• " />

     

    জিম্বাবুয়েকে পেলেই দুরন্ত মুশফিক!

    জিম্বাবুয়েকে পেলেই দুরন্ত মুশফিক!    

    অনেকদিন পর মিরপুরের শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ফিরেছে ক্রিকেট। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের দীর্ঘ বিরতির পর রঙিন জার্সি গায়ে জিম্বাবুইয়ানদের বিপক্ষে লড়ছে বাংলাদেশ। প্রায় তিন মাস পর ওয়ানডে খেলতে নেমে সেঞ্চুরি পেলেন মুশফিকুর রহিম। এই বছরের শুরু থেকেই দারুণ ফর্মে থাকা মুশফিকের ব্যাটে ভর করেই চিগুম্বুরা বাহিনীকে ২৭৪ রানের চ্যালেঞ্জিং টার্গেট দিয়েছে টাইগাররা। প্রথমে ব্যাট করতে নেমে লিটন দাস ও মাহমুদুল্লাহ দ্রুত প্যাভিলিয়নে ফিরে যাওয়ায় ইনিংসের শুরুটা ছিল বেশ নড়বড়ে। তবে মুশফিকুর রহিম প্রথমে তামিম পরে সাব্বিরের সাথে জুটি গড়ে সেই ধাক্কা ভালোভাবেই সামাল দিয়েছেন। দলীয় ২৪৩ রানের মাথায় রান আউট হয়ে সাজঘরে ফেরার আগে উপহার দিয়েছেন ১০৭ রানের একটি অসাধারণ ইনিংস।

     

     

     

    ২০১৫ সালটা মুশফিকুর রহিমের ভালোই কাটছে বলা যায়। ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চার সেঞ্চুরির দুইটিই এসেছে এই বছরে। গত এপ্রিলে পাকিস্তানের বিপক্ষে তিন নম্বর সেঞ্চুরি হাঁকানোর পর চতুর্থ সেঞ্চুরি করতে সময় নিলেন ৬ মাস বা ৮ ম্যাচ। এদিকে জিম্বাবুয়েকে মুশফিকুর রহিমের প্রিয় প্রতিপক্ষই বলা চলে। কারণ, জাতীয় দলের এই উইকেট কিপিং ব্যাটসম্যানের চার সেঞ্চুরির দুইটিই এসেছে আফ্রিকা মহাদেশের এই দলটির বিপক্ষে। এছাড়া একবার আউট হয়েছেন নার্ভাস নাইটিতে। চিগুম্বুরা-মাসাকাদজাদের সাথে ২০০৬ সাল থেকে এ পর্যন্ত মোট ৩৯ ম্যাচে মুশফিকের রান ১১২২। ব্যাটিং গড় ৪০.০৭, দুই সেঞ্চুরির পাশাপাশি রয়েছে ৭টি হাফ সেঞ্চুরিও। জিম্বাবুয়ের সঙ্গে এ নিয়ে ১১২২ রান হয়ে গেল মুশফিকের, তামিমের রানও তাই। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে এর চেয়ে বেশি রান করেছেন শুধু সাকিব, সবশুদ্ধ করেছেন মাত্র চারজন।

     

     

    গত বছরের সেপ্টেম্বরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের ওয়ানডে দলের অধিনায়কত্বের দায়িত্ব থেকে সরানোর পর থেকেই দারুণ ব্যাটিং করে চলেছেন মুশফিকুর রহিম। সাম্প্রতিক সময়ে অসাধারণ কিছু পারফরম্যান্সে আইসিসি’র র‍্যাংকিংয়ে বাংলাদেশী ব্যাটসম্যানদের মধ্যে সবার উপরে থাকা মুশফিক হয়ে উঠেছেন বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপের ‘মি. ডিপেন্ডেবল’!