ব্যাটেও সাব্বির, বলেও সাব্বির
স্কোর
আবাহনী ৫০ ওভারে ২৮৫/৬ (শান্ত ৮৩, মোসাদ্দেক ৬৪, সাব্বির ৬১*; নাহিদ ৩/৭০)
উত্তরা স্পোর্টিং ৩৩ ওভারে ৮৯ (শাকির ২৪; রুবেল ৩/১৬, সাব্বির ২/৪, আরিফুল ২/১৪)
ফলঃ আবাহনী ১৮৯ রানে জয়ী
প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে কিছু করতে না পারলেও বল হাতে ১ উইকেট নিয়েছিলেন। আবাহনীর হয়ে দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যাট আর বল- দুইটিতেই দুর্বার সাব্বির রহমান। ৬১ রানের ঝড়ো ইনিংসের পর বল হাতেও পেয়েছেন ২ উইকেট। আর তাতেই ১৮৯ রানের বড় জয় পেয়েছে আবাহনী।
ফতুল্লায় শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আবাহনীর শুরুটা ছিল বেশ মন্থর। শ্রীলঙ্কার কৌশল সিলভা আগের দিনের মতো আজও ব্যর্থ, আউট হয়েছেন ১০ রান করে। জহুরুল ইসলাম অমি খেললেন ৮২ বলে ৪৫ রানের খুবই ধীরগতির একটা ইনিংস। ২৫.৫ ওভার শেষে আবাহনীর রান যখন ১১১, ২৫০ও তখন মনে হচ্ছিল অনেক বড় স্কোর।
নাজমুল হোসেন শান্ত ও মোসাদ্দেক হোসেন এরপর বলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে রান তুলতে শুরু করলেন। দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ৯১ রান, সেটিও মাত্র ৮৯ বলে। ৮৪ বলে ৮৩ রান করে আউট হয়েছেন শান্ত, তার খানিক পর ৬৫ বলে ৬৪ রান করে ফিরে গেছেন মোসাদ্দেক হোসেন। তারপরও আবাহনীর রান ৩০০র কাছাকাছি যাওয়ার জন্য দুর্দান্ত কিছু করতে হতো। সেটা করেছেন সাব্বির রহমান। ৩৫ বলে ৬১ রান করে শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন, চারটি চারের সঙ্গে মেরেছেন চারটি ছয়ও। আর তাতেই ২৮৫ পর্যন্ত যেতে পেরেছে আবাহনী।
সেই রান তাড়া করতে নেমে ১ রানেই তানজিদ হাসানকে হারিয়ে ফেলে উত্তরা স্পোর্টিং। এরপর বাকি ব্যাটসম্যানরা ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। শেষ পর্যন্ত ৩৩ ওভারে ৮৯ রানেই অলআউট হয়ে গেছে উত্তরা। আবাহনীর যে ছয়জন বোলার বল করেছেন, উইকেট পেয়েছেন সবাই। ৩ উইকেট নিয়ে সফলতম রুবেল হোসেনই। আর দুই ওভার বল করে চার রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন সাব্বির।