• " />

     

    প্রতিবাদ জানিয়ে এক ম্যাচে ৩৯ গোল

    প্রতিবাদ জানিয়ে এক ম্যাচে ৩৯ গোল    

    ম্যাচ শেষে দু'দলের স্কোর ২১-১৮। ৯০ মিনিটে ৩৯ গোল। ফিফা গেমের অ্যামাচার লেভেলেও হয়তো সম্ভব নয় এত গোল করা। কিন্তু এরকম ঘটনাই ঘটেছে ম্যাকাও এফএ কাপের ম্যাচে। ২১-১৮ ব্যবধানে হাং সাইকে হারিয়েছে কা আই। কিন্তু উদ্ভট এই স্কোরের পিছনে লুকিয়ে আছে ম্যাকাও ফুটবলারদের মৌন প্রতিবাদ।

    ২০২২ বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে শ্রীলঙ্কার সাথে খেলা পড়েছিল ম্যাকাওয়ের। চীনে প্রথম লেগ ১-০ গোলে জিতেছিল ম্যাকাও, কিন্তু ১১ জুন দ্বিতীয় লেগের আগেই বাধে বাগড়া। সব প্রস্তুতি সম্পন্ন থাকলেও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক বোমা হামলার কারণে ম্যাচ খেলতে অস্বীকৃতি জানায় ম্যাকাও। ফলে দ্বিতীয় লেগের ম্যাচ বাতিল করা ছাড়া উপায় ছিল না ফিফার সামনে। তবে ম্যাকাও ফেডারেশনের সিদ্ধান্তের সাথে একমত ছিলেন না ফুটবলাররা।

     


     

    শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ম্যাচ না খেলায় প্রথম লেগে ১-০ গোলে জেতা ম্যাকাও বিশ্বকাপ বাছাইয়ের পরের রাউন্ডে যেতে পারেনি। ফিফার কাছ থেকে অবশ্য আনুষ্ঠানিক কোনো ঘোষণা আসেনি। তবে খেলতে না চাওয়ায় ইতিহাস বলছে এমনটাই হওয়ার কথা। তাই আগামী দুই বছর ম্যাকাওয়ের কোনো আন্তর্জাতিক ম্যাচও নেই। সেই প্রতিবাদটাই মাঠে ঝেড়েছে দুই ক্লাব। 

    এজন্যই পুরো ম্যাচে ইচ্ছেমত গোল করে নিজেদের অবস্থান থেকে প্রতিবাদ জানিয়েছেন তারা। বাদ যাননি গোলরক্ষকরাও। নিজেদের অর্ধ ছেড়ে আক্রমণে উঠে এসে প্রতিপক্ষের জালে বল পাঠিয়েছেন তারা, বাধা দেননি ডিফেন্ডাররা। প্রথমার্ধ শেষে ৬-৫ গোলে এগিয়ে ছিল কা আই। দ্বিতীয়ার্ধেই হয়েছে বাকি ২৮ গোল। ম্যাচ শেষে হাং সাইয়ের ম্যানেজার জানিয়েছেন; অসন্তোষ থেকেই এমনটা করেছেন দু'দলের ফুটবলাররা, 'শ্রীলঙ্কায় দ্বিতীয় লেগ খেলতে না যাওয়ার পক্ষে ছিল না ম্যাকাওয়ের ফুটবলাররা। কিন্তু ফেডারেশন তারপরও ফিফাকে নিজেদের ম্যাচ বাতিলের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে। এজন্যই আজকের ম্যাচে তাদের এমন অভিনব প্রতিবাদ। তবে সিদ্ধান্তটা একান্তই ফুটবলারদের। এ ব্যাপারে ক্লাব থেকে তাদের কিছু বলা হয়নি।'

    ম্যাচের পর এক আনুষ্ঠানিক বিবৃতিতে ফেডারেশনের কাছে ক্ষমা চেয়েছে কা আই-ও, কিন্তু হাং সাইয়ের মত তারাও জানিয়েছে; ম্যাচে এমন প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই ফুটবলারদের, 'আমরা ফুটবলারদের মত প্রকাশের স্বাধীনতাকে সম্মান করি। কিন্তু ক্লাব থেকে তাদের এ ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি। মাঠেই তারা এমন প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলাফলের ব্যাপারে আমরা দুঃখিত।' এ বছরের ইস্টার সানডের সকালে বিভিন্ন গীর্জায় বোমা হামলায় মোট ২৫০জন নিহত এবং প্রায় ৫০০জন আহতের ঘটনা ঘটে।