• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ঢাকার ক্রিকেটকে বাঁচানোর আর্তি তাঁদের কন্ঠে

    ঢাকার ক্রিকেটকে বাঁচানোর আর্তি তাঁদের কন্ঠে    

    আলোর নিচেই নাকি আঁধার থাকে। বাংলাদেশের ক্রিকেটের ক্ষেত্রে তো এই কথাটা এখন খুব ভালো করেই খাটে। জাতীয় দলের অর্জন, তামিম-সাকিব-মুশফিকদের কীর্তি যখন আশার আলো দেখায়, তার উল্টো পিঠেই আছে ঘরোয়া ক্রিকেটে পাতানো ম্যাচের কেলেঙ্কারির দগদগে ঘা। সেই ক্ষতটা সারানোর উপায় নিয়েই আজ বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশন ভবনে বাংলাদেশ স্পোর্টস জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন (বিএসজেএ) আয়োজন করল ‘ঢাকার ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং : বাস্তবতা ও সমাধান’ শীর্ষক সেমিনার।

     

     

    ঘরোয়া লিগে যে আশি বা নব্বই দশকে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং ছিল না তা নয়। তবে গত কয়েক মৌসুম ধরে বিশেষ করে প্রথম, বিভাগ ও তৃতীয় বিভাগ লিগের আম্পায়ারিং সব ধরনের নজির ছাড়িয়ে গেছে। দুই মৌসুম আগে প্রিমিয়ার লিগে তুমুল বিতর্কের পর গত মৌসুমে অনেকটাই স্বচ্ছ ছিল ঢাকার শীর্ষ ক্রিকেট প্রতিযোগিতা। কিন্তু নিচের লিগগুলোতে ক্রিকেট নামে চলছে প্রহসন। নির্দিষ্ট কিছু ক্লাবকে সুবিধা পাইয়ে দিতে কীভাবে ন্যাক্কারজনক আম্পায়ারিং করা হয়, সেটা নিয়ে কিছু দিন আগে এক পাতা জুড়ে বিশেষ একটা আয়োজন করেছিল দেশের শীর্ষ দৈনিক প্রথম আলো । এরপর এ নিয়ে প্রশ্নও করা হয়েছিল বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনকে। তিনিও অস্বীকার করেননি এই বাস্তবতা, মানলেন আম্পায়ারিং নিয়ে কাজ করার অনেক কিছুই আছে।

    আজ সব বক্তাই স্বীকার করলেন, বাংলাদেশের ক্রিকেটে পক্ষপাতদুষ্ট আম্পায়ারিং একটা নির্মম বাস্তবতা। এ নিয়ে কথা বলেছেন সিসিডিএম সভাপতি ও বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ, সাবেক অধিনায়ক গাজী আশরাফ হোসেন লিপু, ক্রীড়া লেখক ও কোচ জালাল আহমেদ চৌধুরী, ইয়ং পেগাসার ক্লাবের সংগঠক সৈয়দ আলী আসাফ, কলাবাগান ক্লাবের সংগঠক রিয়াজ বাবু, পৃষ্ঠপোষক ওয়ালটন গ্রুপের এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর উদয় হাকিম, কালের কন্ঠের ক্রীড়া সম্পাদক সাইদুজ্জামান, সিনিয়র সাংবাদিক ও বিএসজেয়া সহ সভাপতি আরিফুর রহমান বাবু। অনুষ্ঠানের সঞ্চালনা করেন দৈনিক প্রথম আলোর বিশেষ প্রতিনিধি তারেক মাহমুদ। মূল বক্তব্য উপস্থাপনা করেন বিডিনিউজ২৪ ডটকমের সিনিয়র রিপোর্টার আরিফুল ইসলাম রনি।

    অনুষ্ঠানে এই সমস্যা সমাধানে কিছু উপায় বেরিয়ে এসেছে। বক্তারা বলেছেন, বিসিবিতে ক্লাবের কাউন্সেরলশিপ থাকার জন্য কিছু ক্লাবকে এমন অন্যায় সুবিধা দেওয়া হয়। বিশেষ করে কোন দল প্রথম বা দ্বিতীয় বিভাগে উঠবে বা নেমে যাবে তাতে বড় ভূমিকা রাখে এই কাউন্সেলরশিপ। তাদের প্রস্তাব, হয় সব ক্লাবকেই এই কাউন্সেলরশিপ দেওয়া হোক নয়তো সব ক্লাব থেকে তা উঠিয়ে নেওয়া হোক। সবার কথা, ‘যেভাবেই হোক যেন তেন প্রকারে জিততেই হবে’ এই মানসিকতা থেকে ক্লাবগুলোকে বেরিয়ে আসতে হবে। নইলে এই সমস্যা দেশের ক্রিকেটের জন্য অশনী সংকেত বলেও মনে করেন তারা। বিসিবি পরিচালক কাজী ইনাম আহমেদ বলেছেন, এই সমস্যাগুলো সমাধানে তিনিও চেষ্টা করবেন। অনুষ্ঠানে বিসিবির আম্পায়ারস কমিটির সভাপতি বা সেক্রেটারি কেউ উপস্থিত ছিলেন না।