• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    শ্রীলংকাকে হারিয়ে আরও বাড়ল অস্ট্রেলিয়ার 'মধুর সমস্যা'

    শ্রীলংকাকে হারিয়ে আরও বাড়ল অস্ট্রেলিয়ার 'মধুর সমস্যা'    

    শ্রীলংকা ৫০ ওভারে ২৩৮/৯ (থিরিমান্নে ৫৬, ডি সিলভা ৪৩; জাম্পা ২/৩৯)

    অস্ট্রেলিয়া ৪৪.৫ ওভারে ২৪১/৫ (খাওয়াজা ৮৯, ম্যাক্সওয়েল ৩৬, মার্শ ৩৪; ভ্যান্ডারসে ২/৫১)

    ফলঃ অস্ট্রেলিয়া ৫ উইকেটে জয়ী


    অ্যারন ফিঞ্চ ম্যাচশেষে হাসতে হাসতে বললেন, বিশ্বকাপ শুরুর জন্য আর তর সইছে না তাঁর। অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়কের হাসির কারণ কম নয়। স্মিথ, ওয়ার্নারদের বিশ্রাম দেওয়ার পরও রান তাড়ায় সমস্যা হয়নি খাওয়াজা-মার্শদের, বরং বাড়িয়ে দিয়েছেন ফিঞ্চের মধুর সমস্যা। স্টার্ক-কামিন্সরা দলে ফিরে শাণ দিয়ে রেখেছেন বলে। স্পিনাররা জানিয়েছেন তারা নিজেদের কাজটা করতে প্রস্তুত। ইংল্যান্ডের পর তাই শ্রীলংকাকেও হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া। আর শ্রীলংকা টানা দুই ম্যাচ হেরেছে বটে, তবে থিরিমান্নের ফিফটি আর পেসারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিং একটু স্বস্তি দিতে পারে করুনারত্নেকে।

    শুরুতে ব্যাট করতে নেমে আজও শুরুটা ভালো হয়নি শ্রীলংকার। স্টার্ক-কামিন্স শুরু থেকেই ছিলেন আঁটোসাঁটো, সেই সুবিধাটা নিয়েছেন কেন রিচার্ডসন। দশম ওভারে এসে তুলে নিয়েছেন করুনারত্নেকে। ম্যাক্সওয়েল আজ বল হাতে পেয়েছেন আগেভাগেই, কুশল পেরেরাকে ফিরিয়ে দিয়েছেন ১৭তম ওভারে। থিরিমান্নে অবশ্য ভালোই খেলছিলেন, ফিফটিও পেয়ে গিয়েছিলেন। কিন্তু ৬৯ বলে ৫৬ রানের ইনিংসটা শেষ হলো নাথান লায়নের দারুণ এক বলে বোল্ড হয়ে।

     

     

    অস্ট্রেলিয়ার হয়ে এরপর উইকেট নেওয়ার কাজ করে গেছেন স্পিনাররা। অ্যাডাম জাম্পার বলে মেন্ডিস এলবিডব্লু হয়েছেন ২৪ রানে,অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস স্মিথকে ফিরতি ক্যাচ দিয়েছেন ১৭ রানে। ১৪৭ রানে ৫ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলংকা, খানিক বাদে যা হয়ে গেছে ১৬১ রানে ৬ উইকেট।

    ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ও থিসারা পেরেরার পালটা আক্রমণের শুরু এরপর। সপ্তম উইকেটে দুজন ৬৪ রান যোগ করেছেন ঠিক ৫৪ বলে। এরপর ‘অ্যাকশনে’ নেমেছেন পেসাররা, পেরেরাকে ২৭ রানে ফিরিয়ে দিয়েছেন প্যাট কামিন্স। ধনঞ্জয়ার ৪১ বলে ৪৩ রানের ইনিংস শেষ হয়েছে ৪৯তম ওভারে গিয়ে। সেটি পেয়েছেন স্টার্ক। পুরো ৫০ ওভার খেলেও ২৩৯ রানের বেশি করতে পারেনি শ্রীলংকা।

    অস্ট্রেলিয়া অবশ্য শুরুতেই ধাক্কা খেয়েছিল। চতুর্থ ওভারে নুয়ান প্রদীপের বল লাগে ফিঞ্চের প্যাডে, আম্পায়ার অবশ্য আউট দেননি। তবে রিভিউ নিয়ে প্রদীপ পেয়ে যান উইকেট। তিনে আজ সুযোগ পেয়েছিলেন মার্শ, খাওয়াজার সঙ্গে ম্যাচের ভাগ্য লিখে দিয়েছেন এর পরেই। দ্বিতীয় উইকেটে দুজন যোগ করেছেন ৮০ রান, ধনঞ্জয়ার বলে আউট হয়ে ৩৪ রানে শেষ হয়েছে মার্শের ইনিংস।

    খাওয়াজাকে নিয়ে অবশ্য চিন্তা ছিল। ফিল্ডিংয়ের সময় বল এতো জোরে হাঁটুতে এসে লেগেছিল, মনে হয়েছিল বড় কিছু হয়তো হয়ে যেতে পারে। তবে ব্যাটিং করে সেই দুশ্চিন্তা চাপা দিয়েছেন খাওয়াজা। মার্শ ফিরে যাওয়ার পর ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে যোগ করেছেন আরও ৬৫ রান। ম্যাক্সওয়েল ৩৬ বলে ৩৬ রান করে ফিরে গেছেন সিরিবর্ধনার বলে। এরপর স্টয়নিস ৩০ বলে ৩২ রানের ইনিংসে আরেকটু হাসি ফুটিয়েছেন ফিঞ্চের মুখে। স্টয়নিস ফিরে গেলেও খাওয়াজা অবশ্য সেঞ্চুরি নিয়ে মাঠ ছাড়বেন বলেই মনে হচ্ছিল। কিন্তু ৮৯ রান করে ভ্যান্ডারসের দ্বিতীয় শিকারে পরিণত হয়েছেন। বাকি কাজটা শেষ করে আসতে সমস্যা হয়নি ক্যারি ও কামিন্সের।