• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরও রেলিগেশন লিগে ব্রাদার্স

    রুদ্ধশ্বাস জয়ের পরও রেলিগেশন লিগে ব্রাদার্স    

    প্রাইম দোলেশ্বর ৫০ ওভারে ২৫০/৫

    ব্রাদার্স ইউনিয়ন ৪৯.৫ ওভারে ২৫১/৯

    ফলঃ ব্রাদার্সের ১ উইকেটে জয়ী


    রেলিগেশন লিগ নিশ্চিত, মুখোমুখি লড়াইয়ে খেলাঘরের সঙ্গে হারটাই কাল হয়ে গেছে ব্রাদার্সের। তবে গ্রুপপর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স পেলো রোমাঞ্চকর জয়ই। দুই ওভারে জয়ের জন্য দরকার ১০ রান ব্রাদার্সের, হাতে আছে ৩ উইকেট। ৪৯তম ওভার করতে এলেন দোলেশ্বরের আরাফাত সানি, দ্বিতীয় বলেই আউট করলেন আশিকুজ্জামানকে। চতুর্থ বলে নাঈম ইসলাম ছয় মারলেন, কিন্তু শেষ বলে আউট হয়ে গেলেন। শেষ ওভারে জয়ের জন্য দরকার হলো ৩ রান, হাতে ১ উইকেট। প্রথম তিন বলেই ২ রান নিয়ে নিলেন বিশ্বনাথ-জাহিদুজ্জামান। ফরহাদ রেজার পঞ্চম বলে এলো সিঙ্গেল, ব্রাদার্স পেল ১ উইকেটের জয়। 

    ২৫১ রান তাড়া করতে গিয়ে শুরুটা ভালো হয়নি ব্রাদার্সের। ৩১ রানে হারিয়ে ফেলেছিল জুনাইদ সিদ্দিকীকে। মিজানুর ও ফজলে মাহমুদ দ্বিতীয় উইকেটে যোগ করেন ৪৮ রান। এরপর দেবব্রত দাস ৬ রানে ফিরে যাওয়ার পর ইনফর্ম ইয়াসির আলীও আউট হয়ে যান ৫ রানে। ১১০ রানে ৪ উইকেট হারিয়ে ব্রাদার্স তখন ব্যাকফুটে।

    ফজলে রাব্বি ও শরিফুল্লাহ এরপর পঞ্চম উইকেটে যোগ করেন ৮০ রান। ম্যাচ যখন আবার ব্রাদার্সের দিকে হেরে, এর পরেই ফজলেকে ৭৪ রানে ফিরিয়ে নিজের দ্বিতীয় উইকেট তুলে নেন আরাফাত সানি। ২ রানের মধ্যে ফিরে যান শরিফুল্লাহ। এরপর মোহাম্মদ শাহজাদা ও আশিকুজাম্মান সপ্তম উইকেটে যোগ করেন ৩৩ রান। শাহজাদা আউট হলেও আশিকুজ্জামান জিতিয়ে আনবেন বলেই মনে হচ্ছিল। এরপরেই শেষ ২ ওভারের ওই নাটক, যাতে জয়ী ব্রাদার্স।

    দোলেশ্বরের ২৫০ পর্যন্ত যাওয়ার মূল কৃতিত্ব মিডল অর্ডারের। ৪৬ রানের মধ্যে দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পর ফরহাদ হোসেন ও মার্শাল আইয়ুব যোগ করেন ৭০ রান। ফরহাদ ৪০ রানে আউট হলেও মার্শাল ঠিক ফিফটি করে আউট হয়েছেন। তবে তৈয়বুর রহমান ও মাহমুদুল হাসানের ৯০ রানের ষষ্ঠ উইকেট জুটি ব্রাদার্সকে নিয়ে গেছে ২৫০ রান পর্যন্ত। তৈয়বুর অপরাজিত ছিলেন ৭০ রানে, মাহমুদুল ৩৯ রানে। তবে ৭৪ রানের ইনিংসের জন্য এই ম্যাচেও সেরা ফজলে মাহমুদই।