• আন্তর্জাতিক ফুটবল
  • " />

     

    বেলজিয়ামকে বিদায় বললেন ফেলাইনি

    বেলজিয়ামকে বিদায় বললেন ফেলাইনি    

    ক্লাব বদলেছেন এই মৌসুমেই। ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছেন চাইনিজ লিগের শ্যানডং লেনুং তাইশানে। মেঘে মেঘে কম বেলা হয়নি। বয়সটা ত্রিশের কোঠা পেরিয়েছে গত বছর। সব মাথায় রেখেই ৩১ বছর বয়সে বেলজিয়াম জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন মিডফিল্ডার মারুয়ান ফেলাইনি।

     

     

    ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার হলেও মাঝমাঠ থেকে গোল করার দক্ষতায় এতটুকু চিড় ধরেনি ফেলাইনির। ৩১ বছর বয়সেও শ্যানডং-এর হয়ে অভিষেকেই করেছেন জয়সূচক গোল। গেল বছরের রাশিয়া বিশ্বকাপেও বেলজিয়ামের হয়ে ফর্মে ছিলেন ফেলাইনি, জাপানের বিরুদ্ধে শেষ ষোলর সেই শ্বাসরুদ্ধকর জয়ে বদলি হিসেবে নেমেই সমতাসূচক গোলটাও করেছিলেন। জানুয়ারিতে ইউনাইটেডকে বিদায় বলার আগে এই মৌসুমের চ্যাম্পিয়নস লিগ গ্রুপপর্বে ইনজুরি টাইমে গোল করে জিতিয়েছিলেন ইউনাইটেডকেও। সেই গোল না হলে হয়ত পরের রাউন্ডেই আসতে পারত না 'রেড ডেভিল'রা, হয়ত লেখা হত না প্যারিসের অভূতপূর্ব সেই দুর্দান্ত প্রত্যাবর্তনের গল্প। তবে ফেলাইনি মনে করেন, এখনই সময় এসেছে জাতীয় দলে জায়গা ছেড়ে দিয়ে তরুণদের সু্যোগ করে দেওয়ার। টুইটারে দেওয়া এক বিবৃতিতে ১২ বছরের বেলজিয়াম অধ্যায়ের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন স্মৃতিকাতর ফেলাইনি, '১২ বছর সর্বোচ্চ পর্যায়ে বেলজিয়ামের প্রতিনিধিত্ব করার পর সিদ্ধান্ত নিয়েছি আন্তর্জাতিক ফুটবল থেকে অবসর নেওয়ার।'

     

     

     

    অবসর নিলেও সিদ্ধান্তটা সহজ ছিল না, স্বীকার করেছেন ফেলাইনি নিজেই, 'অবসরের সিদ্ধান্তটা আমার জন্য একেবারেই সহজ ছিল না । সব ভেবে চিন্তেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি মনে করি নিজেকে গুটিয়ে নিয়ে বেলজিয়ান তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার এর চেয়ে সর্বোৎকৃষ্ট সময় হতে পারে না। দেশের হয়ে ৮৭টি ম্যাচ খেলেছি, গোল করেছি ১৮টি। এর মধ্যে দুটি বিশ্বকাপ এবং একটি ইউয়েফা ইউরো টুর্নামেন্টেও ছিলাম। আমার জন্য এর চেয়ে সম্মানজনক কিছু হতে পারে না। সেই ২০০৭ সাল থেকে বেলজিয়ামের সাথে আমার অগণিত স্মৃতি আছে, বিশেষ করে গত বছরের বিশ্বকাপের কথা আলাদা করে না বললেই নয়। আমাদের বিশ্বকাপ ইতিহাসের সেরা অর্জন ছিল গতবার ৩য় হওয়া। আমি এমন একসময় সরে দাঁড়াচ্ছি, যখন বেলজিয়াম র‍্যাঙ্কিং-এ শীর্ষে আছে। এমন দিনেরই স্বপ্ন দেখতাম আমি। গত ১২ বছর বেলজিয়ামে আমার সব কোচ, সতীর্থ, স্টাফসহ সবাইকে ধন্যবাদ জানাই। আমি চিরকৃতজ্ঞ। রবার্তো (মার্টিনেজ) এবং পুরো দলকে আসন্ন ইউরো বাছাইপর্বের জন্য শুভকামনা জানাই। বিদায়।"