এই দিনে শুরু, এই দিনেই শেষ!

ড্যানিয়েল ভেট্টরির খাটো লেন্থের বলে বিভ্রান্ত হয়ে সাঙ্গাকারার হাতে স্ট্যাম্পড হওয়ার আগে করলেন ৫৬ রান, ২৭ বলের ঝড়ো ইনিংসটি সাজালেন ২ চার আর ৬টি ছয়ের মারে। তাতেও অবশ্য শেষ রক্ষা হয় নি তাঁর দলের। লস অ্যাঞ্জেলেসে আজ (স্থানীয় সময় গতকাল) অল স্টার ক্রিকেটের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটাও শচীন ব্লাস্টার্স হেরে গেছে ৪ উইকেটে, ১ বল বাকি থাকতে বিরেন্দর শেওয়াগকে ডিপ মিড উইকেট দিয়ে ছয় হাঁকিয়ে জয় তুলে নেন ওয়ার্ন ওয়ারিয়র্সের দলপতি শেন ওয়ার্ন।
প্রথম টেস্ট শতকের পর শচীন
১৪-ই নভেম্বর অল স্টার ক্রিকেটের শেষ ম্যাচে কি কিছুটা হলেও স্মৃতিকাতরতায় ভুগেছেন ক্রিকেটের লিটল মাস্টার? নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহটা তো শচীন টেন্ডুলকারের কাছে আলাদা কিছু নিশ্চিতভাবেই, আরও সুনির্দিষ্ট করে বললে ১৫ই নভেম্বর। ১৯৮৯ সালের এই দিনেই পাকিস্তানের করাচিতে প্রথমবারের মতো টেস্ট ক্যাপ উঠেছিল ক্রিকেট ইতিহাসের এই অন্যতম সেরা কিংবদন্তীর মাথায়।
ড্র হওয়া সেই টেস্টে প্রথম ইনিংসে ছয় নম্বরে নেমে ১৫ রান করে শচীন ফিরে গিয়েছিলেন ওয়াকার ইউনুসের বলে বোল্ড হয়ে। দ্বিতীয় ইনিংসে অবশ্য ব্যাট হাতে নেয়ার সুযোগই পান নি।
এরপর ২৪টি বছর ব্যাট হাতে শাসন করে গেছেন ক্রিকেট বিশ্ব। টেস্ট-ওয়ানডে মিলিয়ে ৩৪ হাজারের বেশী রান, ১০০টি শতক, ১৬৪টি অর্ধশতক...সমসাময়িক প্রজন্মকে বাইশ গজের ব্যাটবল যুদ্ধে এই ক্রিকেট মায়েস্ত্রো মন্ত্রমুগ্ধ করে রেখেছিলেন পুরোটা সময়।
শেষ টেস্টের পর সপরিবারে বিদায় গ্রহণ
দুই যুগের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারে ইতি টেনেছেন বছর দুয়েক আগে। ২০১৩ সালের ১৪ই নভেম্বর ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে শুরু হওয়া মুম্বাই টেস্টে শেষবারের মতো টেস্ট ম্যাচে ব্যাট হাতে নিয়েছিলেন পরের দিন, ১৫ই নভেম্বর। ৭৪ রানের ইনিংসটিতে হাকিয়েছিলেন ১২টি চারের মার। মজার ব্যাপার হল, প্রথম টেস্টের মতো শেষ টেস্টেও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করার সুযোগ হয় নি তাঁর। ম্যাচটাই যে ভারত জিতে নিয়েছিল ইনিংস ও ১২৬ রানে!