বিকেএসপি-শাইনপুকুরের 'টাই' রোমাঞ্চ
বিকেএসপি ২২২/৮, ৫০ ওভার
শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাব ২২২/৯, ৫০ ওভার
ম্যাচ টাই
শেষ দুই বলে দুই রান-আউটে টাই হয়েছে বিকেএসপি ও শাইনপুকুরের ম্যাচ। বিকেএসপির দেওয়া ২২৩ রানের লক্ষ্যে ২২২ রানেই থেমেছে শাইনপুকুর। শেষ ওভারে ১০ রান প্রয়োজন ছিল শাইনপুকুরের, প্রথম ৪ বলে উঠেছিল ৭ রান। তবে শেষ ২ বলে দুইটি সিঙ্গেল হয়েছে, হয়েছে দুইটি রান-আউট। প্রিমিয়ার লিগের এ মৌসুমে এটি প্রথম টাই, গতবার হয়েছিল মোহামেডান ও প্রাইম দোলেশ্বরের ম্যাচ।
ফতুল্লায় রানতাড়ায় একসময় দারুণ অবস্থায় ছিল শাইনপুকুর। সাদমান ইসলামের ৪৫ ও সাব্বির হোসেনের ৩৬ রানের ইনিংসে ধীরগতির হলেও দৃঢ় ওপেনিং জুটি পেয়েছিল তারা। ২০ রানের ব্যবধানে এ দুজনসহ তৌহিদ হৃদয়ের উইকেট নিয়েছিল বিকেএসপি, প্রথম দুজনকে নিয়েছেন আব্দুল কাইয়ুম, পরেরজন হয়েছেন রান-আউট।
৪র্থ উইকেট জুটিতে উন্মুক্ত চাঁদ ও আফিফ হোসেন যোগ করেছেন ৬৯ রান। এরপর আবার একটা ধস নেমেছিল শাইনপুকুরের ইনিংসে, পরের ৪ উইকেট তারা হারিয়েছে ৩৪ রান তুলতে। এ উইকেটগুলিই চাপে ফেলে দিয়েছে তাদের, ৪৭-৪৯তম ওভারে তারা ১৩ রানের বেশি তুলতে পারেনি। চাঁদ একপ্রান্তে ছিলেন, শেষ বলে গিয়ে রান-আউট হতে হয়েছে তাকেও। ৮৭ বলে তার ৭৪ রানের ইনিংসও জেতাতে পারেনি শাইনপুকুরকে। হাসান মুরাদ ৩ উইকেট নিয়েছিলেন ৪১ রানে, কাইয়ুম ২ উইকেট নিয়েছেন ৩১ রানে।
এর টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে এ মৌসুমের নিজেদের তৃতীয় সর্বোচ্চ স্কোর গড়েছিল বিকেএসপি, প্রান্তিক নওরোজের ৮১ ও আব্দুল কাইয়ুমের ৭০ রানে ভর করে। ৯ রানে প্রথম উইকেট হারানোর পর দ্বিতীয় উইকেটে ৭৪ রান যোগ করেছিলেন নওরোজ ও আমিনুল ইসলাম।
২৩ রানের ব্যবধানে এরপর ৩ উইকেট হারিয়েছিল তারা, ৫ম উইকেটে কাইয়ুম ও নওরোজ যোগ করেছেন ৮৩ রান। নওরোজ ৮১ রান করতে খেলেছেন ১৩৯ বল, সে তুলনায় ঝড়োই ছিলেন কাইয়ুম, ৭০ রান করতে তিনি খেলেছেন ৬৬ বল। ৩৩ রানে ৩ উইকেট নিয়েছিলেন শাইনপুকুরের দেলোয়ার, শরিফুল ২ উইকেট নিয়েছেন ৪২ রানে।