'লো-স্কোরার'দের লড়াইয়ে জিতে খেলাঘরের 'প্রথম'
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ২১২/৮, ৫০ ওভার
বিকেএসপি ১৮৫/৯, ৫০ ওভার
খেলাঘর ২৭ রানে জয়ী
আবাহনীর বিপক্ষে ২১৭ রানের লক্ষ্যে ৬০ রানে হার। উত্তরার বিপক্ষে ২০১ রান করেও ২০ রানের জয়। বিকেএসপির ম্যাচ মানেই যেন লো-স্কোরিং, এর আগে তিন ম্যাচে তাদের সর্বোচ্চ স্কোর ছিল প্রথমে ব্যাটিং করে ২৪৯ রান, সেটাও গাজী গ্রুপ পেরিয়ে গিয়েছিল ৪ বল বাকি থাকতে। এবার তাদের প্রতিপক্ষ খেলাঘর, যাদের আগের তিন ম্যাচে সংগ্রহ ছিল ১৯৫, ২২৫ ও ১৩৮। দুই ‘লো-স্কোরার’ এর লড়াইয়ে শেষ হাসি খেলাঘরের, তাদের দেওয়া ২১৩ রানের লক্ষ্যে বিকেএসপি পুরো ৫০ ওভার খেলেও থামলো ১৮৫ রানে। খেলাঘরের মৌসুমের প্রথম জয় এলো এভাবেই।
ফতুল্লায় টসে জিতে ব্যাটিং করতে নামা খেলাঘরের ইনিংসে হাইলাইটস মূলত রবিউল ইসলাম রবি ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কনের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে ১২০ রান। ১৩ রানেই ফিরেছিলেন ওপেনার সাদিকুর রহমান, এরপর অঙ্কন ৪৯ রানে ফিরলেও রবি করেছেন ৭৫ রান। মৌসুমের প্রথম ফিফটি ইনিংসে রবি খেলেছেন ১১৭ বল, ৫ চারের সঙ্গে মেরেছেন ১টি চার।
খেলাঘরের ইনিংসে এরপর নেমেছিল ছোটখাট একটা ধস, ৫ রানের ব্যবধানেই ফিরেছিলেন তিন ব্যাটসম্যান। এরপর ৭ম থেকে ৯ম- তিন ব্যাটসম্যান মিলে ৪৬ রান, তাতেই ২১২ রান পর্যন্ত গিয়েছিল খেলাঘর। বিকেএসপির হাসান মুরাদ ৩৩ রানে নিয়েছেন ৩ উইকেট, শামীম ২ উইকেট নিয়েছেন ৩১ রানে। একটি করে নিয়েছেন আবু নাসের, সুমন খান ও নওশাদ ইকবাল।
জবাবে ৪০ রানে ৩ উইকেট হারিয়েছিল বিকেএসপি। এরপর ৪র্থ ও ৫ম উইকেটে উঠেছিল যথাক্রমে ৩৮ ও ৪৬ রান। ১০ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে তারা, সে চাপটা আর সামাল দিতে পারেনি প্রিমিয়ার লিগের নবাগত এই দল। শামীম হোসেনের ৮৮ বলে ৫৬ রানের পর আব্দুল কাইয়ুমের ২২, পারভেজ হোসেনের ২০ ও সুমন খানের অপরাজিত ২৪ রানের ইনিংসও যথেষ্ট হয়নি তাদের।
২টি করে উইকেট নিয়েছেন খেলাঘরের চারজন বোলার- রবিউল হক, রবিউল ইসলাম রবি, ইরফান হোসেন ও মাসুম খান। আর তানভীর ইসলাম নিয়েছেন একটি। অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন রবি।