নাঈমের সেঞ্চুরির পর রূপগঞ্জের নয়ে নয়
সুপার লিগ, বিকেএসপি
লিজেন্ডস অফ রূপগঞ্জ ৩১৩/৪, ৫০ ওভার
মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৬৭ অল-আউট, ৪৬.২ ওভার
রূপগঞ্জ ৬ উইকেটে জয়ী
নাঈম ইসলামের অপরাজিত সেঞ্চুরির সঙ্গে মুমিনুল হকের ৭৮ ও শাহরিয়ার নাফীসের ৬৮ রানে ভর করে ৩০০ পেরিয়ে যাওয়া রূপগঞ্জের কাছে থমকে গেছে মোহামেডান। রানতাড়ায় ইরফান শুক্কুর ও রকিবুল হাসানের ফিফটির পরও ২৬৭ রানেই আটকে গেছে মোহামেডান। এ নিয়ে টানা নয় ম্যাচ জিতল রূপগঞ্জ, ১২ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ২২। আবাহনীর সঙ্গে তাদের পার্থক্যটা থাকলো তাই চারই। আর সবার পরে সুপার লিগে ওঠা মোহামেডান থাকলো সবার শেষেই।
বিকেএসপিতে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিল মোহামেডান। ৬৩ রানের মাঝে ফিরেছেন রূপগঞ্জের দুই ওপেনার- মেহেদি মারুফ ও মোহাম্মদ নাইম। তৃতীয় উইকেটে নাঈম ও মুমিনুল যোগ করেছেন ১০৭ রান। মুমিনুল ফিরেছেন ৮৮ বলে ৭৮ রানে, ৮টি চারের সঙ্গে মেরেছিলেন ১টি ছয়ও। চতুর্থ উইকেটে নাফীসের সঙ্গে নাঈমের জুটি ১২১ রানের, ৪৮তম ওভারে গিয়ে আউট হওয়ার আগে নাফীস করেছেন ৬১ বলে ৬৮, ২টি ছয়ের সঙ্গে মেরেছেন ৬টি চার।
৬২ বলে ফিফটি করা নাঈম সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ১০৫ বলে, অপরাজিত ছিলেন সমানসংখ্যক বলে ১০৮ রানে, ইনিংসে ৪টি চার ও ৩টি ছয় মেরেছেন তিনি। এ মৌসুমে এটি দ্বিতীয় সেঞ্চুরি তার, এর আগে শাইনপুকুরের বিরুদ্ধেও করেছিলেন ১০৮ রানই। মোহামেডানের হয়ে ৪৪ রানে ২ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ আশরাফুল।
রানতাড়ায় তৃতীয় উইকেটে ৮১ রানের জুটি ছাড়া সে অর্থে বড় কিছু করতে পারেনি মোহামেডান। ৯১ বলে ৭৩ রান করে ফিরেছেন শুক্কুর, মেরেছিলেন ১০টি চার। পরে রকিবুল ৬২ বলে ৫ চার ও ১ ছয়ে করেছেন ৫৮ রান। মোহামেডানের পরের সর্বোচ্চ স্কোর সোহাগ গাজীর, ছয়ে নেমে তিনি করেছিলেন ১৯ বলে ২৯।
২২ বল বাকি থাকতেই আটকে গেছে মোহামেডান। শুভাশীষ রায় নিয়েছেন ৫৬ রানে ৩ উইকেট। ২টি করে নিয়েছেন মোহাম্মদ শহিদ ও মুক্তার আলি। সেঞ্চুরির কারণে ম্যাচসেরা হয়েছেন রূপগঞ্জ অধিনায়ক নাঈম।