বছরশেষে কাজ শুরু পুর্বাচল স্টেডিয়ামের, সময় লাগবে আড়াই বছর
পূর্বাচল স্টেডিয়াম নিয়ে ঘোষণা এসেছিল আগেই। তবে সেটির নির্মাণ কবে থেকে শুরু হবে সেটা নিয়ে বলা হয়নি কিছু। আজ শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের প্রথম পরিকল্পনা সভা হলো বিসিবিতে। এরপর বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম জানিয়েছেন, সবকিছু ঠিক থাকলে আড়াই বছর পর আলোর মুখ দেখতে পারে এই স্টেডিয়াম। তবে আগামী শীতের আগে স্টেডিয়াম নির্মাণের কাজ শুরু হচ্ছে না।
এক যুগেরও বেশি সময় ধরে মিরপুর শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামই বাংলাদেশের ‘হোম অব ক্রিকেট’। তবে ফতুল্লার অবকাঠামোগত দুর্বলতা আর অন্যান্য কারণে আরও একটি আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামের পরিকল্পনা ছিল বিসিবির। সেজন্য পূর্বাচলে সরকারের কাছ থেকে জমি বরাদ্দও নেওয়া হয়েছিল। আজ মিরপুরে সেই স্টেডিয়াম বাস্তবায়নের প্রথম বৈঠক শেষে মাহবুব আনাম সাংবাদিকদের নিশ্চিত করেছেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট ইমপ্লিমেন্টের প্রথম সভা ছিল। কিছুটা পরিচিতি সভার মত। কিভাবে আমরা এই পরিকল্পনাটি করব তাঁর একটা রূপরেখা তৈরি করা হয়েছে। এই কমিটিতে আমি বাইরে থেকে বেশ কিছু এক্সপারটিজ আমরা অন্তর্ভুক্ত করব। বুয়েট থেকে প্রতিনিধি নেব। যারা অডিট করে থাকে তাদের থেকেও প্রতিনিধি নিয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হব। আপনারা জানেন যে পূর্বাচলের এই জমিটি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষে রেজিস্ট্রি হয়েছে। মাননীয় প্রধান মন্ত্রী এই জমিটি বরাদ্ধ করেছে, রাজউকের মাধ্যমে, প্রতীকী মূল্যে। এই মাসের মধ্যেই আমরা মাঠের পজেশনে আমরা কাজ করব। পজেশন পেলেই আমার কাজ গতি সম্পন্ন হবে। মাঠটি প্রটেক্ট করা, একটা সাইট অফিস করা, অন্যান্য যেই পরিকল্পনা রয়েছে সেগুলো সামনের দিকে আগাবো। আমাদের ইচ্ছে এই স্টেডিয়ামটা এমন একটা স্টেডিয়াম হবে যেটা শুধু এই রিজন কেনো, পুরো বিশ্বের মধ্যে সুন্দর স্টেডিয়াম হবে। যেহেতু এটা গ্রিন ফিল্ড স্টেডিয়াম, সেহেতু এখানে আমাদের অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। আপনারা জানেন যে মিরপুর স্টেডিয়ামকে আমরা কনভার্ট করেছি। সেই জন্য আমরা আন্তর্জাতিক মানের, যারা স্টেডিয়াম করেছে, তাদের কনসালটিং ফার্মকে নিযুক্ত দেয়ার ব্যাপারে একটা আন্তর্জাতিক প্রক্রিয়া করা হবে এবং আমরা স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে টেন্ডার পদ্ধতিতে করা হবে। ’
সবকিছু ঠিক থাকলে এই বছরের শেষ নাগাদ স্টেডিয়াম তৈরির কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মাহবুব আনাম, ‘স্টেডিয়ামের ফিজিক্যাল কাজ আগামী শীত মৌসুমের আগে করা হবে না। বিসিবি অলরেডি একটা কনসেপ্ট ড্রয়িং তৈরি করেছে। ওই কনসেপ্ট ড্রইংটাকে এনলার্জ করা এবং এর মধ্যে আমাদের অন্য যেই জিনিসগুলো থাকবে, ড্রেসিং রুম বলেন বা যাই বলেন, সেগুলোকে আরও ডিটেইল করা। বিসিবি বোর্ড ইতিমধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এখানে একটা স্টেডিয়াম থাকবে। এখানে একটা একাডেমী গ্রাউন্ডের মতন থাকবে। তার মানে আমরা দুটো মাঠ পাব। ৩৭ একর আছে, ওখানে কি কি করা সম্ভব সেটা আমরা ভেবে রেখেছি।’
একটা সময় কি বিসিবির কার্যালয় সেখানে স্থানান্তর হওয়ার সম্ভাবনা আছে? সেটি নিয়ে অবশ্য মাহবুব আনাম এখনই কিছু বললেন না।