রূপগঞ্জের কাছে উড়ে গিয়ে রেলিগেশন লিগে পড়ল উত্তরা
৬২তম ম্যাচ, মিরপুর
উত্তরা স্পোর্টিং ক্লাব ১৮০/৮, ৫০ ওভার
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ১৮১/১, ৪০.৪ ওভার
রূপগঞ্জ ৯ উইকেটে জয়ী
নাবিল সামাদের দারুণ বোলিংয়ের পর মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ নাইমের ফিফটির সঙ্গে মুমিনুল হকের ৪৭ রানের অপরাজিত ইনিংসে রূপগঞ্জের কাছে উড়ে গেছে উত্তরা। ১১ ম্যাচে ৪ পয়েন্ট নিয়ে পয়েন্ট টেবিলের তলানীতেই পড়ে রইল উত্তরা, ফলে সবার আগে রেলিগেশন লিগ খেলা নিশ্চিত এখন তাদের। অন্য ম্যাচে প্রাইম দোলেশ্বরের সঙ্গে ব্রাদার্স ইউনিয়ন জিতলেও রেলিগেশন লিগের খাঁড়া ঝুলছে তাদের ওপরও, ১১ তারিখ বিকেএসপি ও খেলাঘরের ম্যাচের ওপর নির্ভর করছে তাদের ভাগ্য।
মিরপুরে টসে জিতে ফিল্ডিং নেওয়া রূপগঞ্জ সফল হয়েছিল দ্বিতীয় ওভারেই। অবশ্য আনিসুল ইসলাম ইমন ও শানাজ আহমেদের দ্বিতীয় উইকেট জুটিতে উঠেছিল ৮১ রান। ইমন ফিরেছেন ৭৩ বলে ৫৫ রান করে। এরপর আবার ৪ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে আবার চাপে পড়েছিল উত্তরা। এই তিনটি উইকেটই নিয়েছেন নাবিল সামাদ, শেষ পর্যন্ত ১০ ওভারে ২ মেইডেনসহ ২৭ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন এই বাঁহাতি স্পিনার।
এরপর পাঁচ ও ছয়ে নামা মিনহাজুল আবেদিন ও সখির হোসেনের যথাক্রমে ৩৭ ও ৩৩ রানের দুইটি বেশ ধীরগতির ইনিংসের পর ৫০ ওভারে ১৮০ রানেই থেমেছিল উত্তরা। এ ম্যাচ দিয়ে মাঠে ফিরেছেন বিপিএলে চোট পাওয়া পেসার তাসকিন আহমেদ, ৫ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে তিনি ছিলেন উইকেটশূন্য।
রানতাড়ায় শুরুতে বিপরীতমুখি দুই ইনিংস খেলেছেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার নাইম ও মারুফ। ৭৭ বলে ৯ চার ও ১ ছয়ে ৬৩ রান করে নাইম ফিরেছেন, ৯৪ রানের ওপেনিং জুটি ভেঙেছে তাতেই। উত্তরা উইকেট নিতে পেরেছে ওই একটিই, যা নিয়েছেন মোহাইমেনুল খান।
দ্বিতীয় উইকেটে মারুফ ও মুমিনুলের ৮৫ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে জয় নিশ্চিত হয়েছে রূপগঞ্জের। মারুফ অপরাজিত ছিলেন ৬২ রানে, যে ইনিংসে তিনি খেলেছেন ১১৪ বল, মেরেছেন ২টি করে চার ও ছয়। আর ৫৩ বলে ৫ চারে ৪৭ রান মুমিনুলের।
এ জয় দিয়ে টানা আট ম্যাচ অপরাজিত এখন রূপগঞ্জ। ১১ ম্যাচে তারা হেরেছে মাত্র একটিতে, ২০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে তারা। দুইয়ে থাকা আবাহনীর সঙ্গে তাদের পয়েন্ট ব্যবধান এখন ৪।