শেষ বলের ছয়ে মোহামেডানকে স্তব্ধ করে দিল শেখ জামাল
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৪০ অল-আউট, ৪৯.১ ওভার
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ২৪২/৮, ৫০ ওভার
শেখ জামাল ৮ উইকেটে জয়ী
শেষ বলে ছয় মেরে মোহামেডানের বিপক্ষে শেখ জামালকে রোমাঞ্চকর এক জয় এনে দিয়েছেন মোহাম্মদ এনামুল। আলাউদ্দিন বাবুর শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ১২ রান, প্রথম ৫ বলে এক রান-আউটসহ উঠেছিল ৭ রান, শেষ বলে দরকার ছিল তাই ৫ রান। ইনিংসে ২ ওভার করেছেন বাবু, গুণেছেন ২১ রান। প্রথম ওভারে ৮ রান দেওয়া তার ওপরই শেষ ওভারে ভরসা রেখেছিলেন মোহামেডান অধিনায়ক রকিবুল হাসান, তবে এনামুল ভন্ডুল করে দিয়েছেন সব।
স্কোর যতই হোক, ম্যাচ শেষ ওভারে নিয়ে যাওয়া যেন অভ্যাস বানিয়ে ফেলেছে মোহামেডান। অবশ্য টানা দ্বিতীয় ম্যাচে ফলটা পক্ষে এলো না তাদের। প্রাইম দোলেশ্বরের বিপক্ষে শেষ বলে চার মেরে মোহামেডানকে জিতিয়েছিলেন শফিউল ইসলাম, সেটাই যেন মোহামেডানকে ফিরিয়ে দিলেন এনামুল!
বিকেএসপিতে টসে জিতে ব্যাটিং নিয়েছিল মোহামেডান। চতুর্থ উইকেটে আব্দুল মজিদ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬২ রানের পর ৭ম উইকেটে চতুরঙ্গ ডি সিলভা ও সোহাগ গাজি যোগ করেছিলেন ৬৪ রান। মজিদ ৫২ রান করতে খেলেছিলেন ৯০ বল, এরপর আশরাফুল করেছেন ৭৪ বলে ৪৪ রান। ডি সিলভার ৩৯ বলে ৪৯ ও সোহাগের ২৪ বলে ৩২ রানের ইনিংসে ২৪০ পর্যন্ত গিয়েছিল মোহামেডান। শেখ জামালের ৭ বোলারের সবাই নিয়েছেন উইকেট, ৪১ রানে ৩টি নিয়েছেন সালাউদ্দিন শাকিল।
রানতাড়ায় ওপেনার হাসানুজ্জামান ফিরেছেন ১৯ রানেই। দ্বিতীয় উইকেটে তানভীর হায়দার ও তৃতীয় উইকেটে নাসির হোসেনকে নিয়ে ইমতিয়াজ হোসেন যোগ করেছেন যথাক্রমে ৭৫ ও ৪৯ রান। ১০২ বলে ১০ চারে ৭৪ রান করে ফিরেছেন ইমতিয়াজ, তার আগেই নাসিরের উইকেটও পেয়ে গিয়েছিল মোহামেডান।
৫ম উইকেটে নুরুল হাসান ও আসেলা গুনারত্নে তুলেছিলেন ৫৪ রান, তবে ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে শেখ জামাল আবার পড়েছিল চাপে। শেষ ১৮ বলে প্রয়োজন ছিল ২৬ রান, ৪৮তম ওভারে ডি সিলভা দিলেন মাত্র ৪ রান, সঙ্গে জিয়াউর রহমানের উইকেট। ৪৯তম ওভারে শফিউল দিয়েছিলেন ১০ রান, বাবুর জন্য ১২ রানের সম্বল রেখে।
৫ বল পর্যন্ত ঠিক পথেই ছিলেন বাবু, এনামুলের ওই ‘অন্তিম শরে বুমেরাং’য়ের আগপর্যন্ত!
৫ ম্যাচে এটি দ্বিতীয় জয় শেখ জামালের, আর মোহামেডান সমানসংখ্যক ম্যাচ খেলে জিতেছে তিনটিতে।