• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    ঈশ্বরন ৯২, নাহিদুল ৫০.. বিকেএসপি ৫০

    ঈশ্বরন ৯২, নাহিদুল ৫০.. বিকেএসপি ৫০    

    ৫৪তম ম্যাচ, ফতুল্লা
    প্রাইম ব্যাংক ক্রিকেট ক্লাব ২২২/৮, ৫০ ওভার 
    বিকেএসপি ৫০ অল-আউট, ২২ ওভার 
    প্রাইম ব্যাংক ১৭২ রানে জয়ী 


    আল-আমিন হোসেনের বোলিং তোপে প্রাইম ব্যাংকের দেওয়া ২২৩ রান তাড়া করতে গিয়ে ৫০ রানেই অল-আউট হয়ে গেছে বিকেএসপি। মৌসুমে সবচেয়ে কম রানে অল-আউট হলো তারা, হারলো দ্বিতীয় বড় ব্যবধানে। সব মিলিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট ‘এ’-তে সর্বনিম্ন স্কোরের তালিকায় বিকেএসপির এ স্কোর এখন পাঁচে। 

    রানতাড়ায় বিকেএসপির স্কোরকার্ডটা বেশ সরলরৈখিক। সাতে নামা পারভেজ হোসেন ইমন করেছেন ১৫, এছাড়া দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি আর কেউ। ইমনের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১১ রান এসেছে অতিরিক্ত থেকে। বাকি ৯ ব্যাটসম্যানের স্কোর এমন- ২, ৫, ০, ২, ২, ৭, ৪, ২*, ০, ০। শুরুর ৬ উইকেটের ৫টিই নিয়েছেন আল-আমিন, একটি হয়েছে রান-আউট। ফরহাদ আহমেদ, আমিনুল ইসলাম ও আব্দুল কাইয়ুম আল-আমিনের বলে হয়েছেন বোল্ড, প্রান্তিক নওরোজ ক্যাচ দিয়েছেন উইকেটকিপারের হাতে, আর ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন অধিনায়ক আকবর আলি। শেষ পর্যন্ত আল-আমিনের বোলিং ফিগার ছিল এমন, ৮-৩-২০-৫। 


    বাংলাদেশের ঘরোয়া লিস্ট 'এ'-তে সর্বনিম্ন স্কোর
    চট্টগ্রাম ৩০, বিপক্ষ সিলেট, ২০০২-০৩, ঢাকা 
    ক্রিকেট কোচিং স্কুল ৩৫, বিপক্ষ আবাহনী, ২০১৩-১৪, ফতুল্লা
    খুলনা ৪১, বিপক্ষ রাজশাহী, ২০০২-০৩, যশোর
    ভিক্টোরিয়া ৪৬, বিপক্ষ খেলাঘর ২০১৭, ফতুল্লা
    বিকেএসপি ৫০, বিপক্ষ প্রাইম ব্যাংক, ২০১৯, ফতুল্লা
    রাজশাহী ৫৫, বিপক্ষ ঢাকা, ২০০০-০১, রাজশাহী 


    ২৬ রানে ৬ উইকেট হারিয়েছিল বিকেএসপি, ৭ম উইকেটে ইমন ও তানজিম হাসানের জুটিতে উঠেছে ২১ রান। এরপর আবার ‘পুরোনো’ রূপে ফিরেছে তারা, ৩ রানের ব্যবধানে শেষ ৪ উইকেট হারিয়ে। শেষ দুইটি উইকেট নাঈম হাসান নিয়েছেন এলবিডব্লিউতে, বাকি দুটির একটি রাজ্জাক ও আরেকটি মনির হোসেনের। 

     

     

    এর আগে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে প্রাইম ব্যাংকের হাইলাইটস ছিল দুইটি ইনিংস- অভিমন্যু ঈশ্বরনের ৯২ ও সাতে নামা নাহিদুল ইসলামের ৫০। মৌসুমে দ্বিতীয়বারের মতো নড়বড়ে নব্বইয়ে কাটা পড়লেন ঈশ্বরন, এবার তো হয়েছেন রান-আউটই। এর আগে ৯০ ও ৮৫ রানের একটি ইনিংসের সঙ্গে একটি সেঞ্চুরি আছে তার। 

    ৭২ রানে ৫ উইকেট যাওয়ার পর বেশ চাপে পড়েছিল প্রাইম ব্যাংক, নাহিদুলের সঙ্গে ঈশ্বরনের ৯৪ রানের জুটি সামাল দিয়েছে সেটা। নাহিদুল ফেরার পর নাইম ও মনিরকে নিয়ে আরও ৪১ রান যোগ করেছেন ঈশ্বরন। ১০৯ বল খেলে ৯২ রান করতে মাত্র তিনটি বাউন্ডারি মেরেছেন তিনি- ২টি চার ও ১টি ছয়। 

    এ জয় দিয়ে ৯ ম্যাচে ১৪ পয়েন্ট হলো প্রাইম ব্যাংকের, নিশ্চিত হলো সুপার লিগও।