মাশরাফিকেই টস করার অনুরোধ করবে আবাহনী
মাশরাফি বিন মুর্তজা ছিলেন, তবে চ্যাম্পিয়নশিপ ট্রফিটা নাসির হোসেনের হাতেই উঠেছিল গত বছর। আনুষ্ঠানিকভাবে নাসিরই যে ছিলেন আবাহনীর অধিনায়ক। এবার নাসির নেই, মাশরাফি এখন পর্যন্ত অধিনায়ক কথা হওয়ার কিছু জানাননি। তবে আবাহনীর কোচ খালেদ মাহমুদ সুজন বললেন, মাশরাফিকেই অধিনায়ক হওয়ার জন্য অনুরোধ করবে আবাহনী।
এই মুহূর্তে চাইলেও বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ককে পাচ্ছে না প্রিমিয়ার লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। ছুটি কাটাতে সপরিবারে ভারত গেছেন মাশরাফি। ফিরবেন কবে, সেটা জানা নেই খালেদ মাহমুদের। আগামীকাল ৮ মার্চ প্রথম ম্যাচে আবাহনীর প্রতিপক্ষ বিকেএসপি, সেই ম্যাচে থাকছেন না নিশ্চিতভাবেই। ১১ মার্চ উত্তরা স্পোর্টিংয়ের সঙ্গে দ্বিতীয় ম্যাচ, সেটিতেও থাকছেন না সম্ভবত। মাহমুদ বললেন, প্রথম তিন ম্যাচে হয়তো মাশরাফিকে পাচ্ছে না আবাহনী, ‘মাশরাফির কথা ছিল ১০ তারিখের পর থেকে সব ম্যাচ খেলার। ভেবেছিলাম সেকেন্ড ম্যাচ থেকেই মাশরাফিকে পাব। বাট আনফরচুনেটলি ও দেশের বাইরে। আমি জানিও না কবে গেছে, আমার সাথে কমিনিকেট হয়নি ওইভাবে। ও আসার পর হয়তো জানা যাবে কবে খেলবে। হয়তো তিন ম্যাচ মিস করবে। ’
আপাতত আবাহনীর দায়িত্ব কাউকে দিতেই হবে। প্রিমিয়ার লিগ টি-টোয়েন্টিতে সেই দায়িত্ব পালন করেছিলেন মোসাদ্দেক হোসেন। মাহমুদ বললেন, আপাতত মোসাদ্দেকই নামবেন টস করতে। তবে মাশরাফি ফিরলে তাঁকে দায়িত্বটা নেওয়ার কথা বলবে আবাহনী, ‘গতবার মাশরাফিই ছিল। নামে (নাসির) ছিল আর কি। মাশরাফি থাকা মানেই একটা বড় ব্যাপার। হ্যাঁ নাসির আমাদের ক্যাপ্টেন ছিল সেটা সত্যি কথা। তবে মাশরাফি টিমে থাকলে মাঠ কন্ট্রোল করা, অবশ্যই ওর হেল্প তো ছিলই। নাসিরও অনেক অভিজ্ঞ ক্রিকেটার ছিল গতবার। আমি মনে করি মোসাদ্দেকও খারাপ হবে না। তবে মাশরাফি আসলে মাশরাফিকেই অনুরোধ করা হবে অধিনায়ক হওয়ার জন্য।’
এবারের প্রিমিয়ার লিগ একদিকে বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপ সামনেই, তার আগে খুব বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে না ব্যাটসম্যানরা। যারা দলে আছেন, তাদের নিজেদের ঝালিয়ে নিয়ে দলে জায়গা ধরে রাখার উপলক্ষ। আর যারা কড়া নাড়ছেন দরজায়, তাদের জন্য দারুণ কিছু করে সেই স্বপ্নলোকের চাবি পেয়ে যাওয়ার সুযোগ। কিন্তু প্রিমিয়ার লিগে যে উইকেটে খেলা হয় তাতে বিশ্বকাপের প্রস্তুতি কতটা হবে? মাহমুদ স্বীকার করলেন, ‘প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচ গুলো খুব ভালো উইকেটে খেলা হয়। ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি হয়। ইংল্যান্ডেও ব্যাটিং ফ্রেন্ডলি উইকেট হবে, একটু বাউন্স বেশি থাকতে পারে হয়তো। তারপরও আমাদের মিরপুরের উইকেট এখন খারাপ না। ফতুল্লায় অনেকদিন যাওয়া হয় না তবে আমি লাস্ট একটা প্র্যাকটিস ম্যাচ দেখতে গেলাম, খারাপ লাগে নি। বিকেএসপিতে সবসময় খুব ভালো ব্যাটিং উইকেট থাকে। আসলে ম্যাচ খেলা একটা প্র্যাকটিস। ৫০ ওভারের ম্যাচের অভ্যাসটা গড়ে তোলা। বোলারদের জন্য সেটি বেশ গুরুত্বপূর্ণ। বিশ্বকাপের চিন্তা মাথায় রেখে, তাদের যেই উন্নতি গুলো দরকার, সেগুলো এখানে করতে পারে। ব্যাটসম্যানরা যদি লম্বা ইনিংস খেলে, রান করে, আত্মবিশ্বাস বাড়বে। বিশ্বকাপের জন্য দারুণ হবে।’