• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    'নজরে আছেন' জেনেই প্রেরণা পাচ্ছেন মোসাদ্দেক

    'নজরে আছেন' জেনেই প্রেরণা পাচ্ছেন মোসাদ্দেক    

    অধিনায়কত্বই কি তাহলে বদলে দিল মোসাদ্দেক হোসেনকে?

    প্রশ্নটা এখন উঠছে অনেক কারণেই। দুই বছর আগেও জাতীয় দলে মিডল অর্ডারে তাকে লম্বা সময়ের ঘোড়া ভাবা হচ্ছিল। এরপর চোখের সমস্যায় দল থেকে ছিটকে গেলেন, ভুলে গেলেন রান করাও। গত মৌসুমে ১৫ ম্যাচ খেলে একটি ফিফটিও ছিল না- নিজেকে এমনই হারিয়ে ফেলেছিলেন মোসাদ্দেক। জাতীয় দলের সীমানায়ও ছিলেন না। গত বছর ইমার্জিং কাপে সেঞ্চুরি করে নিজেকে ফিরে পাওয়া শুরু, বিপিএলেও কয়েকটা ম্যাচে হারানো ঝলকের কিছুটা দেখা গেল তাঁর ব্যাটে। আর এই বছর আবাহনীর হয়ে প্রিমিয়ার লিগে অধিনায়কত্ব পেলেন, রানও আসতে শুরু করল ব্যাটে। গত বছর একটি ফিফটিও যখন ছিল না, এবার আট ম্যাচ খেলেই এর মধ্যে পেয়ে গেছেন চারটি ফিফটি। কয়েক দিন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনও আভাস দিলেন, ১৫ জনের সম্ভাব্য তালিকার আশেপাশেই আছেন মোসাদ্দেক।

    জাতীয় দলে বা ঘরোয়া লিগেও তাঁর ভূমিকা ফিনিশারেরই ছিল। এই বছর আবাহনীর হয়ে কিছুটা হলেও করতে পেরেছেন এই কাজ, সঙ্গে অফ স্পিনটাও তাঁর বেশ কার্যকরী। জাতীয় দলে গত বছর এশিয়া কাপে খেললেও সুযোগটা কাজে লাগাতে পারেননি। তবে বিসিবি সভাপতির আভাসটাই আশা দেখাচ্ছে মোসাদ্দেককে। আজ মিরপুর একাডেমি মাঠেই যেমন বললেন, ‘এটা আসলে আমার জন্য অনুপ্রেরণাদায়ক, এখন একটা আভাস পাচ্ছি। তখনই সত্যি হবে যখন এটা পুরোপুরি ঘোষণা করা হবে। ঘোষণা যতক্ষণ না হচ্ছে... ঘোষণা হলেও আমার কাজ হচ্ছে পারফর্ম করা। বাকিটা আল্লাহ ভরসা। আমি নিজেও জানি না কি হবে। তবে এটা খুবই অনুপ্রেরণার বিষয়, উনাদের নজরে আমি আছি।’

     লিগে মূলত পাঁচ-ছয়েই খেলেছেন। সেখান থেকে নেমে বড় স্কোর করাও কঠিন। মোসাদ্দেক তাই ‘ফিনিশার’ হিসেবেই নিজেকে দেখছেন, ‘আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যত ম্যাচ খেলেছি, সবসময়ই এই দায়িত্বই পালন করতে হয়েছে। হয়তো কিছু সময় হয়েছে, আবার কিছু সময় হয়নি। আমিও খুব ভালো করে জানি আমার কাজটা ফিনিশিং এর দিকে। আমি এই জিনিসটা যত দ্রুত ধরতে পারব আমার জন্য ততই লাভ। প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচেও সেটা চেষ্টা করছি।’

     

     

    সেই সঙ্গে অফ স্পিনটাও বেশ কাজে দিচ্ছে। গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এনে দিচ্ছেন ব্রেকথ্রু। বোলিং নিয়েও বেশ ভাবছেন বলেই জানালেন ‘আমি আসলে যেখানেই খেলছি, সেখানেই বোলিংয়ে আমার টুকটাক কন্ট্রিবিউশন আছে। এর আগে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে আমি একটা ম্যাচে তিন উইকেট পেয়েছিলাম। ওই ম্যাচটায় টার্নিং পয়েন্ট ছিল সেটি। আমি যখন বোলিং করি চেষ্টা করি ইকনমিটা ঠিক রাখার। আমি জানি একটা ম্যাচে হয়তো আমাকে ৫-৬ ওভার বোলিং করা লাগতে পারে। আমি বোলিংয়ের সময় নিজেকে একজন বোলার হিসেবেই চিন্তা করি।’

    এরকম পারফর্ম করলে কে জানে,  বড় কিছু হয়তো অপেক্ষা করছে মোসাদ্দেকের জন্য!