মারুফের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে রূপগঞ্জের টানা তৃতীয় জয়
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ২৬৪/৩, ৫০ ওভার (মানেরিয়া ৮৭, অঙ্কন ৭৭, মুক্তার ১/৪২)
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ২৬৮/৫, ৪৯.২ ওভার (মারুফ ১০৮, নাঈম ৭২, মইনুল ৩/৪২)
রূপগঞ্জ ৫ উইকেটে জয়ী
মেহেদি মারুফের টানা দ্বিতীয় সেঞ্চুরিতে খেলাঘরকে হারিয়ে টানা তৃতীয় জয় পেয়েছে লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ। ৬ ম্যাচে ৫ জয় নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের দুইয়ে উঠে এলো রূপগঞ্জ, তাদের ওপরে এখন শুধু আবাহনী। আর ঠিক বিপরীত অবস্থা খেলাঘরের, ৬ ম্যাচে তাদের মাত্র ১টি জয়, পয়েন্ট টেবিলে তাদের নিচে শুধু উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে রূপগঞ্জের ওপেনিং জুটি শুরুটা করেছিল দুর্দান্ত, মোহাম্মদ নাঈমের ৭৩ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৭২ রানের ইনিংসে। মইনুলের বলে নাঈম ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে ১১৮ রানের সে জুটি। নাঈম খেলার সময় বেশ চুপচাপই ছিলেন মারুফ, ওপেনিং জুটিতে তার অবদান ছিল ৪০ রান। মইনুলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে মারুফ ফিফটি করেছেন ৮৭ বলে।
মুমিনুল হকের সঙ্গে মারুফের জুটি এরপর ৬৪ রানের, শাহরিয়ার নাফীসের সঙ্গে ২৪ রানের। ততক্ষণে আক্রমণাত্মক মুডে চলে গেছেন মারুফ, পরের ফিফটি পূর্ণ করেছেন মাত্র ৩৯ বলে। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি এই ডানহাতির ৬ষ্ঠ সেঞ্চুরি। শেষ পর্যন্ত তিনি করেছেন ১৩৪ বলে ১০৮ রান, ৮ চার ও ২ ছয়ে। ৪৬তম ওভারে আউট হয়েছেন মারুফ, তবে নাঈম ইসলামের ২৫ বলে ২৮ ও জাকের আলির ১২ বলে ১৮ রানের ইনিংসে ৪ বল বাকি থাকতেই জয় নিশ্চিত করেছে রূপগঞ্জ। দিনে খেলাঘরের সেরা বোলার মইনুল, ৪২ রানে তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট।
বিকেএসপিতে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল রূপগঞ্জ। ৪৭ রানে পেয়েছিল প্রথম ব্রেকথ্রু, ঋশি ধাওয়ানের বলে ফিরেছিলেন সাদিকুর রহমান। মাহিদুল ইসলামের অঙ্কনের সঙ্গে এরপর ২য় উইকেটে ৩৮ রান তুলেছিলেন রবিউল ইসলাম রবি, ৮৭ বলে ৫৩ রান করে ফিরেছিলেন রবি। এরপরের গল্প খেলাঘরের তৃতীয় উইকেট জুটির, ১৩১ রান তুলেছিলেন অঙ্কন ও মানেরিয়া। ৯৯ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৭৭ রান করে অঙ্কন ফিরলেও শেষ পর্যন্ত ছিলেন মানেরিয়া, ৭৯ বলে ৭ চার ও ২ ছয়ে ৮৭ রান করে। মইনুলের সঙ্গে শেষ উইকেটে মানেরিয়া যোগ করেছিলেন ৫৮ রান। শেষ ১০ ওভারে খেলাঘর তুলেছিল ৯৩ রান।
তবে মারুফদের কাছে যথেষ্ট হয়নি সেসব।