• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    'আমাদের তো বেন স্টোকসের মতো ফিল্ডার নেই'

    'আমাদের তো বেন স্টোকসের মতো ফিল্ডার নেই'    

    পাকিস্তানের বিপক্ষে নিজেদের আগের ম্যাচে পিচ্ছিল ফিল্ডিংয়ের খেসারত ম্যাচ হেরে দিয়েছিল ইংল্যান্ড, অন্তত অধিনায়ক অইন মরগান বলেছিলেন এমনই। সেদিন জেসন রয় ফেলেছিলেন মোহাম্মদ হাফিজের ক্যাচ। এদিন রয়ের মতো কেউ ক্যাচ না ফেললেও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের বাজে অবস্থায় হয়ত সেই ইংল্যান্ডকেও ছাড়িয়ে গেল বাংলাদেশ, তাদের বিপক্ষেই। ফিল্ডিং এমনিতেই বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার জায়গা বলে সাকিব আল হাসান আক্ষেপ করেছেন, এক্ষেত্রে বেন স্টোকসের মতো কোনও ‘অ্যাথলেটিক’ ফিল্ডার না থাকার।

    ম্যাচশেষে সাকিব বলছেন, ৩২০-৩৩০ রান ‘তাদের নাগালের মধ্যে থাকতো’। তবে সেটা না হয়ে যে স্কোরটা ৩৮৬ হলো, তার পেছনে তো ‘অবদান’ আছে ফিল্ডিংয়েরও। বেশ বড়সড় ‘ভুল’ ফিল্ডিংয়ে করেছেন সাকিবের মতো অভিজ্ঞ ক্রিকেটারও। ১৮তম ওভারে লং-অফে ফিল্ডিং করছিলেন সাকিব, সেখানে গিয়েছিল বল। তবে ব্যাটসম্যানরা সিঙ্গেল নেওয়ার পর উইকেটকিপার বা নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে না থ্রো করে সাকিব দিলেন মিড-অনে। বল তখনও আক্ষরিক অর্থে ‘ডেড’ হয়নি, জেসন রয় ও জনি বেইরস্টো সেটারই সুযোগ নিয়ে নিলেন আরেকটি রান। 

     

     

    সাকিব যেমন কিপারকে থ্রো না করে ভুল করেছেন, কিপারকে থ্রো করে তেমন ভুল করেছিলেন মোহাম্মদ মিঠুন। রয়-বেইরস্টোর ভুল বুঝাবুঝির সুযোগটা বাংলাদেশ নিতে পারতো মিঠুন নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে থ্রো করলে, যেদিকে পৌঁছাতে ভুগছিলেন বেইরস্টো। দলের অন্যতম ‘সেরা’ ফিল্ডার যে সাব্বির রহমান, তিনিও থ্রো করলেন কাকে থ্রো করছেন সেটা না দেখেই। উইকেটকিপার মুশফিকুর রহিম স্টাম্প ছেড়ে সরে এসেছিলেন কোনও একভাবে, সাব্বির তবুও থ্রো করেছিলেন সেখানেই। অবশ্য সাধারণত উইকেটকিপারের সেখানেই থাকার কথা বলেই হয়তো সাব্বির করেছিলেন এমন। তবে এমন ট্যাকটিক্যাল ভুলের সঙ্গে আছে নির্ভেজাল মিসফিল্ড, ওভারথ্রোও। এমনকি শুরুতে সোফিয়া গার্ডেনসের মতো খুব বড় নয় এমন মাঠেও দৌড়ে চার রান নিয়েছিলেন রয়-বেইরস্টো।

    নির্বিষ বোলিংয়ের সঙ্গে এমন বিশৃংখল ফিল্ডিং তাই প্রশ্ন তুলেছিল বাংলাদেশের শরীরী ভাষা নিয়েই। অবশ্য সাকিব বলছেন, ফিল্ডিং নিয়ে তাদের দুশ্চিন্তাটা পুরোনোই, “এমনিতেও ফিল্ডিং আমাদের চিন্তার বিষয়। বিশেষ করে এমন কন্ডিশনে, যে কন্ডিশনটা আমাদের পক্ষে নয়। যেখানে রান বেশি হয়। আমরা টপে (পারফরম্যান্সে) থাকলে ফিল্ডিং ভাল করি। টপে না থাকলে ফিল্ডিং ভাল করি না। তখন ব্যাপারটা নেগেটিভের দিকে যায়। সেখানে কাজ করতে হবে আরও।”

    সঙ্গে  মনে করিয়ে দিচ্ছেন একটা আক্ষেপের কথাও, “আর তাদের মতো তো আমরা এতো বেশি অ্যাথলেটিক ফিল্ডার না। যদি বেন স্টোকস বা তার মতো কাউকে চিন্তা করেন, তেমন অ্যাথলেটিসিজম তো আমাদের কারও নেই বললেই চলে। এমনিতেই আমরা দুর্বল থাকব এখানে।”