মেহেদী-জাকেরের সেঞ্চুরিতে ছুটছে রূপগঞ্জ
স্কোর
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস ৫০ ওভারে ২৫০/৯ (রসুল ৮৬, ইমরুল ৪৮; মুক্তার ২/৫৪)
লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ ৪৫.৩ ওভারে ২৫৩/২ (মারুফ ১৩৭*, জাকের ১০৭*; হায়দার ১৪১)
ফলঃ রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী
অনেক দিন ধরেই রান পাচ্ছিলেন না, বিপিএলেও নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন মেহেদী মারুফ। অবশেষে সেঞ্চুরি দিয়েই ঘোঁচালেন রান খরা। আরেকজন জাকের আলীর লিস্ট এ তে সেঞ্চুরি ছিল না কোনো, আজ সেটাও হয়ে গেল। দুজনের সেঞ্চুরিতে গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্সের ২৫০ রান মামুলিই হয়ে গেল লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জের কাছে। ৮ উইকেটের জয়ে পাঁচ ম্যাচে নিজেদের চতুর্থ জয় পেয়েছে রূপগঞ্জ। আর গাজী গ্রুপের পাঁচ ম্যাচে এটি তৃতীয় পরাজয়।
মিরপুরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে গাজী গ্রুপের শুরুটা একটু সতর্ক ছিল। দুই ওপেনার তাসামুল হক ও ইমরুল কায়েস ৪৯ রান যোগ করেছিলেন ১১.২ ওভারে। তাসামুল ১৭ রানে আউট হলে ভাঙল সেই জুটি, এরপর রনি তালুকদার নেমে দ্রুত ৩০ বলে করলেন ২৯ রান। তাতে চার না থাকলেও ছিল তিনটি ছয়। দলের ৯২ রানে ফিরে যান রনি, এক রান পর ফিরে যান শামসুর রহমানও। অধিনায়ক ইমরুল ফিফটিটা পেয়ে যাবেন বলেই মনে হচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত ৪৮ রান করে আউট হয়ে গেলেন ঋষি ধাওয়ানের বলে। ১১৮ রানে তখন ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে গাজী।
এরপর ভারত অলরাউন্ডার পারভেজ রসুল এসে শুরু করলেন পাল্টা আক্রমণ। মাইশুকুরকে নিয়ে পঞ্চম ইয়ুকেটে যোগ করলেন ৯০ রান, এর মধ্যে মাইশুকুরের অবদান ৩১। তৌহিদ তারেক ১৩ বলে করলেন ১৯, গাজীর রান ২৬০-৭০ পর্যন্ত যেতে আরে বলে মনে হচ্ছিল। রসুলও পাচ্ছিলেন সেঞ্চুরির সুবাস, শেষ পর্যন্ত ৮০ বলে ৮৬ রান। চারটি চারের সঙ্গে মেরেছেন চারটি ছয়ও। ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হলেন, পরের ওভারে আরও দুইটি উইকেট হারাল গাজী। রান শেষ পর্যন্ত ২৫০ এর বেশি হয়নি।
২৫১ রান তাড়া করতে নেমে প্রথম ওভারেই তরুণ মোহাম্মদ নাঈমকে তুলে নেন রুবেল মিয়া। মুমিনুল হক মাত্র ২ রান করেই বোল্ড আব হায়দারের বলে, ২৫ রানে ২ উইকেট নেই রূপগঞ্জের। তবে গাজীর হাসিটা মুছে দিতে সময় লাগেনি মারুফ ও জাকের আলীর। প্রথম ১০ ওভারে এলো ৫১ রান, ১০০ রান এলো ১৯.১ ওভারে। ৪৯ বলে ফিফটি পেলেন মারুফ, জাকেরের ফিফটি এলো ৬৬ বলে। ১০৯ বলে লিস্ট এ ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরি পেলেন মারুফ, খানিক পর ১২৩ বলে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পেলেন জাকেরও। ম্যাচের ফল নিয়ে তখন আর কোনো অনিশ্চয়তা নেই। শেষ পর্যন্ত ১৭ বল বাকি থাকতেই জয় এনে দিলেন দুজন। ১৩৭ রানের ইনিংসে ১২টি চারের সঙ্গে পাঁচটি ছয় মেরেছেন মারুফ, অন্যদিকে ১০৭ রানের ইনিংসে ১৩টি চারের সঙ্গে জাকের মেরেছেন একটি ছয়।