• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    রান আটকানো আর '২০-৩০ রানই' লক্ষ্য মিরাজের

    রান আটকানো আর '২০-৩০ রানই' লক্ষ্য মিরাজের    

    বিপিএলে দেশী কোনো ব্যাটসম্যানের হয়ে প্রথম ফিফটি তিনিই খেলেছিলেন। রাজশাহী কিংসের হয়ে টপ অর্ডারেই খেলেছেন মেহেদী হাসান মিরাজ, খুব একটা খারাপও করেননি। বাংলাদেশ দলে এখনো তিনি আছেন বোলার হিসেবে, তবে বিশ্বকাপে বড় ইনিংস খেলার সুযোগ না পেলেও দলের জন্য ২০-৩০ রানই মহামূল্যবান মনে করছেন।

    নিউজিল্যান্ড সিরিজেও ওয়ানডেতে নিজের ব্যাটিং ক্ষমতা জানান দিয়েছিলেন মিরাজ। মিঠুন ও সাইফ উদ্দিনের পর দলের হয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ রান ছিল তাঁর। বিশ্বকাপে আট নম্বরের আগে নামার সম্ভাবনা ক্ষীণ। তবে যতটুকুই সুযোগ পান, ব্যাট হাতে অবদান রাখতে চান মিরাজ, ‘আমি বিশ্বাস করি আমাদের দলটা অনেক ভালো এবং বিপদের সময় ২০-৩০টা রান অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এটা নিয়েই কাজ করছি, অনেক বড় ইনিংস খেলার সুযোগ আমি পাবো না। আমার কাছ থেকে দল আশা করে ২০-৩০-৪০ এমন রান যদি স্কোরবোর্ডে যোগ করতে পারি বা শেষের দিকে একটা জুটি গড়তে পারি তাহলে দলের জন্য অনেক সাহায্য হবে। এটা নিয়েই কাজ করছি শেষের ২০-৩০টা রান কিভাবে করতে হবে। কারণ সে সময় অনেক ভালো বোলাররা বোলিং করেন, ভিন্ন ভিন্ন ফিল্ডিং সেটআপ থাকে। এইগুলাই এখানে প্রস্তুতি নিচ্ছি। এই পরিস্থিতিগুলা যেন ওইখানে সামাল দিতে পারি। নিউজিল্যান্ডে যখন খেলেছি তখন দেখেছি। ইংল্যান্ড আর নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন অনেকটাই একই। তাই আমাকে কোন জায়গায় উন্নতি করতে হবে সেটা নিউজিল্যান্ড থেকেই অনেক কিছু ধরতে পেরেছি। দেশে এগুলো কাজে লাগাতে চাই এখন।’

    ইংল্যান্ডে যে স্পিনারদের কাজটা কঠিন হবে, তা জানেন মিরাজ।  সেজন্য উইকেট নেওয়ার চেয়ে রান নেওয়ার ওপরেই জোর দিতে চান, ‘আমার কাছে মনে হয় স্পিনারদের রানটা কন্টেইন (চেক দেয়া) করা খুব জরুরি। কারণ ওইসব দেশে কিন্তু সেখানে স্পিনাররা বেশী সাহায্য পাবে না। উইকেট না বের করতে পারলেও ইকোনমিকাল বোলিং করতে হবে। ওভার প্রতি পাঁচ সাড়ে পাঁচ করে রান দিলে আমার কাছে মনে হয় অনেক ভালো বোলিং ফিগার। এর মধ্যে ২/১টা উইকেট নিতে পারলে তো অনেক ভালো। এটাই যে পেসারদের সাহায্য করা রান কম দেয়া স্পিনারদের মূল ভূমিকা থাকবে বিশ্বকাপে।’

     

     

    মিরাজ নিজেও কয়েক দিন আগে জীবনের নতুন ইনিংস শুরু করেছেন। এর মধ্যে কিছুদিন বিরতির পর নেমেছেন প্রিমিয়ার লিগে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতিটা শুরু করে দিতে চান এখনই, ‘সামনে আমাদের আয়ারল্যান্ড সিরিজ আছে এরপর আমরা বিশ্বকাপ খেলতে যাবো। আমার কাছে মনে হয় আমরা প্রিমিয়ার লীগ চলাকালীন যে ১ মাস সময় পাবো এইসময়ের মধ্যেই নিজেদেরকে গুছিয়ে নিতে হবে কারণ আমাদের হাতে ওইরকম সময় নেই। প্রিমিয়ার লিগের ফাঁকে ফাঁকে যতটুকু প্রস্তুতি নেয়া সম্ভব ততটুকুই নিব। যেমন আজকে অনেক্ষকন ব্যাটিং করেছি, কালকে ম্যাচ খেলবো পরশু আবার বোলিং করবো, জিম করবো। এইযে একদিন দুইদিন গ্যাপ আছে, এই গ্যাপটাকেই ব্যবহার করা গুরুত্বপূর্ণ আমার কাছে মনে হয়। এটাই কাজে লাগাবো।’