দার যখন কোনো রান না করেই এলবিডব্লু দেলোয়ারের বলে, শেখ জামালের সামনে তখন দুস্তর পারাবার। ১১ ওভারে দরকার আরও ১১৭ রান, হাতে আছে ৫ উইকেট।

    তবে নুরুল আর জিয়া সেখান থেকেই শুরু করলেন পালটা আক্রমণ। ঘরোয়া লিগে জিয়া ঝড় তুলেছেন আগেও, তবে আজ যেন ছাড়িয়ে যাচ্ছিলেন সবকিছু। শেষ ৯ ওভারে যখন দরকার ১০৬ রান, টিপু সুলতানের বলে ছয়-চারে নিলেন ১২ রান। শরিফুলের পরের ওভারটা হয়ে রইল দুঃস্বপ্নের মতো, ওই ওভার থেকেই এলো ২৪ রান। সোহরাওয়ার্দী শুভর পরের ওভারে এলো ১৮ রান, হঠাৎ করে সমীকরণটা সহজ হয়ে গেল জামালের।

    পরের ওভারেই দেলোয়ারকে আরও দুইটি ছয় মারলেন জিয়া, ২১ বলে তুলে নিলেন ফিফটি। শেষ ৪ ওভারে যখন দরকার ৩২, আবার সেই দেলোয়ারের ওভার থেকে জিয়া ও সোহান নিলেন ২০ রান। শেষ পর্যন্ত ১৪ বল হাতে রেখেই শেষ করেছেন ম্যাচ। ২৯ বলে ৭২ রানের অবিশ্বাস্য এক ইনিংসে অপরাজিত ছিলেন জিয়া, চারটি চারের সঙ্গে ছিল সাতটি ছয়। নুরুল অপরাজিত ছিলেন ৩১ বলে ৪৩ রান করে।

    তার আগে শাইনপুকুর কোনো রান করার আগেই হারায় মোহাম্মদ রাকিবকে। এর পর আফিফ হোসেন ও সাব্বির হোসেনের ব্যাট হয়ে উঠল তলোয়ারর মতো, দুজন দ্বিতীয় উইকেটে ৭১ বলে যোগ করলেন ১১৩ রান। ৪১ বলে ৬৫ রান করে আউট হলেন আফিফ, পরের ওভারে ৩২ বলে ৪৭ রান করে ফিরলেন  সাব্বিরও। তবে শুভাগত হোম আজ আবারও রূদ্রমূর্তিতে, ১৭ বলে করলেন ৩১ রান। আর তাতেই ২০ ওভার শেষে ১৮১ রান করল শাইনপুকুর। ২৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট পেয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল।