দুই সেঞ্চুরি, আরিফুল-ঝড় ও বৃষ্টিতে প্রাইম ব্যাংকের জয়
প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৪৪/৬, ৫০ ওভার
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২০৬/৪, ৩৭.১ ওভার
প্রাইম ব্যাংক ডি-এল পদ্ধতিতে ২৯ রানে জয়ী
এনামুল হকের টানা দ্বিতীয়র সঙ্গে অভিমন্যু ঈশ্বরনের সেঞ্চুরির পর আরিফুল হকের ঝড়ো ইনিংসে ৩৪৪ রান তোলা প্রাইম ব্যাংক বৃষ্টিবিঘ্নিত ম্যাচে ডি-এল পদ্ধতিতে হারিয়ে দিয়েছে শেখ জামালকে। নাসির হোসেন ও নুরুল হাসানের দুই ফিফটি বড় রানতাড়ায় যথেষ্ট হয়নি শেখ জামালের জন্য, বৃষ্টির আগে প্রাইম ব্যাংককে টপকে যেতে পারেনি তারা।
বিকেএসপিতে টসে হেরে ফিল্ডিংয়ে নামা প্রাইম ব্যাংক ধাক্কা খেয়েছিল শুরুতেই, ৫ রানেই ফিরেছিলেন ওপেনার রুবেল মিয়া। প্রাইম ব্যাংকের পরের উইকেটের জন্য শেখ জামালকে অপেক্ষা করতে হয়েছে এরপর প্রায় ৩৫ ওভার, দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে এনামুল ও ঈশ্বরন তুলেছেন ১৯৪ রান। ১২০ বলে ৮ চারে ১০১ রান করার পর তানভীরের বলে আউট হয়েছেন এনামুল, এর আগের ম্যাচে ১৬৪ রান তাড়ায়ও রূপগঞ্জের বিপক্ষে তিনি করেছিলেন সেঞ্চুরি।
জাকির হাসান ও আল-আমিন এরপর দ্রুত ফিরলেও প্রাইম ব্যাংককে টেনেছেন ঈশ্বরণ। শেষ পর্যন্ত জিয়াউরের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে ১২৬ বলে করেছেন ১৩৩ রান, ১০টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। লিস্ট ‘এ’-তে এটি তার ৫ম সেঞ্চুরি, আর এনামুলেরটি তার ক্যারিয়ারের ১১তম।
৪৫ ওভার শেষে প্রাইম ব্যাংকের স্কোর ছিল ৫ উইকেটে ২৬৬। এরপরই আরিফুল তুলেছেন ঝড়, ৪৬ ও ৪৭তম ওভারে মোট ৪৬ রানসহ শেষ ৫ ওভারে উঠেছে ৭৮ রান! আরিফুল ৬৭ রান করেছেন মাত্র ৩২ বলে, ২০০-এর বেশি স্ট্রাইক রেটে। ৪ চারের সঙ্গে মেরেছেন ৩টি ছয়। সঙ্গে ছিল অলক কাপালির ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিও।
শেখ জামালের রানতাড়ার শুরুটা ভালই হয়েছিল ইমতিয়াজ হোসেন ও ফারদিন হাসানের ওপেনিং জুটিতে। তবে এরপরই ১৭ রানের ভেতর ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। ৪র্থ উইকেটে নাসির ও নুরুলের জুটিতে উঠেছে ১১৬ রান। সমান বলে ১০ চার ও ২ ছয়ে ৭৬ রান করে নাসির রাজ্জাকের শিকার। তানভীরকে নিয়ে এরপর অবিচ্ছিন্ন ছিলেন নুরুল, নিজে করেছিলেন ৬৫ বলে ৫৪ রান।
বৃষ্টি নামার আগে শেখ জামালের প্রয়োজন ছিল ৭৭ বলে ১৩৯ রানের। প্রয়োজন ছিল আরিফুলের মতো কোনও ঝড়। তবে বৃষ্টি আর থামেনি, সেখানেই আটকে গেছে শেখ জামাল।
৪ ম্যাচে ৩ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলে আবাহনীর (৮ পয়েন্ট) পর এখন প্রাইম ব্যাংক, আর একমাত্র জয়ে নয়ে শেখ জামাল।