• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো খেলাঘর, সুপার সিক্সে আবাহনী

    হুড়মুড় করে ভেঙে পড়লো খেলাঘর, সুপার সিক্সে আবাহনী    

    ৪৩তম ম্যাচ, বিকেএসপি
    আবাহনী লিমিটেড ২৬২ অল-আউট, ৪৮.৪ ওভার 
    খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ১৩০ অল-আউট, ৩২.৫ ওভার 
    আবাহনী ১৩২ রানে জয়ী 


    শুরুর টানা চার ম্যাচ জেতার পর প্রাইম ব্যাংকের কাছে বলতে গেলে একটু হোঁচটই খেয়েছিল আবাহনী। আবারও ফিরে এসেছে তারা, এ দফা জয় টানা তিনটি। যার শেষটি এলো খেলাঘরের বিপক্ষে, এ জয় দিয়ে সবার আগে সুপার সিক্সও নিশ্চিত হলো আবাহনীর। রবিউল হকের ৫ উইকেটে আবাহনীকে ২৬২ রানে আটকে দেওয়ার পর মোটামুটি ভাল অবস্থানে থেকেও খেলাঘর হুড়মুড় করে ভেঙে পড়েছে তিন স্পিনার- সানজামুল ইসলাম, নাজমুল ইসলাম ও মেহেদি হাসান মিরাজের তোপে। খেলাঘর আটকে গেছে ১৩০ রান করেই, মৌসুমে দ্বিতীয় জয়ের জন্য তৃষিত অপেক্ষা বাড়ছেই তাদের। 

    বিকেএসপিতে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল খেলাঘর, দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকার ফিরেছিলেন ৫৭ রানে, দুজনই আউট হয়েছেন রবিউল হকের বলে। আগের ম্যাচে সেঞ্চুরিয়ান জহুরুল এদিন করেছেন ২৫, আর আগের চার ইনিংসে শুরু করেও ইনিংস বড় করতে না পারা সৌম্য এদিন থেমেছেন ১২ রানেই। তৃতীয় উইকেটে নাজমুল হোসেন শান্ত ও সাব্বির রহমান যোগ করেছেন ৯৩ রান। সমান বলে ৭ চারে ৪৯ রান করেছেন সাব্বির, শান্ত থেমেছেন ৭৯ বলে ৯ চারে ৬০ রান করার পর। 

    ১৭৩ রানে ৫ উইকেট হারানোর পর আবাহনীকে একদিক থেকে টেনেছেন মিরাজ। ৮ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে ৫৪ বলে করেছেন ৪৭ রান, ২ চার ও ১ ছয়ে। মিরাজ রবিউলের চতুর্থ শিকার, এরপর নাজমুলের উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে তৃতীয়বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট পূর্ণ হয়েছে এই পেসারের। এর আগেই মোসাদ্দেক হোসেন, মাশরাফি বিন মুর্তজা ও মুনিম শাহরিয়ারের উইকেট নিয়েছিলেন ইরফান হোসেন, সানজামুল আউট হয়েছিলেন মাসুম খানের বলে। 

    ২৬৩ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে খেলাঘরকে এ মৌসুমের নিজেদের সর্বোচ্চ স্কোর গড়তে হতো। তার ধারেকাছেও যেতে পারেনি তারা। চারজন ব্যাটসম্যান ছুঁয়েছেন দুই অঙ্ক, সর্বোচ্চ মোসাদ্দেক ইফতেখারের অপরাজিত ৩৬ রান। ৪ রানে ফিরেছিলেন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি, এরপর দ্বিতীয় উইকেটে ৫৩ রান যোগ করেছিলেন শাহরিয়ার কমল ও মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। এরপর ১৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়েছে তারা, ৫ম উইকেটে ইফতেখার ও নাজিমউদ্দিন তুলেছিলেন ৪৬ রান। 

     

     

    তখনও হয়তো আশা ছিল খেলাঘরের, তবে এরপর যা হলো তাতেই সব শেষ। খেলাঘর ভেঙে পড়লো হুড়মুড় করে, পরের ৭ ওভারে ১২ রান তুলতেই নেই তাদের শেষ ৬ উইকেট! আবাহনীর তিন স্পিনার সানজামুল, মেহেদি ও নাজমুল মিলে ২০.৫ ওভারে ৬৮ রান দিয়ে উইকেট নিয়েছেন ৮টি, এর মধ্যে সানজামুল নিয়েছেন ৪টি। বাকি দুটি উইকেটের একটি করে নিয়েছেন মোসাদ্দেক হোসেন ও আরিফুল হাসান।