• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডানের রোমাঞ্চকর জয়

    প্রাইম ব্যাংক-মোহামেডানের রোমাঞ্চকর জয়    

    ওয়ালটন ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের দ্বিতীয় দিনে সহজ জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর। শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে নয় উইকেটে হারিয়েছে তাঁরা। তবে জয় পেতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে প্রাইম ব্যাংক ও মোহামেডানকে। কলাবাগান সমাজ কল্যাণ সমিতিকে দুই উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। গাজী গ্রুপের বিপক্ষে মোহামেডান জিতেছে তিন উইকেটে।

     

    ফতুল্লা

    শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ৪৭.১ ওভারে ১৭৫ ( তৌহিদ ৩৩, সাব্বির ৩১; রেজা ৩/৩২)

    প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ৪৩.৪ ওভারে ১৭৬/১ (সাইফ ৮৩*, ফরহাদ ৬৬; শুভ ১/১৮)

    প্রাইম দোলেশ্বর ৯ উইকেটে জয়ী

     

    নিজেদের প্রথম ম্যাচে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবকে ৯ উইকেটে হারিয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে মাত্র ১৭৫ রানেই গুটিয়ে যায় শাইনপুকুরের ইনিংস। সাব্বির হোসেন করেছেন ৩১ রান, তৌহিদ হৃদয় ফিরেছেন ৩৩ রান করে। দলের হয়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন দেলোয়ার হোসেন, অপরাজিত ছিলেন ৪০ রানে। প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৩২ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন ফরহাদ রেজা। জবাবে মাত্র এক উইকেট হারিয়েই জয়ের লক্ষ্যে পৌঁছে যায় প্রাইম দোলেশ্বর। সাইফ হাসান করেছেন ১৩২ বলে ৮৩ রান, ফরহাদ হোসেন করেছেন ৯১ বলে ৬৬ রান। সাইফ-ফরহাদের ১১৯ রানের জুটির সুবাদে ৩৮ বল বাকি থাকতেই জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর।

     

    মিরপুর

    কলাবাগান সমাজ কল্যাণ সমিতি ৪৬.৫ ওভারে ১৯৫ (অমিত ৩৬, মেনারিয়া ৩৫; আরিফুল ৪/২৪, কাপালি ৩/২০)

    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৪৭ ওভারে ১৯৬/৮ (রুবেল ৪৬, আরিফুল ৩২*; ইরফান ৩/৪০)

    প্রাইম ব্যাংক দুই উইকেটে জয়ী

    রুবেল মিয়ার ৪৬ ও নাহিদুল ইসলামের ৩১ রান জয়ের ভিত গড়ে দিয়েছিল। তবে ২৭ রানের ব্যবধানে চার উইকেট হারিয়ে কিছুটা বিপদে পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক। শেষ পর্যন্ত আরিফুল ইসলামের দৃঢ়তায় কলাবাগান সমাজ কল্যাণ সমিতির বিপক্ষে দুই উইকেটের জয় নিয়েই মাঠ ছাড়ে তাঁরা। আরিফ অপরাজিত ছিলেন ৩২ রান। ৪০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন কলাবাগানের ইরফান হোসেন। প্রাইম ব্যাংক টসে জিতে ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছিল কলাবাগানকে। পুরো ৫০ ওভার খেলতে পারেনি কলাবাগান, ৪৬ ওভার ৫ বল খেলে অলআউট হয়েছে ১৯৫ রানে। অমিত মজুমদার ৩৬ ও অশোক মেনারিয়ার ৩৫ রানের সুবাদে লড়াই করার কিছু পুঁজি পেয়েছিল কলাবাগান। বল হাতে ২৪ রানে চার উইকেট নিয়ে কলাবাগানকে একাই ধসিয়ে দিয়েছেন আরিফুল হক, ২০ রানে তিন উইকেট নিয়েছেন অলোক কাপালি।

     

    বিকেএসপি

    গাজী গ্রুপ ৪৫.২ ওভারে ১৮২ ( শামসুল ৭১*, তারেক ৫৬; শফিউল ৫/৩২)

    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ৪৫.২ ওভারে ১৮৩/৭ ( রকিবুল ৮২*, গাজি ২৯; রাব্বি ২/১৯)

    মোহামেডান তিন উইকেটে জয়ী

     

     

    ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমত দিশেহারা গাজী গ্রুপ। সপ্তম উইকেটে তৌহিদ তারেক ও শামসুল ইসলামের ১০১ রানের দুর্দান্ত এক জুটিতেই ১৮২ রানের স্কোর দাড় করায় তাঁরা। তারেক-শামসুল দুজনেই পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। তারেক ৫৬ রান করে ফিরলেও শামসুল অপরাজিত ছিলেন ৭১ রানে। মোহামেডানের হয়ে ৩২ রানে ৫ উইকেট নিয়েছে শফিউল ইসলাম। জবাবে ৫১ রানে পাঁচ উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল মোহামেডান। এরপর রকিবুল হাসানের ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংসেই তিন উইকেটের জয় পেয়েছে মোহামেডান। তাকে দারুণ সঙ্গ দিয়েছেন সোহাগ গাজি, করেছেন ২৯ রান। কামরুল হাসান রাব্বি নিয়েছিলেন ১৯ রানে দুই উইকেট।