• আন্তর্জাতিক ফুটবল
  • " />

     

    মিচেল ডিউক: জাপানের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে অস্ট্রেলিয়ার নায়ক

    মিচেল ডিউক: জাপানের দ্বিতীয় বিভাগ থেকে অস্ট্রেলিয়ার নায়ক    

    টিম কাহিলকে দেখা গেল দর্শকের সারিতে। অস্ট্রেলিয়ার সাবেক এই স্ট্রাইকার আন্তর্জাতিক ফুটবলে বেশ পরিচিত নাম। কাহিল অনেক স্মরণীয় মুহূর্ত এনে দিয়েছেন দেশকে। হেড করে বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার হয়ে গোল দেওয়ার কীর্তি ছিল শুধু তার। আজ সেই কীর্তিতে ভাগ বসালেন আরেকজন। মিচেল ডিউক নামের সেই স্ট্রাকারের একমাত্র গোলেই স্মরণীয় এক জয় পেল অস্ট্রেলিয়া। ২০১০ বিশ্বকাপের পর যা তাদের প্রথম, আর ১৯৭৪ বিশ্বকাপের পর প্রথম ক্লিন শিট রাখল অসিরা। আর সেই জয় এনেওয়া ডিউকের এমন একটা কীর্তি আছে, যা এই বিশ্বকাপে নেই আর কারও। 

    এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপে গোল হয়েছে ৫০টি। আজ সেই ৫০অম গোলটি করেছেন ডিউক। তবে অন্য সবার চেয়ে তিনি আলাদা। আগের সব গোলদাতাই ছিলেন কোনো না কোনো লিগের প্রথম বিভাগের ক্লাব। সেটা প্রিমিয়ার লিগ, লা লিগা হোক বা অন্য দেশের লিগ হোক। কিন্তু ডিউক খেলেন জাপানের দ্বিতীয় বিভাগের এক ক্লাবের হয়ে। ফাগিয়ানো ওকাহোমার এই ৩১ বছর বয়সী স্ট্রাইকার দেশের হয়ে আগেও খেলেছেন, তবে আজকে ছিলেন অনন্য। বলা যায় সেকেন্ড ক্লাস প্যাসেঞ্জার হয়ে তিনি প্রথম ফার্স্ট ক্লাস বগিতে ঢুকে গেলেন বিশ্বকাপে। 

    ডিউকের গোলটাও মনে রাখার মতো। বাঁদিক থেকে ক্রিস গুডউইনের ক্রসটা তিউনিসিয়ার একজনের পায়ে লেগে দিক বদল করেছিল। কিন্তু বলের গতির সাথে মানিয়ে নিয়ে ডিউক করলেন দারুণ এক হেড, যা তিউনিসিয়ার গোলরক্ষককে ফাঁকি দিয়ে জড়িয়ে গেল জালে। 

    অস্ট্রেলিয়া প্রথমার্ধে বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করেছিল। সুযোগ পেয়েছিল তিউনিসিয়াও। অধিনায়ক এমসাকনি পেয়েছিলেন দারুণ সুযোগ, কিন্তু তার শট চলে যায় পোস্টের পাশ দিয়ে। আরেকবার অস্ট্রেলিয়ার ডিফেন্ডার সাটার দুর্দান্ত এক ব্লকে ঠেকিয়ে দিয়েছেন স্লিতির শট।

    পুরো ম্যাচেই অস্ট্রেলিয়ার রক্ষণ দারুণ করে গেছে। তাদের গোলরক্ষক রায়ানও ভালো সেভ করেছেন, তবে মূল কৃতিত্ব দুই সেন্টারব্যাকের। সাটার আর রাওলস মিলে ঠেকিয়ে গেছেন প্রতিপক্ষকে। বদলি নেমে ওয়াহাব খাজরি চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু গোল করার খুব পরিষ্কার সুযোগ তিউনিসিয়া পায়নি।জয় নিয়েই তাই মাঠ ছাড়তে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া।