• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ১৩৮ পেরুতে গলদঘর্ম গাজী, ২০১ করেও জয় বিকেএসপির

    ১৩৮ পেরুতে গলদঘর্ম গাজী, ২০১ করেও জয় বিকেএসপির    

    লো-স্কোরিং ম্যাচ দুই জায়গাতেই। খেলাঘরের ১৩৮ রান টপকে যেতে ৭ উইকেট পড়ে গিয়েছিল গাজী গ্রুপের, আর ২০১ রানের সম্বল নিয়েও উত্তরাকে ২০ রান দূরে থামিয়ে দিয়েছে বিকেএসপি। গাজী গ্রুপ ও বিকেএসপি- দুই দলই পেয়েছে নিজেদের দ্বিতীয় জয়। 


    খেলাঘর-গাজী গ্রুপ, বিকেএসপি
    খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ১৩৮ অল-আউট, ৪৭.৫ ওভার (অঙ্কন ৫৭, নাজিমউদ্দিন ২১, রাব্বি ৫/২৪, মেহেদি ২/২৮)
    গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ১৪২/৭, ৩৯.৫ ওভার (রসুল ৫৯*, শামসুর ৫১, রবিউল ৫/৪১, তানভীর ১/৩৪)
    গাজী গ্রুপ ৩ উইকেটে জয়ী 

    খেলাঘরের তিনজন ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, গাজী গ্রুপের সেটা করেছেন মাত্র দুইজন। ৫ উইকেট পেয়েছেন দুই দলেরই একজন করে বোলার। শেষ পর্যন্ত শেষ হাসি গাজী গ্রুপেরই। টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা খেলাঘর আটকে গিয়েছিল ১৩৮ রানেই, কামরুল ইসলাম রাব্বির ৫ উইকেটের তোপে। মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের ৫৭ রানের পর নাজিমউদ্দিনের ২১ ও ভারতীয় অশোক মানেরিয়ার ১৫ রানের ইনিংস যা সহায়তা করেছিল খেলাঘরকে। 

    রানতাড়ায় ৩৮ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে বসেছিল গাজী গ্রুপ, ৫ম উইকেটে শামসুর রহমান ও পারভেজ রসুলের ৬২ রানের জুটিতে মোটামুটি ভাল অবস্থানেই গিয়েছিল তারা এরপর। এরপর শামসুরেরটি সহ দ্রুত ২ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়া গাজীকে লাইন পার করিয়েছেন রসুল, ৫৯ রানে অপরাজিত থেকে। ৩৬ বল খেলে ৬ রানে অপরাজিত থাকা আবু হায়দার রনি সঙ্গ দিয়েছিলেন তাকে। 


    বিকেএসপি-উত্তরা, ফতুল্লা
    বিকেএসপি ২০১/৮, ৫০ ওভার (মাহমুদুল ৬৬, আমিনুল ৩৩, নাহিদ ২/৩০, গাফফার ২/৩৪) 
    উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ১৮১ অল-আউট, ৪৯ ওভার (দার ৫১, সখির ৫০, সুমন ৪/৪১, মাসুদ ২/৩০) 
    বিকেএসপি ২০ রানে জয়ী 

    ফতুল্লায় টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া বিকেএসপির শুরুটা হয়েছিল বেশ ধীরলয়ের, প্রথম ৩০ ওভারে তারা তুলেছিল ১১১ রান। তবে উইকেট ততক্ষণে গিয়েছিল মাত্র ১টি। অবশ্য সে ভিতে দাঁড়িয়ে উড়ানটা দিতে পারেনি তারা, শেষ ২০ ওভারে ৯০ রান তুলতে আরও ৭ উইকেট হারিয়ে। ওপেনার মাহমুদুল ৬৬ রান করেছেন ৮৯ বলে, সাতে নেমে ২৬ বলে ১৭ করেছেন পারভেজ হোসেন ইমন। উত্তরার ছয় বোলারের কেউই ৫.১৪-এর বেশি ইকোনমিতে বোলিং করেননি। 

     

     

    জবাবে ৪৯ রানে ৩ উইকেট হারালেও জনি তালুকদার ও পাকিস্তানী রাজা আলি দারের ৮৯ রানের জুটিতে ইনিংসের প্রথম ভাগে নিয়ন্ত্রণ ছিল উত্তরার কাছেই। তবে পরের ভাগে ছিটকে গেছে তারা নিয়মিত উইকেট ও রান-বলের ব্যবধানের চাপে পড়ে। দারের ৫১ রানের পর ৬৪ বলে ৫০ করেছিলেন সখির হোসেন, তাতেও লাভ হয়নি উত্তরার। সুমন খানের ৪১ রানে ৪ উইকেটের তোপে তারা জয় থেকে ২০ রান দূরে অল-আউট হয়ে গেছে ১ ওভার বাকি থাকতেই।