• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    এনামুলের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির পর থামলো আবাহনীর জয়যাত্রা

    এনামুলের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরির পর থামলো আবাহনীর জয়যাত্রা    

    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩০২/৫, ৫০ ওভার 
    আবাহনী লিমিটেড ২৮৬ অল-আউট, ৪৮.৫ ওভার 
    প্রাইম ব্যাংক ১৬ রানে জয়ী 


    এনামুল হকের টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি, অভিমন্যু ঈশ্বরনের আশি-পেরুনো ইনিংসের সঙ্গে আরিফুলের ঝড়ের পর আল-আমিন-নাহিদুল-রাজ্জাকের বোলিং তোপে আবাহনীকে আটকে দিয়েছে প্রাইম ব্যাংক। টানা চার ম্যাচ জেতার পর এই মৌসুমে প্রথমবার হারলো আবাহনী, প্রাইম ব্যাংক পেল টানা তৃতীয় জয়। ৩০৩ রানতাড়ায় ঠিক পথেই ছিল আবাহনী, আল-আমিনের এক স্পেলে বদলে গেছে সব চিত্র। ৫ ম্যাচ খেলে আবাহনীর সমান ৮ পয়েন্ট এখন প্রাইম ব্যাংকেরও, রানরেটে পিছিয়ে দুইয়ে তারা, সমান পয়েন্ট নিয়ে তিনে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। 

    ফতুল্লায় টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল আবাহনী। প্রথম ব্রেকথ্রুর আগেই এনামুল ও জাকির হাসানের ওপেনিং জুটি ছুঁয়ে ফেলেছে ফিফটি, এরপর দ্বিতীয় উইকেটে আবাহনীকে পিষ্ট করেছেন এনামুল ও ঈশ্বরন। আগের ম্যাচে শেখ জামালের বিপক্ষে দুজন যোগ করেছিলেন ১৯৪ রান, এবার তুললেন ১৫৪ রান। সানজামুলের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে ঈশ্বরন করেছেন ৪ চার ও ২ ছয়ে ৯৬ বলে ৮৫ রান। 

    সানজামুলকে ছয় মেরে ক্যারিয়ারের ১২তম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন এনামুল, আগের দুই ম্যাচে করেছিলেন যথাক্রমে অপরাজিত ১০০ ও ১০১ রান। সমান্তর ধারা মানছেন যেন তিনি, এবার থেমেছেন ১০২ রানে। নাজমুল ইসলামের বলে এলবিডব্লিউ হওয়ার আগে খেলেছেন ১২৮ বল, মেরেছেন ৫টি চার ও ২টি ছয়। এরপর আল-আমিন ও নাজমুল হোসেন মিলনের উইকেট হারিয়েছে প্রাইম ব্যাংক, তবে তাদের উড়ানটা নিশ্চিত করেছেন আরিফুল হক। ৭ চারে ৫১ রান করেছেন মাত্র ২৭ বলে, শেষ পর্যন্ত ছিলেন অপরাজিত। তার সঙ্গে ছিলেন অলক কাপালি, তিনি খেলেছেন ৫ বলে ১৫ রানের ক্যামিও। শেষ ৪ ওভারে ৪৯ রান তুলেছে প্রাইম ব্যাংক। সাতজন বোলার ব্যবহার করেছে আবাহনী, উইকেট পেয়েছেন পাঁচজন। তবে খরুচে ছিলেন কমবেশি সবাই। 

    রানতাড়ায় শুরুতেই জহুরুল ইসলামের উইকেট হারিয়ে চাপে পড়েছিল আবাহনী। সৌম্য সরকার ও ওয়াসিম জাফর সেটা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছেন দ্বিতীয় উইকেটে ওভারপ্রতি ছয়ের ওপর হারে ৬২ রান তুলে। ৩৩ বলে ৩৬ রান করে নাহিদুলের বলে ক্যাচ দিয়েছেন সৌম্য। 

    আবাহনীকে বেশ আশা জুগিয়েছিল জাফর ও শান্তর তৃতীয় উইকেট জুটি, যেখানে ১২১ বলে উঠেছিল ১৩২ রান। তবে আল-আমিনের দারুণ এক স্পেলে ভেস্তে গেছে সব। ৫ ওভারের সে স্পেলে তিনি ফিরিয়েছেন একে একে জাফর, মোহাম্মদ মিঠুন ও শান্তকে। জাফর থেমেছেন সেঞ্চুরি থেকে ৬ রান দূরে, ৯১ বল খেলে মেরেছেন ৯টি চার ও ১টি ছয়। শান্ত ৭৩ রান করতে খেলেছেন ৮২ বল, ৪ চারে সঙ্গে মেরেছেন ১টি ছয়। 

     

     

    আবাহনীকে এরপরও আশা জুগিয়েছিলেন মোসাদ্দেক, তবে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ছিটকে গেছে তারা। মোসাদ্দেক ৪৭ বলে করেছেন ৫২ রান, ৩ চার ও ১ ছয়ে। রাজ্জাক ও নাহিদুলের তোপে জয় থেকে ১৬ রান দূরে আটকে গেছে আবাহনী। প্রথমজন ৩ উইকেট নিয়েছেন ৫৭ রানে, পরেরজন সমানসংখ্যক উইকেট নিতে খরচ করেছেন ১ রান কম।