• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    শেষ ওভারে বল হাতেও জেতালেন ফরহাদ রেজা

    শেষ ওভারে বল হাতেও জেতালেন ফরহাদ রেজা    

    প্রাইম দোলেশ্বর ২৬ ওভারে ২৩৯/৬ (ইকরাম ৭৫, ফরহাদ ৫৬, সাদ নাসিম ৫১; শাকিল ৩/৪০) 

    শেখ জামাল ২৬ ওভারে ২৩৮/৯ (জিয়া ৪৬, অমল ৪৪, নুরুল ৩৭; ফরহাদ ৩/৩৫, জায়েদ ৩/৪৮)

    ফলঃ দোলেশ্বর ১ রানে জয়ী


    একটা ম্যাচে একজন এর চেয়ে বেশি আর কী করতে পারতেন? ব্যাট করতে নেমে লিস্ট এ তে বাংলাদেশের কোনো ব্যাটসম্যানের দ্রুততম ফিফটির রেকর্ড গড়েছেন। এই ম্যাচেই আবার শেষ ওভারে বল হাতে নিতে হলো, হাত থেকে ফস্কে যেতে পড়া ম্যাচটা মুঠোয় ভরে এনে দিয়েছেন জয়। রুদ্ধশ্বাস এক ম্যাচে শেখ জামালকে ১ রানে হারিয়ে লিগে নিজেদের ষষ্ঠ জয় পেয়েছে প্রাইম দোলেশ্বর, সুপার সিক্সও নিশ্চিত করে ফেলেছে প্রায়।

    ভেজা উইকেটে দেরিতে খেলা শুরু হওয়ায় দোলেশ্বর করেছিল ২৬ ওভারে ২৩৯। ওভারপ্রতি নয়েরও বেশি, মিরপুরের উইকেটে সেটি হওয়ার কথা ছিল যথেষ্টরও বেশি। শেখ জামালের শুরুটাও ভালো হলো না, স্কোরকার্ডে ১৮ রান উঠতে না উঠতে ওপেনার ফারদীন হাসান আউট। নাসির হোসেনও বেশিক্ষণ টিকলেন না, ৯ রান করে আউট আবার আবু জায়েদের বলে।

    ইমতিয়াজ হোসেন ও অমল মজুমদার মিলে এরপর ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু। ভালো খেলতে খেলতেই ইমতিয়াজ আউট হয়ে গেলেন ২২ বলে ৩৪ রান করে। তবে শেখ জামাল সত্যিকারের আশা পেল অধিনায়ক নুরুল হাসান সোহানের ব্যাটে।  ২০ বলে ৩৭ রান করে ফরহাদই ফেরালেন নুরুলকে। তবে ম্যাচের নাটক তখনো বাকি।

    জিয়াউর রহমান নেমেই শুরু করলেন ঝড়। ম্যাচের পেন্ডুলাম আবার নিয়ে এলেন জামালের দিকে, মাত্র ২১ বলে করলেন ৪৬ রান, ফরহাদের আজকের রেকর্ডটাও ভাঙার কাছাকাছি গিয়েছিলেন। জিয়া যখন আউট হলেন, শেষ ৬ ওভারে জামালের জয়ের জন্য দরকার ৫৪ রান, ওভারপ্রতি ঠিক ৯ রান করে। উইকেট ছিল অবশ্য চারটি।

     

     

    টেল এন্ডারদের নিয়ে সেটাই তানভীর হায়দার করে ফেলবেন বলে মনে হচ্ছিল। শেষ ২ ওভারেও যখন ২৫ রান দরকার, ২৫তম ওভারে রাহীর বলে দুই চারে তানভীর জয়ের কাছাকাছি নিয়ে গিয়েছিলেন জামালকে। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১১ রান। ফরহাদ রেজাই বল করতে এলেন, তার আগে ৫ ওভার বল করে নিয়েছেন ২ উইকেট। প্রথম বলটা ডট, পরের বলে চার মারলেন তানভীর। পরের বলে ডট, পরের বলে মারতে গিয়ে আউট। ২৫ বলে ৩৬ রান করে তানভীরের আউটের সঙ্গে নিভে গেল জামালের আশাও। শেষ বলে জয়ের জন্য দরকার ছিল ৬ রান, খালেদ নিতে পারলেন চার। ফরহাদই শেষ পর্যন্ত এনে দিলেন জয়।