• " />

     

    বাংলাওয়াশেই চক্র পূরণ

    বাংলাওয়াশেই চক্র পূরণ    

    সংক্ষিপ্ত স্কোরঃ বাংলাদেশ ২৭৬/৯ (তামিম ৭৩, ইমরুল ৭৩; জংয়োই ২/৫০, ক্রেমার ২/৫৩); জিম্বাবুয়ে ২০৭/৯, ৪৩.৩ ওভার (উইলিয়ামস ৬৪, চিগুম্বুরা ৪৫; মুস্তাফিজ ৫/৩৪)

     

    ফলঃ বাংলাদেশ ৬১ রানে জয়ী।

     

    ম্যাচ সেরাঃ তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ)

     

    সিরিজ সেরাঃ মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ)

     

    জিম্বাবুয়েকে রানে হারিয়ে এগারোতমবারের মতো প্রতিপক্ষকে ‘হোয়াইট ওয়াশ’ করার স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ। একই সাথে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৩৯তম একদিনের আন্তর্জাতিক জয় তুলে নিলো টাইগাররা।

     

    ২৭৭ রানের জয়ের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে মুস্তাফিজকে চার মেরে ইনিংস উদ্বোধন করলেরো পরের বলেই তাঁর শিকার হয়ে ফিরে যান চামু চিভাবা। সপ্তম ওভারে চাকাভাকেও নাসিরের ক্যাচে পরিণত করে বিদায় করেন মুস্তাফিজ। এক ওভার বাদে নাসির হোসেন এরভিনকে এলবিডব্লুর ফাঁদে ফেললে ৪৭ রানেই ৩ উইকেট খুইয়ে বসে সফরকারীরা। এরপর চিগুম্বুরা-উইলিয়ামস আর উইলিয়ামস-ওয়ালার জুটি আশা জাগাতে শুরু করে জিম্বাবুয়ে শিবিরে। ৮৭ বলে ৯১ রানের আপাত সহজ এক সমীকরণের সামণে দাঁড়িয়ে গত ম্যাচের মতোই স্বাগতিকদের দারুণ এক ব্রেক থ্রু এনে দেন আল-আমিন হোসেন। ৩২ রানে থিতু ওয়ালারকে কাভারে উড়ন্ত হাতে বন্দী করেন নাসির। পরের ওভারেই উইলিয়ামসকে (৬৪) সাব্বিরের ক্যাচ বানিয়ে দেন মাশরাফি।

     

    ১৮৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে কার্যত ম্যাচ থেকেই হারিয়ে যায় সফরকারীরা। ৪১তম ওভারে মুস্তাফিজের বলে সিকান্দার রাজার ভাসিয়ে দেয়া বল মিড অন থেকে কিছুটা সরে গিয়ে সটান ঝাঁপ দিয়ে দারুণ মুন্সিয়ানায় তালুবন্দী করেন সাব্বির।

     

     

    মুস্তাফিজের পরের বলেই জংয়োইও ক্যাচ দিয়ে ফেরেন সাব্বিরকে। এক ওভার বাদে পানিয়াঙ্গারাকে কট অ্যান্ড বোল্ড করে ক্যারিয়ারের নবম ওডিআইতেই তৃতীয়বারের মতো পাচ উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজুর রহমান। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে নেয়া বাকি পাঁচজনের প্রত্যেকেই পেয়েছেন একটি করে উইকেট।

     

    এর আগে টস জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে তামিম-ইমরুলের ১৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটিতে ভর করে বড় সংগ্রহের পথে হাটে বাংলাদেশ। ৪৭তম বারের মতো ইনিংস উদ্বোধনে নামা এ জুটির দু’জনই যোগ করেন ৭৩টি করে রান।

     

     

    কিন্তু পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় এক সময় লড়াই করার মতো পুঁজি সংগ্রহই কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। তবে ‘বিতর্কিত’ জীবন পেয়ে ক্যারিয়ারের চতুর্দশ অর্ধশতক তুলে নেয়া মাহমুদুল্লাহর ব্যাটে চড়ে শেষ পর্যন্ত সংগ্রহটা নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষে ২৭৬ রানে গিয়ে দাঁড়ায়।