• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    সাদমান-চাঁদে উজ্জ্বল শাইনপুকুর

    সাদমান-চাঁদে উজ্জ্বল শাইনপুকুর    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ১৯৭/৫, ৪০ (৪০) ওভার 
    শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ২৩৯/২, ৩৫.৪ (৪০) ওভার (লক্ষ্য ২৩৯) 
    শাইনপুকুর ডি-এল পদ্ধতিতে ৮ উইকেটে জয়ী 


    সাদমান ইসলামের ৬৯ বলে ৭৭ ও উন্মুক্ত চাঁদের ৮৩ বলে অপরাজিত ৯০ রানের ইনিংসে ব্রাদার্স ইউনিয়নকে হারিয়ে মৌসুমের দ্বিতীয় জয় পেয়েছে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব। ৪০ ওভারে নেমে আসা বৃষ্টিবিঘ্নিত  ম্যাচে ব্রাদার্সের ১৯৭ রানের বিপরীতে ২৩৯ রানের লক্ষ্য ছিল শাইনপুকুরের, ২৬ বল বাকি থাকতেই সেটি পেরিয়ে গেছে তারা। 

    বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সের ইনিংসে দুইবার হানা দিয়েছিল বৃষ্টি। প্রথমবার নেমেছিল ২৪ ওভার শেষে, তার আগে ব্রাদার্স তুলেছিল ২ উইকেটে ১০৫ রান। ওপেনিংয়ে ৫০ রানের জুটি ছিল জুনাইদ সিদ্দিক ও মিজানুর রহমানের। মিজানুর ও ফজলে ফিরেছেন ৫০ রানেই, এরপর তৃতীয় উইকেটে চেরাগ জানির সঙ্গে জুনাইদের জুটি ৭৬ রানের। জুনাইদ ফিরেছেন ৮৬ বলে ৭৪ রান করে। 

    ৩৬ ওভার শেষে আরেকদফা নেমেছে বৃষ্টি, ইয়াসির আলি ও চেরাগ জানির জুটিতে ততক্ষণে উঠে গেছে ৫০ রান। তবে বৃষ্টিবাধার পর আর ৪ ওভার খেলার সুযোগ পেয়েছে ব্রাদার্স, সেই ৪ ওভারে আরও ২ উইকেট হারিয়ে তারা থেমেছে ১৯৭ রানে। জানি করেছিলেন ৭৬ বলে ৫৪, ইয়াসির অপরাজিত ছিলেন ৪০ বলে ৩৯ রানে। শাইনপুকুরের হয়ে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন শরিফুল ইসলাম ও শুভাগত হোম, ১টি নিয়েছেন সোহরাওয়ার্দি শুভ। 

     

     

    জয়ের জন্য ওভারপ্রতি প্রায় ৬ করে রান তুলতে হতো শাইনপুকুরকে, তাদেরকে যুতসই শুরুটা এনে দিয়েছিলেন সাদমান ও সাব্বির হোসেন। ৮ ওভারে ৬১ রান ওঠার পর ভেঙেছে ওপেনিং জুটি, সাব্বির আউট হয়েছিলেন ২৭ বলে ৩০ রান করে। সাদমানের সঙ্গে চাঁদের জুটি এরপর ৭৫ রানের। জানির বলে আউট হওয়ার আগে ৭৭ রানের ইনিংসে সাদমান মেরেছেন ৯টি চার ও ২টি ছয়। চাঁদ জয় নিশ্চিত করেই এসেছেন, তিনিও সাদমানের মতো মেরেছেন সমান বাউন্ডারি। প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে এ ম্যাচেই প্রথমবার খেলতে নেমেছিলেন চাঁদ, এ নিয়ে তিন মৌসুমে তিনটি ভিন্ন দলে খেললেন তিনি। চাঁদকে শেষ পর্যন্ত সঙ্গ দিয়েছেন তৌহিদ হৃদয়, ৩৬ বলে ৩৩ রান করে।