আবাহনীর সঙ্গে পাল্লা দিয়েই যাচ্ছে রূপগঞ্জ
৫০তম ম্যাচ, বিকেএসপি
শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাব ১৪১ অল-আউট, ৪৩.২ ওভার
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১৪৫/২, ২৮.৪ ওভার
রূপগঞ্জ ৮ উইকেটে জয়ী
নাবিল সামাদ ও মুক্তার আলির দারুণ বোলিংয়ের পর মোহাম্মদ নাঈম ও মুমিনুল হকের জোড়া ফিফটিতে শেখ জামালকে উড়িয়ে দিয়ে আবাহনীকে টপকে শীর্ষে উঠেছিল রূপগঞ্জ, তবে আবাহনীও কিছুক্ষণ পর নিজেদের ম্যাচে জিতে টপকে গেছে তাদের। এ নিয়ে টানা ছয় ম্যাচ জিতল আগের ম্যাচেই সুপার সিক্স নিশ্চিত করা রূপগঞ্জ। আর শেখ জামাল হারলো টানা দ্বিতীয়বার, ৯ ম্যাচে ৮ পয়েন্ট নিয়ে ছয় নম্বরে তারা এখন, এক ম্যাচ কম খেলে শাইনপুকুর ক্রিকেট ক্লাবের পয়েন্ট ৭। এ রাউন্ড থেকে শীর্ষ ছয় দল খেলবে পরের রাউন্ডে।
বিকেএসপিতে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানোয় জুটি বড় করা হয়নি শেখ জামালের, সর্বোচ্চ ২৯ রান উঠেছে দ্বিতীয় উইকেটে। ২০-এর ওপরে করেছেন তিনজন, সর্বোচ্চ ৩৫ রান করেছেন সাতে নামা তানভীর হায়দার। মূলত নাবিল ও মুক্তারের তোপেই উঠে দাঁড়াতে পারেনি শেখ জামালে, দুজন মিলে ২০ ওভারে ৬৩ রানে নিয়েছেন ৬ উইকেট, প্রত্যেকে নিয়েছেন ৩টি করে। শুভাশীষ, শহিদ ও ধাওয়ান নিয়েছেন একটি করে উইকেট, তানভীর হয়েছেন রান-আউট। ৪৪তম ওভারে ১৪১ রানেই গুটিয়ে গেছে তারা।
রানতাড়ায় ৩২ রানে ওপেনার মেহেদি মারুফকে হারায় রূপগঞ্জ, ১২ রান করে এনামুলের বলে ক্যাচ দিয়েছিলেন তিনি। তবে দ্বিতীয় উইকেটে নাঈম ও মুমিনুল মিলে যোগ করেছেন ৯৬ রান। ৬৯ বলে ৮ চারে ৬৩ রান করে ইলিয়াস সানির বলে ক্যাচ দিয়ে ফিরেছেন নাঈম। মুমিনুল অবশ্য শেষ পর্যন্ত ছিলেন ৯ চারে ৭১ বলে ৬০ রান করে। জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় তার সঙ্গী ছিলেন নাঈম ইসলাম।
জয় নিশ্চিত হওয়ার সময় রূপগঞ্জের হাতে বাকি ছিল ১২৮ বল, এ মৌসুমে বল বাকি থাকার হিসেবে যা দ্বিতীয় বৃহত্তম জয়। দারুণ বোলিংয়ের জন্য ম্যাচসেরা হয়েছেন নাবিল।