• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ফরহাদে চড়েই ফাইনালে দোলেশ্বর

    ফরহাদে চড়েই ফাইনালে দোলেশ্বর    

    প্রাইম ব্যাংক ২০ ওভারে ১৭০/৯ (কাপালি ৫৫, জাকির ৫২; ফরহাদ ৫/৩২, এনামুল জুনিয়র ২/২২)

    প্রাইম দোলেশ্বর ১৯.৪ ওভারে ১৭১/৪ (সাইফ ৬১, মার্শাল ৪৬, ফরহাদ ২৪*; রাজ্জাক ১/১৯)

    ফলঃ দোলেশ্বর ৬ উইকেটে জয়ী


    প্রায় ছিটকে যাওয়ার দুয়ার থেকে প্রাইম দোলেশ্বরকে শেষ চারে নিয়ে গিয়েছিলেন ফরহাদ রেজা। সেমিফাইনালে আরও দুর্দান্ত এই অলরাউন্ডার, ৫ উইকেট নেওয়ার পর ৮ বলে ২৪ রানের ইনিংসে এনে দিয়েছেন আরেকটি জয়। রুদ্ধশ্বাস সেই জয়ে প্রাইম ব্যাংককে ৬ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে চলে গেছে দোলেশ্বরই।

    প্রাইম ব্যাংকের ছুঁড়ে দেওয়া ১৭১ রানের লক্ষ্য তাড়ায় দোলেশ্বরের শুরুটা একটু মন্থরই ছিল। পাওয়ারপ্লেতে উঠল মাত্র ৩৫ রান, মোহাম্মদ আরাফাত যখ ১৯ রানে আউট হলেন ৭.৪ ওভারে দোলেশ্বরের রান তখন ৫১। পরের ওভারেই ১ রান করে ফিরে যান ফরহাদ হোসেন। সাইফ হাসান ও মার্শাল আইয়ুব এরপর পথে ফেরালেন দোলেশ্বরকে। দুজনের ৭৬ রানের জুটিতে আবার জয় উঁকি দিতে শুরু করে দোলেশ্বরের দিগন্তে। রান রেটও অবশ্য পাল্লা দিয়ে বাড়তে শুরু করেছে। ৪৯ বলে ৬১ রান করে সাইফ যখন রান আউট হলেন, জয়ের জন্য তখনো ৪ ওভারে ৪৩ রান দরকার দোলেশ্বরের।

    মার্শাল ও ফরহাদের ঝড় শুরু হলো এর পরেই। আল আমিনের ১৮তম ওভার থেকে দোলেশ্বর নিল ১৯ রান, এর মধ্যে ফরহাদ একাই নিলেন ১৬ রান। পরের ওভারে অলক কাপালির বলে ছয় মারলেন মার্শাল, পরের বলেই অবশ্য আউট। তাঁর ৩১ বলে ৪৬ রানের ইনিংসটা অবশ্য জয়ের মঞ্চটা সাজিয়েই দিয়ে গেছে অনেকটা। তবে কাজ বাকি ছিল তখনো, আরেকটি ছয়ে ফরহাদ জয়ের আরও কাছে নিয়ে গেলেন দোলেশ্বরকে। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার ৮ রান, সেটি দুই বল বাকি থাকতেই নিয়ে নিয়েছে দোলেশ্বর।

    তার আগে প্রাইম ব্যাংককে ১৭০ রানে আটকা রাখার মূল দায়িত্বটাও পালন করেছেন ফরহাদ। শুরু থেকেই অবশ্য নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক, ২৩ রানের মধ্যে ফিরে যান দুই অপেনার অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও রুবেল মিয়া। আল আমিনকে তুলে নিজের প্রথম উইকেট পান ফরহাদ, আরিফুলও ৩ রান করে এনামুল জুনিয়রের বলে বোল্ড। নাজমুল হোসেন মিলন ৯ রানে আউট হলে ৭১ রানের মধ্যে ৫ উইকেট হারিয়ে বসে প্রাইম ব্যাংক।

    এরপর জাকির হাসান ও অলক কাপালি শুরু করেন পালটা আক্রমণ। দুজন ষষ্ঠ উইকেটে ৩৫ বলে যোগ করেন ৫৫ রান। ৩৯ বলে ৫২ রান করে জাকির ফিরে যান ফরহাদের বলে, ভাঙে জুটি। তবে অলক ঝড় চালিয়ে গেছেন আরও কিছুক্ষণ, ৩১ বলে ৫৫ রান করার পর আউট হয়েছেন সেই ফরহাদের বলেই। ১৭০ তখন বড় স্কোরই মনে হচ্ছিল প্রাইম ব্যাংকের জন্য, কে জানত দিন শেষে তা যথেষ্ট হবে না?