• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    জহুরুলের সেঞ্চুরি, মাশরাফির ৬ উইকেটে ম্লান ইমরুল

    জহুরুলের সেঞ্চুরি, মাশরাফির ৬ উইকেটে ম্লান ইমরুল    

    আবাহনী লিমিটেড ২৮৬/৬, ৫০ ওভার 
    গাজী গ্রুপ ক্রিকেটার্স ২৫৭ অল-আউট, ৪৮.৪ ওভার 
    আবাহনী ২৯ রানে জয়ী 


    আগের চার ম্যাচে মাশরাফি বিন মুর্তজা নিয়েছিলেন মোট ২ উইকেট। এদিন গাজী গ্রুপের বিপক্ষে এক ম্যাচেই নিলেন ৬ উইকেট। আর তাতেই ম্লান হয়ে গেল জহুরুল ইসলামের ১৩০ রানের বিপরীতে ইমরুল কায়েসের ১১৮ বলে ১২৬ রানের ইনিংস। ২৯ রানে জিতে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষেই রইল আবাহনী। 

    ২৮৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করা গাজী গ্রুপকে শুরুতেই চেপে ধরেছিলেন মাশরাফি, ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই ফিরিয়েছেন রনি তালুকদারকে। প্রথম স্পেলের পঞ্চম বলে ইমরুল তাকে দুইটি চার মেরেছিলেন, তবে পরের ওভারে আবার সফল হয়েছেন তিনি, নিয়েছেন মাইশুকুর রহমানের উইকেট। ৬ ওভারের প্রথম স্পেলে ২০ রান দিয়েছিলেন মাশরাফি। 

    তৃতীয় উইকেটে শামসুর রহমানের সঙ্গে ইমরুলের ৯৩ রানের জুটি ভেঙেছে শামসুরের রান-আউটে। পরের ওভারেই সানজামুলের বলে ফিরেছেন পারভেজ রসুল। তৌহিদ তারেকের সঙ্গে ইমরুলের জুটি এরপর ৪৩ রানের। এ জুটির সময়ই সমান বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন ইমরুল, লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারে এটি দশম সেঞ্চুরি তার। এ ইনিংস দিয়ে প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমের ‘রানখরা’টা কাটালেন তিনি, এর আগে ৬ ইনিংসে ১৫.৫ গড়ে করেছিলেন ৯৩ রান। সেঞ্চুরির পর আরও আক্রমণাত্মক হয়ে উঠেছিলেন তিনি, তাকে থামিয়েছেন দ্বিতীয় স্পেলে বোলিং করতে আসা মাশরাফি। একটি চার মারার পরের বলেই ক্যাচ দিয়েছেন ইমরুল, মোট ১৫টি চারের সঙ্গে মেরেছেন ৫টি ছয়। ২ ওভারের সে স্পেলে মাশরাফি নিয়েছেন মেহেদি হাসানেরও উইকেট। 

    সাজ্জাদুল হক ও আবু হায়দারকে নিয়ে এরপর গাজীর হয়ে শেষ চেষ্টা চালিয়েছিলেন তারেক, তবে শেষ পর্যন্ত মাশরাফির বলেই থামতে হয়েছে তাকে ৪১ বলে ৩৯ রান করে। এ উইকেট দিয়ে পাঁচ পূর্ণ হয়েছে মাশরাফির, সে ওভারেই কামরুল ইসলাম রাব্বির উইকেট দিয়ে সংখ্যাটা নিয়ে গেছেন ছয়ে, মৌসুমে প্রথম বোলার হিসেবে পাঁচটির বেশি উইকেট নিলেন তিনি। মাশরাফির জোড়া উইকেট-ওভারের আগে পরে দুই উইকেট নিয়ে গাজীর ইনিংস শেষ করেছেন সাইফউদ্দিন। 

     

     

    বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা আবাহনীকে এর আগে ভাল শুরু এনে দিয়েছিলেন দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার। সৌম্য আরেকবার শুরু করেও ইনিংস বড় করতে পারেননি, পারভেজ রসুলের বলে ক্যাচ দেওয়ার আগে করেছেন ৩৬ বলে ২৯ রান। জহুরুলের সঙ্গে যথাক্রমে ৩৩ ও ২৯ রানের জুটির পর ফিরেছেন ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্তও। তবে চতুর্থ উইকেট পেতে এরপর গাজীকে অপেক্ষা করতে হয়েছে ২১ ওভার ও ১৪৫ রান। মোসাদ্দেক ফিরেছেন ৭৬ বলে ৭১ রান করে, মেরেছেন ৮টি চার। ৪৯তম ওভারে গিয়ে থেমেছেন জহুরুলও, ১৩৮ বলে ১৩০ রান করে। ১২৪ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছিলেন, পরের ১৪ বলে করেছেন ৩০ রান। মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার। গাজী গ্রুপের হয়ে দুইটি করে উইকেট নিয়েছিলেন রাব্বি ও নাসুম আহমেদ। 

    এ নিয়ে টানা চার ম্যাচ হারলো প্রথম তিন ম্যাচে দুই জয় পাওয়া গাজী গ্রুপ।