• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শেষ ওভারেই মোহামেডানকে জেতালেন রকিবুল

    শেষ ওভারেই মোহামেডানকে জেতালেন রকিবুল    

    স্কোর

    খেলাঘর ৪৭.২ ওভারে ২২৫ (মোসাদ্দেক ইফতেখার ৮৭, অমিত ৩৭; গাজী ৩/৪১, অনীক ২/১৯, বাবু  ২/৪২ )

    মোহামেডান ৪৯.২ ওভারে ২২৮/৬ (রকিবুল ৮৪*, মজিদ ৪০, নাদিফ ৩৯; রবিউল ২/৪১, তানভীর ২/৪১)

    ফলঃ মোহামেডান ৪ উইকেটে জয়ী


     

    লক্ষ্য ছিল ২২৬। সেটাই একটা সময় কঠিন হয়ে গেল মোহামেডানের জন্য। শেষ ৭ ওভারে দরকার ছিল ৪৯ রান, তখনও অবশ্য হাতে ছিল ৬ উইকেট। শেষ ওভারে সেটি নেমে এলো ৯ রানে, হাতে ৪ উইকেট। ইরফান শুক্কুরের প্রথম বলে ওয়াইড হলো, পরের দুই বলে ছয় ও চার মেরে জয় এনে দিলেন রকিবুল হাসান। প্রিমিয়ার লিগে টানা দুই ম্যাচেই জয় পেল মোহামেডান।

    অথচ ২২৬ রানের লক্ষ্যটাই একসময় বড় হয়ে যাচ্ছিল মোহামেডানের জন্য। ৬৪ রানে অভিষেক মিত্রকে হারানোর পর ৬৮ রানে হারিয়ে ফেলে আবদুল মজিদকেও। ইরফান শুক্কুরও ফিরলেন ১৬ রান করে, মোহামেডানের রান তখন  ৯৭। মোহাম্মদ আশরাফুল আজ অবশেষে দুই অঙ্ক ছুঁলেন, কিন্তু ২২ বলে ১০ রানের বেশি করতে পারলেন না। ৩৩ ওভারে মোহামেডানের রান তখন ১২২, বাকি ১৭ ওভারে করতে হবে ১০৪ রান।

    তবে রকিবুল এক প্রান্তে ছিলেন অটল। নাদিফ চৌধুরীকে নিয়ে। তারপর আউট হলেন ৩৮ বলে ৩৯ রান করে, দ্রুত ফিরে গেলেন সোহাগ গাজীও। তবে আলাউদ্দিন বাবুকে নিয়ে বিপদ হতে দেননি রকিবুল, আটটি চার ও একটি ছয়ে ৮৮ বলে ৮৪ রান করে মাঠ ছেড়েছেন দলকে জিতিয়েই।

    তার আগে খেলাঘরের হয়ে রকিবুলের মতো দায়িত্বটা পালন করেছেন মোসাদ্দেক ইফতেখার।  তিনিও নেমেছেন চারেই, ৩৪ রানে তখন ২ উইকেট হারিয়ে বসেছে খেলাঘর। অমিত মজুমদারকে নিয়ে শুরুতে যোগ করলেন ৮৬ রান। অমিত ৩৭ রানে হারিয়ে হলেন, তবে মোসাদ্দেক যাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির দিকেই। কিন্তু অন্য পাশে নিয়মিত উইকেট হারাতে শুরু করল খেলাঘর। অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসেবে ৮৭ রান করে আউট হলেন মোসাদ্দেক, খেলাঘরের রান তখন ২১৯। এরপর পুরো ৫০ ওভারও খেলতে পারেনি, তার আগেই অলআউট হয়ে গেছে ২২৫ রানে।  

     

     


    বিকেএসপি ৫০ ওভারে ২৪৯/৭ (জয় ৮৫, আমিনুল ৬৩*; )

    গাজী গ্রুপ ৪৯.২ ওভারে ২৫২/৬ ()

    ফলঃ গাজী ৪ উইকেটে জয়ী


    মিরপুরের মতো ফতুল্লায়ও আজ হয়েছে প্রায় একই চিত্রনাট্যের পুনরাবৃত্তি। মোহামেডানের মতো গাজী গ্রুপও জিতেছে ৪৯.২ ওভারে, রকিবুলের মতো জিতিয়েছেন তৌহিদ তারেক। অন্য পাশে অবশ্য পাশে পেয়েছিলেন আবু হায়দার রনিকে।

    শুরুতে ব্যাট করে বিকেএসপি পেয়েছিল দারুণ একটা শুরু। ৩৫ ওভারের মধ্যে তুলে ফেলেছিল ১৫০ রান, ৮৫ রানে মাহমুদুল হাসানের আউটে ভেঙেছে সেই জুটি। রাতুল খান আহত অবসর হয়ে নেমে গেছেন এর আগেই, শামীম হোসেন পরে আউট হয়েছেন ৪৪ রানে। তবে এরপর থেকেই পথ হারাতে শুরু করে বিকেএসপি, শেষ পর্যন্ত থেমেছে ২৪৯ রানে।

     

     

    কিন্তু এই রান তাড়া করেই ৪ রানে অধিনায়ক ইমরুল কায়েসকে হারিয়ে বসে গাজী। রনি তালুকদার করেছেন ১৫ রান, শামসুর রহমান আউট ২৩ রান করে। ৯২ রানে পারভেজ রসুলকে হারানোর পর চাপেই পড়ে যায়। কিন্তু মাহেদী হাসানের ৭০ রানে তারা পথেই ছিল। তৌহিদ তারেকের অপরাজিত ৭৬ ও রনির অপরাজিত ৩২ রানে শেষ পর্যন্ত চার বল হাতে রেখে সেই রান টপকে যায় গাজী।