• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'বিশ্বকাপ না জিতলে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট পূর্ণতা পাবে না'

    'বিশ্বকাপ না জিতলে নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট পূর্ণতা পাবে না'    

    গতবার ঘরের মাটিতে বিশ্বকাপের সব ম্যাচ জিতেই ফাইনালে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। নিজেদের ইতিহাসের প্রথম বিশ্বকাপ ফাইনালটা অবশ্য খুব ভালো কাটেনি কিউইদের, অস্ট্রেলিয়ার কাছে ৭ উইকেটে হেরে স্বপ্নভঙ্গ হয়েছিল তাদের। এবারও শক্তিশালী দল নিয়েই বিশ্বকাপে যাচ্ছে কেন উইলিয়ামসনের দল। সাবেক কিউই অধিনায়ক ডিওন ন্যাশ বলছেন, বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত নিউজিল্যান্ডের ক্রিকেট পূর্ণতা পাবে না। 

    ১৯৭৫ সালের প্রথম বিশ্বকাপেই সেমিতে উঠেছিল নিউজিল্যান্ড। এরপর ১৯৭৯, ১৯৯২ ও ১৯৯৯ সালে শেষ চারে খেলেছিল তারা। ২০০৩ থেকে ২০১১, মাঝের তিনটি বিশ্বকাপে সেমিতে ওঠা হয়নি কিউইদের। ২০১৫ বিশ্বকাপে ঘরের মাঠে আগের সব রেকর্ড ভেঙ্গে প্রথমবারের মত ফাইনালে ওঠে নিউজিল্যান্ড। সেবারও অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরে বিশ্বকাপ ছুঁয়ে দেখা হয়নি ব্রেন্ডন ম্যাককালামদের।

    ন্যাশ বলছেন, যতদিন পর্যন্ত বিশ্বকাপ না জিতবে কিউইরা, ততদিন তাদের কোন সাফল্য পূর্ণতা পাবে না, ‘গতবার নিউজিল্যান্ড যা অর্জন করেছিল সেটায় আমরা সবাই গর্বিত। যদি এবারও আমরা ফাইনালে উঠতে চাই, তাহলে সিনিয়র সদস্যদের খুব ভালো পারফর্ম করতে হবে। যদি পাঁচজনও এটা করতে পারে, তাহলেই কেবল প্রথমবারের মত বিশ্বকাপ জিতবে নিউজিল্যান্ড। বিশ্বকাপ জিততে হলে টুর্নামেন্টজুড়েই ভালো খেলতে হবে। সেই শুরু থেকেই বিশ্বকাপ না জেতার আক্ষেপটা পোড়াচ্ছে নিউজিল্যান্ডকে। বিশ্বকাপ না জেতা পর্যন্ত আমদের ক্রিকেট ইতিহাস পূর্ণতা পাবে না।’

     

     

    দলের সিনিয়র ক্রিকেটারদের অনেকেই আগে বেশ কয়েকবার ইংল্যান্ড সফরে গিয়েছেন। এই অভিজ্ঞটা খুব কাজে দেবে কিউইদের, মানছেন ন্যাশ, ‘অভিজ্ঞতাটাই দলের প্রধান অস্ত্র। দলের অনেকেই বহুবার ইংল্যান্ডে এসেছে। বিশ্বকাপে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে। এর আগে কখনোই এমন অভিজ্ঞ দল নিয়ে বিশ্বকাপে যায়নি নিউজিল্যান্ড। অন্য যেকোনো দলের চেয়ে আমাদের অভিজ্ঞতা বেশি। উইলিয়ামসন, গাপটিল, টেলর, সাউদি, বোল্টরা একসাথে খেলছে অনেকদিন ধরেই, এটাও আমাদের বাড়তি শক্তি যোগাবে।’

    নিউজিল্যান্ড কি পারবে এই অভিজ্ঞ দলটা নিয়ে ইতিহাস গড়তে?