• দক্ষিণ আফ্রিকা-শ্রীলংকা সিরিজ
  • " />

     

    তাহির-এনগিডির পর ডু প্লেসি-ডি ককে দুর্বার আফ্রিকা

    তাহির-এনগিডির পর ডু প্লেসি-ডি ককে দুর্বার আফ্রিকা    

    শ্রীলঙ্কা ৪৭ ওভারে ২৩১ (মেন্ডিস ৬০, ওশান্তা ৪৯, দনঞ্জয়া ৩৯; তাহির ৩/২৬, এনগিডি ৩/৬০)

    দক্ষিণ আফ্রিকা ৩৮.৫ ওভারে ২৩২/২ (ডু প্লেসি ১১২*, ডি কক ৮১; ফার্নান্দো ১/৪৩)

    ফলঃ দক্ষিণ আফ্রিকা ৮ উইকেটে জয়ী


    টেস্ট সিরিজে অঘটন ঘটিয়ে চমকে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ওয়ানডেতে এসে বদলে গেল দৃশ্যপট, এবার স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে পাত্তাই পেল না লঙ্কানরা। শুরুতে লুঙ্গি এনগিডি আর ইমরান তাহির চেপে ধরলেন তাদের, এরপর কুইন্টন ডি কক ও ফাফ ডু প্লেসি মিলে ম্যাচটা একতরফাই বানিয়ে ফেলেছেন। ক্যারিয়ারের একাদশ সেঞ্চুরি পেয়েছেন ডু প্লেসি, ৮ উইকেট ও ১১.১ ওভার হাতে রেখেই জিতে গেছে আফ্রিকা।

    ২৩২ রান ওয়ানডেতে এমন কোনো লক্ষ্য নয়। তার ওপর ডু প্লেসিকে ওভাবে জীবন দিলে তিনি তো সেটা লুফে নেবেনই। থিসারা পেরেরার বলে ৩২ রানে তাঁর যে ক্যাচ মিস করেছেন লাক্সমান সান্দাকান, ১০ বারের মধ্যে নয় বারই সেটা ক্যাচ হবে। তবে আজ হলো না, দিনটা যে শ্রীলঙ্কারই ছিল না!

    তাড়া করতে নেমে শুরুতেই অবশ্য রিজা হেনড্রিক্সকে হারিয়েছিল স্বাগতিকেরা। তবে ডু প্লেসি আর ডি কক এরপর এমনই দুর্বার, ম্যাচের ফল নিয়ে কোনো সংশয়ই হতে দেননি। ওই ক্যাচটি ছাড়া দুজনকে ভোগাতেই পারেননি লঙ্কানরা, দুজনের জুটিতে ১৩৬ রান এসেছে ১২৮ বলে। ডি কক সেঞ্চুরির সুবাসই পাচ্ছিলেন, কিন্তু ৭২ বলে ৮১ রান করে আকিলা দনঞ্জয়ার বলে হয়ে যান এলবিডব্লু।

    তবে ১৫০ রানে দ্বিতীয় উইকেট হারানোর পর ফন ডার ডুসেনকে নিয়ে আর কোনো উইকেট হারাতে দেননি ডু প্লেসি। সেঞ্চুরি পেয়েছেন ১০৪ বলে, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ১১৪ বলে ১১২ রান করে। ৪৩ বলে ৩২ রান করে অপরাজিত ছিলেন ফন ডার ডুসেন।

    তার আগে শ্রীলঙ্কার ইনিংসটা ছিল সম্ভাবনা ও তার অপমৃত্যুর একটা চিত্রনাট্য। দলে ফিরে ২৩ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ডিকভেলা ও থারাঙ্গাকে তুলে নেন এনগিডি। এরপর পাল্টা আক্রমণ শুরু করেন কুশল পেরেরা ও ওশান্তা ফার্নান্দো। পেরেরাকে ৩৩ রানে ফিরিয়ে দুজনের জুটিটা ভাঙেন ইমরান তাহির। ফার্নান্দো খেলছিলেন অবিশ্বাস্য কিছু শট, তবে আউট হয়ে গেলেন হাস্যকর একটা ভুল বোঝাবুঝিতে। ৪৯ বলে ৪৯ রান করলেন, তাঁর আউট বড় একটা স্বস্তি এনে দিল আফ্রিকাকে।

    তবে কুশল মেন্ডিস ও দনঞ্জয়া ডি সিলভা ভালোই খেলছিলেন, ৯৪ রানও যোগ করে ফেলেছিলেন। দনঞ্জয়াকে ৩৯ রানে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন তাহির, এবারও স্টাম্পড। মেন্ডিসও ৬০ রান করে সেই তাহিরেরই শিকার, এই আউটই যেন মোড় ঘুরিয়ে দিল ম্যাচের।

    এরপর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল শ্রীলঙ্কার ইনিংস, ২১০ থেকে ২৩১- এই ২১ রানের মধ্যে হারাল শেষ ৫ উইকেট। থিসারা পেরেরা করতে পারলেন মাত্র ৭, মালিঙ্গার ১৫ রান না হলে ২৩১ও হয় না শ্রীলঙ্কার। যেটা ছিল যথেষ্টর চেয়েও অনেক কম।