নাসুম-সঞ্জিতে গাজীর দুর্দান্ত জয়
গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস ৪৯.৪ ওভারে ২০৬ অলআউট
ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৮.৫ ওভারে ১৯৭ অলআউট
ফলঃ গাজী ৯ রানে জয়ী
লক্ষ্যটা মাত্র ২০৭ রানের। সেটা তাড়া করে ২ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান তুলে ফেলেছিল ব্রাদার্স ইউনিয়ন। কিন্তু সেখান থেকেই এমন পা হড়কানো শুরু করল, সাত বল বাকি থাকতেই অলআউট হয়ে গেল ১৯৭ রানে। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচটা শেষ পর্যন্ত ৯ রানে জিতল গাজী গ্রুপ ক্রিকেটারস, সেই সঙ্গে বাঁচিয়ে রাখল সুপার লিগের আশাও।
অথচ লক্ষ্যটা ব্রাদার্সের হাতের নাগালেই মনে হচ্ছিল। ২৯ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে মিজানুর রহমান ফিরে গেছেন শুরুতে, ৩৯ রানে প্রথম উইকেট হারিয়েছে ব্রাদার্স। জুনাইদ সিদ্দিকী ও ফজলে মাহমুদ অবশ্য এরপর লাগামটা হাতছাড়া হতে দেননি। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৯৭ রান। জুনাইদকে ৭২ রানে ফিরিয়ে সঞ্জিত ভেঙেছেন জুটি, পরের বলেই ফজলেকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ৩১ রানে। ব্রাদার্সের পতনের সেটা কেবল শুরু।
এরপর দেবব্রত দাসকেও শুন্য রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন সঞ্জিত, শরিফুল্লাহ ফিরে গেছেন ৩ রানে। ১৫৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল ব্রাদার্স। তবে লক্ষ্য থেকে মাত্র ৪৯ রান দূরে, হাতে আছে ৫ উইকেট। ক্রিজে তখনো ছিলেন ইনফর্ম ব্যাটসম্যান ইয়াসির আলী রাব্বি। ষষ্ঠ উইকেটে সাজেদুলকে নিয়ে ২৫ রান যোগ করেছিলেন। ১৮৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারাল ব্রাদার্স, জয়ের জন্য তখনো দরকার মাত্র ২৪ রান। ম্যাচটা তাদের হাতেই ছিল।
কিন্তু নাসুম আহমেদ ওলটপালট করে দিলেন সবকিছু। ৪৫তম ওভারে রাব্বি আউট হয়ে গেলেন ৩০ রানে, আউট করলেন নাসুম। হাতে তখনো ৩ উইকেট আছে ব্রাদার্সের, কিন্তু শেষ পর্যন্ত ২০০ও করতে পারল না। শেষ তিনটি উইকেটই নিয়েছেন নাসুম, লিস্ট এ ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মতো ৫ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার। ১৯৭ রানে অলআউট হয়ে গেল ব্রাদার্স, গাজী পেল রোমাঞ্চকর একটা জয়।
তার আগে ২০৬ রান পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব পাকিস্তানের কাম রান গুলামের। টপ অর্ডারে ওপেনার মেহেদী হাসান ছাড়া কেউই রান পাননি, প্রথম পাঁচ ব্যাটসম্যানের মধ্যে আর কেউই দুই অঙ্ক ছুঁতে পারেননি। এর মধ্যে আছেন অধিনায়ক ইমরুল কায়েসও। ৯২ রানে তাই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছিল গাজী। সেখান থেকে সপ্তম উইকেটে শামসুল ইসলামকে নিয়ে ৫৪ রান যোগ করলেন কামরান। এরপর টেল এন্ডারদের নিয়ে আরও বেশ কিছু মূল্যবান রান যোগ করেছেন, নিজে ৪৯তম ওভারে গিয়ে আউট হয়েছেন ১০১ বলে ৮১ রান করে। শেষ পর্যন্ত ২০৬ রান করেছে গাজী, দিন শেষে সেটিই হয়ে গেছে জয়ের জন্য যথেষ্ট। নয় ম্যাচে ৮ পয়েন্ট গাজীর, সুপার লিগের আশা তাই বেঁচে থাকল তাদের।