৩০০ রানও নিরাপদ নয় বিকেএসপিতে!
স্কোর
প্রাইম ব্যাংক ৫০ ওভারে ৩০১/৮ (আল আমিন ১১১, সুদীপ ৫৭; সানি ২/৩৪, ফরহাদ ২/৪৩)
প্রাইম দোলেশ্বর ৪৮.২ ওভারে ৩০২/৫ (সাইফ ৮৫, মার্শাল ৭৬, সাদ ৬৪; মনির ২/৪৩)
ফলঃ দোলেশ্বর ৫ উইকেটে জয়ী
আগের দিন রূপগঞ্জের ৩৫৭ রান তাড়া করে কাছাকাছি চলে গিয়েছিল শাইনপুলুর। বিকেএসপির চার নম্বর মাঠে আজ নিরাপদ হলো না ৩০০ রানও। প্রাইম ব্যাংকের ৩০০ রান তাড়া করে প্রাইম দোলেশ্বর তা টপকে গেছে ৫ উইকেট আর ১০ বল হাতে রেখেই।
সেই কাজটা অবশ্য খুব সহজ ছিল না। ১২ রানে সৈকত আলীকে হারানোর পর ৬৩ রানে ফরহাদ হোসেনকেও হারিয়ে বসে দোলেশ্বর। ১৮.৪ ওভারে আসে ১০০ রান, ওভারপ্রতি পাঁচের বেশি রান রেটে। এর মধ্যে সাইফ হাসান ও মার্শাল আয়ুইব হাল ধরেছেন, দুজন তৃতীয় উইকেটে যোগ করেছেন ১১৫ রান। সাইফ ৮৫ রানে আউট হয়ে ভেঙেছে সেই জুটি। দোলেশ্বরের তখনও ১৬.৫ ওভারে দরকার ১২৩ রান।
সেখান থেকে ম্যাচটা সহজ বানিয়ে ফেললেন মার্শাল ও পাকিস্তানের সাদ নাসিম। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন ৭৬ রান, সেটিও মাত্র ৬৪ বলে। মার্শাল ৭৬ রান করে আউট হয়ে গেলেও নাসিম প্রায় শেষ পর্যন্ত নিয়ে গেছেন। ৪৭ বলে ৬৪ রান করে যখন আউট হয়েছেন, জয় থেকে ৬ রান দূরে মাত্র দোলেশ্বর। অন্য পাশে ১৫ বলে ৩৫ রান করে ফেলেছেন দুর্দান্ত ফর্মে থাকা ফরহাদ রেজা। ১০ বল বাকি থাকতেই তাই জিতে গেছে দোলেশ্বর।
তার আগে প্রাইম ব্যাংক ৩০১ রানের পুঁজি পেয়েছে আল আমিনের সেঞ্চুরির সুবাদে। শুরুটা অবশ্য ভালো হয়নি প্রাইমের, ৫২ রানের মধ্যে হারিয়ে ফেলেছিল ২ উইকেট। এরপর ভারতের সুদীপ চ্যাটার্জির সঙ্গে ১১০ রানের জুটি গড়েছেন আল আমিন। চ্যাটার্জি ৫৭ রানে আউট হলেও আল আমিন পেয়েছেন লিস্ট এ ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি।
শেষ পর্যন্ত ৯৯ বলে ১১১ রান করে থেমেছেন আল আমিন, শেষ দিকে নিয়মিত উইকেট হারানোয় প্রাইম ব্যাংকের রান ৩০১ রানের বেশি হয়নি। সেই কাজটা করেছেন আরাফাত সানি ও ফরহাদ রেজা। ১০ ওভারে ৩৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সানি, ৪৬ রান দিয়ে ২ উইকেট পেয়েছেন রেজা।