• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শহীদের তোপে দোলেশ্বরকে হারিয়ে এগিয়ে গেল রূপগঞ্জ

    শহীদের তোপে দোলেশ্বরকে হারিয়ে এগিয়ে গেল রূপগঞ্জ    

    রূপগঞ্জ ৫০ ওভারে ২৬৫/৯

    দোলেশ্বর ৪৬ ওভারে ১৯৩ অলআউট

    ফলঃ রূপগঞ্জ ৭২ রানে জয়ী


     

    আগের ছয় ম্যাচে দুই দলেরই ছিল পাঁচটি করে জয়। লিগের শিরোপা দৌড়ে এক দলকে এগিয়ে আর আরেক দলকে পিছিয়ে পড়তেই হতো। লিজেন্ডস অব রূপগঞ্জ সেই দৌড়ে সামনে চলে এলো, সাত ম্যাচে ষষ্ঠ জয় নিয়ে রইল আবাহনীর পাশেই।  আর পেছনে পড়ে গেল প্রাইম দোলেশ্বর। আর সেজন্য বড় কৃতিত্ব রূপগঞ্জের পেসার মোহাম্মদ শহীদের।

    শুরুতে ব্যাট করতে নেমেছিল রূপগঞ্জ, ইনফর্ম মেহেদী মারুফের সামনে ছিল টানা তিন সেঞ্চুরির হাতছানি। কিন্তু সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি, আজ ফিরে গেছেন ১৪ রান করে। তার আগে আউট হয়েছেন আরেক ওপেনার মোহাম্মদ নাঈমও। শুরুটা ভালো করেও মুমিনুল হক আরও একবার ইনিংস বড় করতে পারেননি, আউট হয়ে গেছেন ২৫ রান করে। ৮৩ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে তখন রূপগঞ্জ।

    হালটা ধরলেন ঘরোয়া ক্রিকেটেত পরীক্ষিত শাহরিয়ার নাফীস ও পাকিস্তানের আকবর উর রেহমান। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করলেন ১০১ রান, রান রেটও রেখেছিলেন পাঁচের কাছাকাছি। ১০৪ বলে ৬৮ রান করে আউট হলেন নাফীস, খানিক পর ৮০ বলে ৬৭ রান করে ফিরলেন আকবরও। ঠিক ৪২ ওভার শেষে ৫ উইকেটে ২০০ রানে তখন রূপগঞ্জ।

    তারপরও সেই স্কোর ২৬৪ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব অধিনায়ক নাঈম ইসলামের। ছয়ে নেমে শেষ পর্যন্ত ৩১ বলে ৪৩ রান করে অপরাজিত ছিলেন, মেরেছেন ছয়টি চার। অন্য পাশ থেকে উইকেট অবশ্য পড়ছিলই। ৫০ ওভার শেষে ২৬৫ রান তুলতেই ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলে রূপগঞ্জ। দোলেশ্বরের হয়ে আরও একবার সফলতম ফরহাদ রেজাই, ৪ উইকেট নিতে আজ অবশ্য ৫২ রান খরচ করতে হয়েছে তাঁকে। আবু জায়েদ রাহী ছিলেন সবচেয়ে খরুচে, ১০ ওভারে ৮৩ রান দিয়ে ছিলেন উইকেটশূন্য।

    তবে এই রান তুলতে শুরুতেই দোলেশ্বর হারিয়ে ফেলে এবারের লিগে দুই সেঞ্চুরি করা ওপেনার সাইফ হাসানকে। ইকরামুজ্জামান ও মাহমুদুল হাসান এরপর ৫১ রান তুলেছিলেন, কিন্তু রান রেট ছিল ধীর। ৩৭ রানে ইকরামকে ফিরিয়ে জুটিটা ভাঙেন শহীদ। এরপর ছোট্ট একটা ধস নামে দোলেশ্বরের, ৬ রানের মধ্যে ফিরে যান মাহমুদুল ও মার্শাল আইয়ুবও।

    তবে তৈয়বুর পারভেজ ও সাদ নাসিমের জুটি আবার আশা দেখাতে শুরু করে দোলেশ্বরকে। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ৭৬ রান, রান রেট অবশ্য বাড়ছিলই। তৈয়বুরকে ৩২ রানে ফিরিয়ে জুটি ভাঙেন শুভাশীষ রায়। এরপর শহীদ ফরহাদ রেজাকে শুন্য রানে ফিরিয়ে দিলে বড় একটা ধাক্কা খায় দোলেশ্বর।

     

     

    সাদ নাসিম অবশ্য চেষ্টা করে যাচ্ছিলেন, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ৬২ বলে ৬১ রান করে আউট হয়ে যান। দোলেশ্বর ১৭৭ রান তুলতে তখন ৯ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে, পরাজয়টা একরকম সময়ের ব্যাপার। শহীদ ৯ ওভারে মাত্র ২৩ রান দিয়ে পেয়েছেন ৪ উইকেট, লিস্ট এ তে তৃতীয় বারের মতো পেলেন চার উইকেট।