• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ৬৯১ রান ও তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে জিতল রূপগঞ্জই

    ৬৯১ রান ও তিন সেঞ্চুরির ম্যাচে জিতল রূপগঞ্জই    

    লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ৩৫৭/৭ (মোহাম্মদ নাঈম ১২২, নাঈম ইসলাম ১০৮; হামিদুল ২/৪৫)

    শাইনপুকুর ৪৯ ওভারে ৩৩৪ ( সাব্বির ১০০, তৌহিদ ৮৩; নাবিল সামাদ ৩/৫১ )

    ফলঃ রূপগঞ্জ ২৩ রানে জয়ী


    বিকেএসপির মাঠ মানেই রানের ফুলঝুরি। প্রিমিয়ার লিগের সর্বোচ্চ সব ইনিংসের রেকর্ড হয়েছে এই মাঠেই। আজ সবচেয়ে বেশি রান তাড়ার রেকর্ডটা ভাঙার কাছাকাছি চলে গিয়েছিল শাইনপুকুর। শেষ পর্যন্ত তা অবশ্য আর হয়নি। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের ৩৫৮ রানের লক্ষ্য তাড়া করে শেষ পর্যন্ত তারা করতে পারে ৩৩৪।

     

     

    ব্যাট করতে নেমে রূপগঞ্জের দুই ওপেনার আজমির আহমেদ ও মোহাম্মদ নাঈম শুরু থেকেই ঝড় তুলতে শুরু করেন। ১৭.২ ওভারেই আজমির আহমেদ ও নাঈম তুলে ফেলেন ১৩২ রান। আজমির ৪৮ রানে আউট হয়ে গেলেও নাঈমের ঝড় চলছিলই। ৮১ বলেই সেঞ্চুরি পেয়ে যান সেঞ্চুরি, লিস্ট তে যা তাঁর প্রথম।

    ততক্ষণে ‘ছোট’ নাঈমের সঙ্গে যোগ দিয়েছেন বড় নাঈমও। আটটি চার ও ছয়টি ছয়ে মোহাম্মদ নাঈম ১০৮ বলে ১২২ রান করে আউট হয়ে গেলেও নাঈম ইসলামের ব্যাট শাইনপুকুরকে শাসন করেছে আরও বেশ কিছুক্ষণ। ৯৩ বলে সেঞ্চুরি পেয়েছেন নাঈম সিনিয়র, ৯৮ বলে ১০৮ রান করে আউট হয়েছেন। শেষ ১০ ওভারে রূপগঞ্জ যোগ করেছে ৯৬ রান। বাংলাদেশের লিস্ট এ ক্রিকেটে এক ইনিংসে আবাহনীর ৩৭১ রানের রেকর্ডটা অবশ্য ভাঙা হয়নি।

    তবে সেই রান তাড়া করে ভালোই জবাব দিচ্ছিল শানপুকুর। প্রথম ১০ ওভারেই ৮৬ রান তুলে নেন দুই ওপেনার উদয় কৌল ও সাব্বির হোসেন। উদয় ২৯ রান করে আউট হয়ে গেলেও সাব্বির খেলছিলেন দারুণ। ৮৭ বলে লিস্ট এ ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরিও পেয়ে যান। এরপরেই নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করে শাইনপুকুর। তৌহিদ হৃদয়ই যা একটু চেষ্টা করেছিলেন, তবে তাঁর ৮১ বলে ৮৩ রানের ইনিংস শেষের সঙ্গে ভেস্তে যায় শাইনপুকুরের আশাও। শেষ দিকে সোহরাওয়ার্দী শুভ, দেলোয়ার হোসেনরা চেষ্টা করলেও শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন।