অবশেষে আরেকবার হাসল খেলাঘর
৫১তম ম্যাচ, ফতুল্লা
খেলাঘর সমাজকল্যাণ সমিতি ২৫৭/৪, ৫০ ওভার
উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ২১৮/৮, ৫০ ওভার
খেলাঘর ৩৯ রানে জয়ী
তিন হারের পর জয়। খেলাঘরের এরপরের জয়টি এলো আরও চার ম্যাচ বিরতি দিয়ে। পয়েন্ট টেবিলের তলানীর দুই দলের লড়াইয়ে মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন ও শাহরিয়ার কমলের ফিফটির পর রবিউল, রবি ও তানভীরের সমন্বিত বোলিংয়ে উত্তরাকে ৩৯ রানে হারিয়ে তাদের ওপরে উঠে এসেছে খেলাঘর। সুপার সিক্সের আশা মোটামুটি শেষ দুই দলেরই, এখন মূলত তাদের লড়াই রেলিগেশন আটকানো।
ফতুল্লায় টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল উত্তরা, প্রথম উইকেটেই রবিউল ইসলাম রবি ও শাহরিয়ার কমল তুলেছেন ৯৮ রান। ৩৮ রান করে শেখ হুমায়ূনের বলে ফিরেছেন রবি, কমল হুমায়ূনের দ্বিতীয় শিকার হওয়ার আগে করেছেন ৭ চারে ৭২ বলে ৫৬ রান।
এরপর খেলাঘরকে টেনেছেন অঙ্কন, তৃতীয় উইকেটে অমিত মজুমদারের সঙ্গে ৬৪ ও পঞ্চম উইকেটে মইনুল ইসলামের সঙ্গে তার জুটি ৬৬ রানের। অমিত ৪৮ বলে ৪১ রান করে বোল্ড হয়েছেন মোহাইমেনুলের বলে, আর অশোক মেনারিয়া তার বলেই ফিরেছিলেন ৪ রান করে। শেষ পর্যন্ত ৭ চার ও ১ ছয়ে ৮০ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত ছিলেন অঙ্কন, সঙ্গী মইনুলের রান ছিল ২১ বলে ২৩।
ব্যাটিংয়েও উত্তরার উজ্জ্বল নাম মোহাইমেনুল, ৭ম ব্যাটসম্যান হিসেবে আউট হওয়ার আগে তিনি করেছেন ১২৩ বলে ৯৩ রান। লিস্ট ‘এ’ ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ফিফটিটি তিনি পূর্ণ করেছিলেন ৭৫ বলে। ইনিংসে তিনি মেরেছেন ৬টি চার।
রানতাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছিল উত্তরা, ১৬ রানে দ্বিতীয় উইকেটের পর ৪৯ রানের মধ্যে তারা হারিয়েছিল ৪টি। ৫ম ও ৬ষ্ঠ উইকেটে এরপর মিনহাজুল আবেদিন ও মিনহাজ খানের সঙ্গে যথাক্রমে ৮৪ ও ৪৯ রানের জুটি গড়েছিলেন মোহাইমেনুল। তবে রানতাড়ায় ঠিক গতিটা পায়নি উত্তরা, ৫০ ওভার খেললেও জয় থেকে ৩৯ রান দূরেই থেমেছে তারা।