• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    দুর্দান্ত সাইফ উদ্দিনে বিধ্বস্ত দোলেশ্বর

    দুর্দান্ত সাইফ উদ্দিনে বিধ্বস্ত দোলেশ্বর    

    আবাহনী ৪৯ ওভারে ২৫১ অলআউট 

    প্রাইম দোলেশ্বর ২৯.৪ ওভারে ৮৬ 

    ফলঃ আবাহনী ১৬৫ রানে জয়ী


    লিস্ট এ ক্যারিয়ারে ৫ উইকেট দূরে থাক, ৪ উইকেটই পাননি কখনো। সেই সাইফ উদ্দিন আজ একটা সময় মনে হচ্ছিল, লিস্ট এ ক্যারিয়ারের অনেক রেকর্ডই ভেঙে দেবেন। সেটা হয়নি, তবে অবিশ্বাস্য এক ওপেনিং স্পেলে ঠিক করে দিয়েছেন ম্যাচের ভাগ্য। ২৫১ রান নিয়েও তাই প্রাইম দোলেশ্বরকে আবাহনী উড়িয়ে দিয়েছে ১৬৫ রানে, জয় দিয়ে শুরু করেছে সুপার লিগ।

    যা করার শুরুর স্পেলেই করেছেন সাইফ উদ্দিন। ইনিংসের প্রথম ওভারেই পেয়েছেন উইকেট, তৃতীয় বলে ফিরিয়ে দিয়েছেন দোলেশ্বর ওপেনার ইকরামউজ্জামানকে। পরের তিন ওভারে কোনো উইকেট পড়েনি, পঞ্চম ওভারের প্রথম বলে আবারও সাইফ উদ্দিনের আঘাত। এবার ১ রানে ফিরিয়ে দিয়েছে ওপেনার সৈকত আলীকে। এক ওভার পর ফরহাদ হোসেনকে ক্যাচ বানিয়েছেন সৌম্য সরকারের। চতুর্থ ও ষষ্ঠ ওভারে আরও দুইটি উইকেট, বোল্ড করেছেন মার্শাল আইয়ুব ও সাইফ হাসানকে। ৩৪ রানে ৫ উইকেট নেই দোলেশ্বরের, পাঁচটিইই নিয়েছেন সাইফ উদ্দিন।

    তবে রেকর্ডবুকে তোলপাড় করে ফেলার সুযোগ সাইফ উদ্দিন আর পেলেন না। ওই ছয় ওভার করে শেষ করেছেন প্রথম স্পেল, এরপর তাঁর আর বলই হাতে নিতে হয়নি। তাইবুর রহমান ৫ রান করে ফিরেছেন সৌম্য সরকারের বলে, বিপদের ভরসা ফরহাদ রেজাও ৩ রান করে অপুর বলে ক্যাচ দিয়েছেন শান্তকে। এনামুল হক জুনিয়র একটু প্রতিরোধের চেষ্টা করছিলেন, তবে ১৪ রানে তাঁকে আউট করেছেন নাজমুল অপু। মাহমুদুল হাসান ২৭ রানে অপরাজিত থেকে দেখছিলেন সতীর্থদের আসা যাওয়া। শেষ পর্যন্ত ৮৬ রানেই শেষ হয়ে গেছে দোলেশ্বর, যাতে ম্যাচসেরা অবধারিতভাবে সাইফের।

    অবশ্য আবাহনীর রান ২৫১ পর্যন্ত পৌঁছাতেও ঘাম ঝরাতে হয়েছে বিস্তর। ১০ রানের মধ্যে পড়ে গিয়েছিল ৩ উইকেট, জহুরুল ইসলাম অমির পর সৌম্য সরকার আজ একবারও ব্যর্থ। মেহেদী হাসান মিরাজকে তিনে উঠে আনার ফায়দাও কাজে লাগেনি, দুই অঙ্ক ছোঁয়ার আগেই আউট হয়ে গেছেন তিন জনই। ১২ রানে ৩ উইকেট পড়ে যাওয়ার পর হাল ধরেছেন ভারতের ওয়াসিম জাফর ও নাজমুল হোসেন শান্ত। দুজন চতুর্থ উইকেটে যোগ করেছেন ১৪৬ রান। ৭১ রানে জাফরকে ফিরিয়ে জুটিটা ভেঙেছেন আরাফাত সানি। শান্ত ফিরে গেছেন ৭০ রানে, অধিনায়ক মোসাদ্দেক হোসেন বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে আজ ফিরে গেছেন প্রথম বলেই আউট হয়ে। তবে আবাহনীকে আড়াইশ পর্যন্ত নিয়ে যেতে বড় অবদান মোহাম্মদ মিঠুন ও মাশরাফি বিন মুর্তজার। ছয়ে নেমে ৪৬ বলে ৪১ রান করেছেন মিঠুন, শেষ দিকে ২১ বলে ২৪ রান করেছেন মাশরাফি। অবশ্য দিন শেষে ২৫১ রান হয়ে গেছে যথেষ্টর চেয়েও বেশি।