• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শাইনপুকুরকে হারিয়ে আবাহনীর চারে চার

    শাইনপুকুরকে হারিয়ে আবাহনীর চারে চার    

    স্কোর

    শাইনপুকুর ৫০ ওভারে ২০৩/৯ (আফিফ ৪৮, তৌহিদ ৩৯; মোসাদ্দেক ৩/৪১, রুবেল ২/২৮, অপু ২/৪১)

    আবাহনী ৪৮.৩ ওভারে ২০৬/৫ (জাফর ৭৬, শান্ত ৪২, সৌম্য ৩৩; শরিফুল ৩/৪৪)

    ফলঃ আবাহনী ৫ উইকেটে জয়ী


    কাগজে কলমে এমনিতেই সবচেয়ে শক্তিশালী দল ছিল তারা। তার ওপর ক্রাইস্টচার্চ-ট্র্যাজেডিতে বাংলাদেশ দল দেশে ফিরে আসায় আগেভাবেই আবাহনী পেয়ে গেছে সৌম্য সরকারকে। শাইনপুকুরকে হারাতে তাই তেমন কষ্ট হয়নি চ্যাম্পিয়নদের, প্রিমিয়ার লিগে জয় পেয়েছে টানা চার ম্যাচে।

    শাইনপুকুরও অবশ্য আজ পেয়েছে নিউজিল্যান্ড থেকে ফেরা ওপেনার সাদমান ইসলামকে। তবে শুরুতে ব্যাট করে সাদমান আউট হয়ে গেছেন ১৬ রানেই। ৪০ রানের মধ্যে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে শাইনপুকুর তখন কাঁপছে। সাদমানের আগেই ফিরে গেছেন সাব্বির হোসেন ও উদয় কৌল।

    এরপর তৌহিদ হৃদয় ও আফিফ হোসেন হাল ধরেছেন শাইনপুকুরের হয়ে। চতুর্থ উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৮১ রান। কিন্তু ৪৮ রানে আফিফকে ফিরিয়ে দেন বিস্ময়করভাবে আজ আবাহনীর সেরা বোলার মোসাদ্দেক হোসেন। ১২১ রানে চতুর্থ উইকেট হারায় শাইনপুকুর, আবার পথ হারিয়ে ফেলে এরপর। খানিক পর তৌহিদও ফিরে যান ৩৯ রান করে।

    এরপর সোহরাওয়ার্দী শুভ ও ধীমান ঘোষ একটু চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু রানের গতিটা খুব বাড়িয়ে নিতে পারেননি দুজন। ধীমান ২২ রান করলেও শুভ শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ২৪ রান করে। নির্ধারিত ৫০ ওভারে তাই ২০৩ রানের বেশি করতে পারেনি শাইনপুকুর। মোসাদ্দেক ৩ উইকেট পেলেও রুবেল ছিলেন সবচেয়ে মিতব্যয়ী। ২৮ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।

     

     

    এই রান আবাহনীর তারকাখচিত ব্যাটিং লাইন আপের জন্য বড় কিছু হওয়ার কথা ছিল না। তা হয়ওনি। ভারতের ওপেনার ওয়াসিম জাফর ও সৌম্য সরকার শুরুতে এনে দিয়েছেন ৬২ রানের জুটি। সৌম্য ৩৩ রান করে আউট হয়েছেন, কিন্তু এরপর জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্ত ৮৫ রানের আরেকটি জুটিতে জয় প্রায় নিশ্চিত করে দিয়েছেন। ৪২ রান করেছেন শান্ত, জাফর পরে আউট হয়েছেন ৭৬ রান করে। এরপর মিঠুন ও মোসাদ্দেক দ্রুত আউট হয়ে গেলেও জিততে সমস্যা হয়নি আবাহনীর। ৯ বল হাতে রেখেই জয় এনে দিয়েছেন সাব্বির রহমান ও মুনিম শাহরিয়ার।