• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ৩৩১ রানের লক্ষ্য হেলায় পেরিয়ে গেল প্রাইম ব্যাংক

    ৩৩১ রানের লক্ষ্য হেলায় পেরিয়ে গেল প্রাইম ব্যাংক    

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৩৩০/২, ৫০ ওভার 
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ৩৩১/৫, ৪৮.৫ ওভার 
    প্রাইম ব্যাংক ৫ উইকেটে জয়ী 


    এনামুল হক, অভিমন্যু ঈশ্বরন, আল-আমিন ও অলক কাপালির ফিফটিতে ব্রাদার্সের দেওয়া ৩৩১ রানের লক্ষ্য হেলায় পেরিয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক। মিজানুর রহমানের ১০০ ও ফজলে রাব্বির অপরাজিত ১৪৯ রানের সঙ্গে ইয়াসির আলির ঝড়ো ফিফটিতে এ মৌসুমে পঞ্চম সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল ব্রাদার্স। ৭ বল ও ৫ উইকেট বাকি রেখে সেটি পেরিয়ে গেছে প্রাইম ব্যাংক। বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’-তে এর চেয়ে বেশি রানতাড়ার রেকর্ড আছে আর দুইটি। 

    রানতাড়ায় অবশ্য শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল প্রাইম ব্যাংক। তৃতীয় ওভারে ফিরেছিলেন সালমান হোসেন। এনামুল ও ঈশ্বরন অবশ্য থোড়াই কেয়ার করেছেন তাতে, দ্বিতীয় উইকেটে তারা ৫৮ বলে যোগ করেছেন ৭৫ রান। ৪৭ বলে ১০ চারে ৫৪ রান করে মোহাম্মদ শরিফের বলে এনামুল ক্যাচ দেওয়ায় ভেঙেছে সে জুটি। এর পরের জুটিতেও একই ছিল প্রাইম ব্যাংকের ব্যাটিং স্টাইল, ঈশ্বরন ও আল-আমিন ৭৫ বলে তুলেছেন ৭৯ রান। 

    ঈশ্বরনকে রেখে ফেরার আগে আল-আমিন করেছেন ৫২, এনামুলের মতোই ৪৭ বল খেলেছেন, ৬টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ১টি ছয়। ঈশ্বরনের সঙ্গে এরপর জুটি অলক কাপালির, ইনিংসে যা সর্বোচ্চ। ৯০ বলে দুজন মিলে তুলেছেন ১০১ রান, সেঞ্চুরি থেকে ১০ রান দূরে থেমেছেন ঈশ্বরন। ৬ চারের সঙ্গে তিনিও মেরেছেন ১টি ছয়। 

     

     

    শেষ ৫৪ বলে প্রাইম ব্যাংকের প্রয়োজন ছিল ৫৫ রান। নাজমুল হোসেন মিলন আউট হলেও নাহিদুল ইসলামকে নিয়ে সেটা পেরিয়ে গেছেন অলক কাপালি। কাপালি অপরাজিত ছিলেন ৬৫ বলে ৮২ রানে, ৬টি চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৩টি ছয়। নাহিদুল অপরাজিত ছিলেন ২৫ বলে ২৩ রানে। সাজেদুল ইসলাম ৩ উইকেট নিয়েছেন ৭০ রানে। 

    অথচ মিরপুরে প্রথম ইনিংসে গল্পটা ছিল শুধুই টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ব্রাদার্সের। দ্বিতীয় ওভারে জুনাইদ সিদ্দিক রান-আউট হয়েছিলেন, তবে সে উইকেটটা প্রাইম ব্যাংকের জন্য হয়ে পড়েছিল বিস্মৃত। মিজানুর ও রাব্বি দ্বিতীয় উইকেটে তুলেছেন ১৯৩ রান, দুজন মিলে ব্যাটিং করেছেন ৩৬.৩ ওভার। 

    মিজানুর তার লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের চতুর্থ ও মৌসুমের দ্বিতীয় সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১০৮ বলে, অবশ্য আউট হয়েছেন পরের বলেই। দারুণ ভিতে দাঁড়িয়ে এরপর ব্রাদার্সের দরকার ছিল উড়ান, রাব্বির সঙ্গে সেটি নিশ্চিত করেছেন ইয়াসির। 

    ১২৩ বলে সেঞ্চুরি ছুঁয়েছিলেন আগের দুই ম্যাচে শূন্যতে ফেরা রাব্বি, সেঞ্চুরির পর মাত্র ২৪ বলে তিনি  করেছেন ৪৯ রান। ইনিংসে ১৩ চারের সঙ্গে তিনি মেরেছেন ৫টি ছয়।  আর রাব্বি শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন ৩৭ বলে ৬ চার ও ৩ ছয়ে ৬১ রানে। শেষ ১০ ওভারে ১২৩ রান তুলেছিল ব্রাদার্স। 

     

     

    তবে শেষ পর্যন্ত তো প্রাইম ব্যাংকের কাছে যথেষ্ট হলো না সেটা। এ জয়ে ৭ ম্যাচে আবাহনী ও রূপগঞ্জের সমান ৬টি জয় এখন প্রাইম ব্যাংকের। আর ব্রাদার্স ৭ ম্যাচে জিতেছে ২টি ম্যাচ, এ নিয়ে টানা ৩টি ম্যাচ হারলো তারা।