• ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ
  • " />

     

    'ফাইনালের' আগে আত্মবিশ্বাসী রূপগঞ্জ, সতর্ক আবাহনী

    'ফাইনালের' আগে আত্মবিশ্বাসী রূপগঞ্জ, সতর্ক আবাহনী    

    জাতীয় দলের ক্যাম্প এখনো শুরু হয়নি। নিজেদের মতো অনুশীলন করে নিচ্ছেন তামিমরা। তবে একাডেমিতে খটখটে রোদেই অনুশীলন চলল রূপগঞ্জের। কোচ আফতাব আহমেদ দেখা হতেই বললেন, ‘দোয়া করবেন’। অবশ্য আবাহনীর বিপক্ষে কালকের ‘ফাইনালের’ আগে আশীর্বাদটা খুব করেই দরকার রূপগঞ্জের।

    ‘ফাইনাল’ বলতে হচ্ছে আসলে অনেক কারণেই। এই মুহূর্তে ঢাকা প্রিমিয়ার লিগের পয়েন্ট তালিকায় ১৪ ম্যাচে ২৪ পয়েন্ট নিয়ে সবার ওপরে আছে রূপগঞ্জ, ২২ পয়েন্ট নিয়ে দুইয়ে আছে আবাহনী। এই ম্যাচে রূপগঞ্জ জিতলে এক ম্যাচ হাতে রেখে এগিয়ে যাবে চার পয়েন্টে, শিরোপা তখন নিশ্চিতভাবেই তাদের। আর আবাহনী জিতলে দুই দলের পয়েন্ট সমান হবে। সেক্ষেত্রে শেষ ম্যাচে দুই দলই জিতলে নেট রান রেটে নিষ্পত্তি হবে শিরোপা। এখানে আবার আবাহনী বেশ এগিয়ে, সেই হিসেবে কাল জিতলে আবাহনী বেশ খানিকটা এগিয়ে থাকবে।

    রূপগঞ্জের কোচ আফতাব দল গড়ার সময় নিজেও আশা করেননি, ‘মিনি জাতীয় দল’ আবাহনীর বিপক্ষে এভাবে পাল্লা দেবেন তারা, ‘সত্যি কথা যখন দলটি বানিয়েছিলাম তখন এত আশা করিনি। আলহামদুলিল্লাহ আমি যে বিশ্বাস করে নিয়েছি তার চেয়ে অনেক বেশি আমাকে উপহার দিয়েছে। প্রত্যেকটি ম্যাচে ওরা যেভাবে আত্মবিশ্বাস নিয়ে খেলছে তাতে আমরা ইনশাল্লাহ যেকোনো দলকে বিপদে ফেলতে পারবো। আমরা যদি এভাবে ক্রিকেট খেলে যাই তাহলে ভালো কিছু আশা করছি ইনশাল্লাহ।’

    পয়েন্ট তালিকায় তো এগিয়েই, মানসিকভাবেও রূপগঞ্জ আরেকটি দিক দিয়ে এগিয়ে থাকতে পারে। এই মৌসুমে দুই দলের আগের দেখায় জিতেছে তারাই। আফতাব সেটি ভুলে যাচ্ছেন না, দেখুন আমরা কিন্তু প্রথম ম্যাচটি ভালোভাবেই জিতেছি। যেটি আমি প্রথমেই বললাম যে আমরা কোনও ম্যাচই ম্যাচ হিসেবে নিচ্ছি না। আমাদের লক্ষ্য এবং স্লোগানই একটি যে আমরা দুই পয়েন্ট নিয়ে এগোবো। আমরা প্রতিপক্ষ দলকে ফলো করছি না। টেবিলের যে দুই পয়েন্ট আছে সেটিতে গুরুত্ব দিচ্ছি।’

     

     

    কাগজে কলমে রূপগঞ্জের চেয়ে আবাহনী তো বটেই, ভালো দল হয়তো আরও কয়েকটি আছে। তবে মাঠে সব সমীকরণ ভুলই প্রমাণ করেছে রূপগঞ্জ, ‘সবথেকে বড় কথা আমি ওদের মাঝে সবসময় বিশ্বাসটা ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। যদি ভালো ক্রিকেট খেলা যায় তাহলে যেকোনো দলকে হারানো সম্ভব। ওদের মধ্যে এই বিশ্বাসটি আমি সবসময় ঢোকানোর চেষ্টা করেছি। আর সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো আমাদের দলে জাতীয় দলের অনেকে আছে। তবে আমাদের দলে ওরা যখন এসেছে তখন সেটি তাঁরা মনেই করেনি যে তাঁরা জাতীয় দলের খেলোয়াড়। আমরা ঠিক যেভাবে নিয়ম শৃঙ্খলা মেনে আসছি ওরাও ঠিক একইভাবে মানিয়ে নিয়েছে। আমি বলবো যে এটাই আমাদের সব থেকে বড় পার্থক্য ফলাফল ভালো করার ব্যাপারে।’ 

     

     

    আবাহনীর মোহাম্মদ মিঠুন অবশ্য আশাবাদী, কাগজে কলমে তারাই যে সেরা সেটা কাল প্রমাণ করবেন বিকেএসপিতে, ‘দেখুন আমাদের দলের সবাই ফর্মে আছে। কাগজে কলমে আমরাই এগিয়ে। তবে দিন শেষে পারফরম্যান্সই আসল কথা। আমরা এতদিন পর্যন্ত যেমন খেলেছি, তার চেয়ে আরও ভালো ক্রিকেট খেলার সামর্থ্য আছে আমাদের। কাল মাঠে সেটাই প্রমাণ করতে হবে।’