• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    মাশরাফির ৪০০ ও মোসাদ্দেকের দিনে শিরোপাস্বপ্ন শেষ মোহামেডানের

    মাশরাফির ৪০০ ও মোসাদ্দেকের দিনে শিরোপাস্বপ্ন শেষ মোহামেডানের    

    সুপার লিগ, বিকেএসপি
    আবাহনী লিমিটেড ৩০৪/৭, ৫০ ওভার 
    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৫৯, ৪৬.৩ ওভার 
    আবাহনী ৪৫ রানে জয়ী 


    মাশরাফির রেকর্ড-গড়া দিনে মোসাদ্দেক হোসেনের অলরাউন্ড পারফরম্যান্সে মোহামেডানকে পাত্তা দেয়নি আবাহনী। সুপার লিগে টানা দুই ম্যাচ জিতে রূপগঞ্জের সঙ্গে পয়েন্ট ব্যবধান এখন দুইয়ে নামিয়ে এনেছে আবাহনী। আর টানা দুই ম্যাচ হেরে শেষ হয়ে গেছে মোহামেডানের শিরোপা স্বপ্ন।

    রকিবুল হাসানের ৯৬ ও মোহাম্মদ আশরাফুলের ৬৮ রানের ইনিংস মোহামেডানের জন্য যথেষ্ট হয়নি আবাহনীর দেওয়া ৩০৫ রানের লক্ষ্য তাড়া করায়। এর আগে বাংলাদেশের বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ পাওয়া সাব্বির রহমান, মোহাম্মদ মিঠুন ও মোসাদ্দেকের ফিফটির সঙ্গে সাইফউদ্দিনের ঝড়ো ইনিংসে স্কোরটা বেশ বড় করেছিল আবাহনী। 

    ৩২ রানে ওপেনার জহুরুল ইসলাম ও সৌম্য সরকারকে হারিয়ে ফেলেছিল আবাহনী, দুটি উইকেটই নিয়েছিলেন শেষ পর্যন্ত বিশ্বকাপ স্কোয়াডে সুযোগ না পাওয়া শফিউল ইসলাম। ওয়াসিম জাফরের সঙ্গে সাব্বিরের জুটি এরপর ৭১ রান। জাফর ফেরার পর নাজমুল হোসেন শান্তর সঙ্গে সাব্বিরের জুটি টিকেছে মাত্র ৬ রানের জন্য, ৫৩ বলে ৪ ছয় ও ৫ চারে ৬৪ রান করে ফিরেছেন সাব্বির। 

    শান্ত ও মিঠুন এরপর যোগ করেছেন ৯১ রান, দুজন ফিরেছেন ২ রানের ব্যবধানে। শান্ত করেছেন ৪৫ বলে ৩৬, শফিউলের তৃতীয় শিকার হওয়ার আগে। মিঠুন ২ ছয় ও ৬ চারে ৫২ বলে করেছেন ৫৬ রান। এরপর মোসাদ্দেক ও সাইফউদ্দিন ৮৬ বলে তুলেছেন ১০২ রান। শেষ বলে রান-আউট হওয়ার আগে ৩৫ বলে ৪১ রান করেছেন সাইফউদ্দিন, মোসাদ্দেক অপরাজিত ছিলেন ৫৭ বলে ১ ছয় ও ৫ চারে ৫৪ রান করে। শফিউল ৩ উইকেট নিয়েছেন ৬৩ রানে, রাহাতুল ফেরদৌস ২ উইকেট নিতে খরচ করেছেন ৪১ রান। 

    রানতাড়ায় মোহামেডানের শুরুটা হয়েছিল বিভৎস। ওপেনিং বোলিংয়ে এসে তৃতীয় ওভারেই আঘাত করেছিলেন মোসাদ্দেক, আব্দুল মজিদকে ফিরিয়েছেন শূন্যতেই। ওপাশ থেকে মাশরাফি ইরফান শুক্কুরকে বোল্ড করেছেন মাশরাফি। এটি দিয়েই লিস্ট ‘এ’-তে দ্বিতীয় বাংলাদেশী বোলার হিসেবে ৪০০ উইকেট হয়ে গেছে তার, কদিন আগে প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে এ কীর্তি ছুঁয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক। এরপর মোসাদ্দেকের শিকার হয়েছেন অভিষেক মিত্র। প্রথম ৮ ওভারে মাত্র ২৪ রান তুলেছিল মোহামেডান, ৩ উইকেটে। 

    তুষার ইমরান ও রকিবুল মোহামেডানকে একটু বাতাস এনে দিয়েছেন এরপর, দুজনের জুটিতে উঠেছে ৪১ রান। ১৬ রানে নাজমুলের বলে বোল্ড তুষার। আশরাফুলের সঙ্গে রকিবুলের জুটিতে উঠেছে ১২৮ রান, ১৯.২ ওভার। বিপরীতমুখি ব্যাটিং করেছেন রকিবুল ও আশরাফুল। দারুণ ফর্মে থাকা রকিবুল ৯৬ রান করেছেন মাত্র ৭৯ বলে, ৩ ছয়ের সঙ্গে ১০ চারে। মাশরাফির দ্বিতীয় শিকার তিনি। আশরাফুল ৬৮ রান করতে খেলেছেন ৮৫ বল। 

     

     

    ২৩০ রানে ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে ফিরেছেন আশরাফুল, মোহামেডান এরপর গুটিয়ে গেছে শীঘ্রই। ২৯ রানে শেষ ৫ উইকেট হারিয়েছে তারা। ব্যাটিংয়ে কিছু করতে না পারলেও বোলিংয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন সৌম্য সরকার। মোসাদ্দেক ৩ উইকেট নিয়েছেন ৩৬ রানে, মাশরাফি খরচ করেছেন ৪০ রান।