• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    মিজানুর-জুনাইদ-ফজলেরা পাত্তাই দিলেন না উত্তরাকে

    মিজানুর-জুনাইদ-ফজলেরা পাত্তাই দিলেন না উত্তরাকে    

    উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ২৬৪/৮, ৫০ ওভার 
    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ২৬৭/২, ৪৮.২ ওভার 
    ব্রাদার্স ৮ উইকেটে জয়ী


    স্কোরটা যে কম ছিল, তা নয়। উত্তরার ২৬৪ রানের চেয়ে এ মৌসুমে প্রিমিয়ার লিগে বেশি স্কোর আছে আর নয়টি। তবে সে স্কোরকেও পাত্তা দিল না ব্রাদার্স। মিজানুর রহমানের সেঞ্চুরি, জুনাইদ সিদ্দিকের ৯২ ও ফজলে রাব্বির ৫৭ রানে ভর করে উত্তরার দেওয়া লক্ষ্য ব্রাদার্স পেরিয়ে গেছে ৮ উইকেট ও ১০ বল বাকি থাকতে। 

    বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়ে উত্তরার ওপেনিং জুটিতেই উঠেছিল ১০২ রান। ৭২ বলে ৫৮ রান করা আনিসুল ইসলাম ইমনের উইকেট দিয়ে প্রথম ব্রেকথ্রু পেয়েছে ব্রাদার্স। ২৩ রান করা জনি তালুকদারের পর তানজিদ হাসান ফিরেছেন শরিফুল্লাহর বলে, ৯৫ বলে ৭৫ রান করে। ৪র্থ উইকেটে অধিনায়ক মোহাইমেনুল খান ও রাজা আলি দার মিলে যোগ করেছেন ৬২ রান। মোহাইমেনুল করেছেন ৫১ বলে ৬৪ রান। শরিফুল্লাহর মতো ২ উইকেট নিয়েছেন চেরাগ জানি। 

    ২৬৫ রানতাড়ায় ব্রাদার্সের গল্পটা জুনাইদ সিদ্দিকের সঙ্গে দুই জুটির। ওপেনিংয়ে মিজানুর রহমানের সঙ্গে তার জুটি ১৬১ রানের। ১১৩ বলে ১০ চার ও ৫ ছয়ে ১০৮ রান করে আউট হয়েছেন মিজানুর, এটি তার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরি। 

    অবশ্য সেঞ্চুরি পাওয়া হয়নি জুনাইদের, ক্যাচ দেওয়ার আগে ১১২ বলে ৫ চারে তিনি করেছেন ৯২ রান। তিনে নামা ফজলে মাহমুদ রাব্বির সঙ্গে জুনাইদের জুটি ছিল ৯৩ রানের। জুনাইদ ফিরলেও জয় নিশ্চিত করেই ফিরেছেন রাব্বি, শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৫৫ বলে ৫৭ রানে, মেরেছেন চারটি চার ও তিনটি ছয়। 

     

     

    চার ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয় ব্রাদার্সের, আর প্রথম ম্যাচে শেখ জামালকে ভড়কে দেওয়ার পর এখনও দ্বিতীয় জয় পাওয়ার অপেক্ষায় উত্তরা।